যৌতুক না পেয়ে দুই গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার যৌতুক না পেয়ে জহুরা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী নজরুল ইসলাম পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই দিন কিশোরগঞ্জের নিকলীতে যৌতুকের জন্য নাসিমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাসিমার স্বামী সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।


ঈশ্বরগঞ্জে নিহত জহুরার ভাই আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার জিগাতলা গ্রামের নজরুলের সঙ্গে ১৪ বছর আগে তাঁর বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তাঁর বোনকে নজরুল প্রায়ই মারধর করতেন। বোনের সংসার ও তাঁর সন্তানদের কথা চিন্তা করে বেশ কয়েক দফায় নজরুলকে তাঁরা বেশ কিছু টাকা দেন। তা সত্ত্বেও জহুরার ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। গত বৃহস্পতিবার স্বামী ও শাশুড়ি জহুরাকে মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই জহুরা মারা যান। এই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে জহুরা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে নাটক সাজায় ওই পরিবার।
এ বাপারে কথা বলতে নজরুলের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় আবুল কাশেম বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার থানায় নজরুল ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহত জহুরার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিকলীতে নিহত নাসিমার পরিবার ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, উপজেলার বেড়িবাঁধ এলাকার সাইফুলের সঙ্গে একই গ্রামের নাসিমার চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাইফুল যৌতুকের জন্য নাসিমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে সাইফুল ও তাঁর আত্মীয়রা নাসিমাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। লাশের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসতঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নাসিমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ জানান, এ ব্যাপারে নসিমার বাবা আবদুল আজিজ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.