তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং খাতের বিকল্প নেই ড. আতিউর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার অঙ্গীকার পূরণে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং খাতের বিকল্প নেই। এ লৰ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অটোমেশন চালুর পাশাপাশি কৃষি ও এসএমই খাতে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে।


একই সঙ্গে নিজস্ব আধুনকি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বমানের ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণেও কাজ করছে। আর এ লৰ্যে পেঁৗছানোর ৰেত্রে অগ্রণী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকও অনত্মর্ভর্ুক্ত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম চালুর লৰ্যে গাজী কমিউনিকেশনসের সঙ্গে চুক্তি স্বাৰর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক, গাজী গ্রম্নপের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম দসত্মগীর, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ প্রমুখ।
অগ্রণী ব্যাংকের পৰ থেকে সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ এবং গাজী কমিউনিকেশনসের পৰে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বদরম্নল আলম খান তাঁদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পৰে চুক্তি স্বাৰর করেন। এ চুক্তি অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংকের ৮৬৭টি শাখায় অনলাইন নেটওয়াকিং হার্ডওয়ার সরবরাহ, সংস্থাপন, প্রয়োজনীয় রৰণাবেৰণ এবং সাপোর্ট সার্ভিস প্রদান করবে গাজী কমিউনিকেশনস।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর বলেন, সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকগুলোকে তাদের গ্রাহকদের দেরগোড়ায় সেবা পেঁৗছে দিতে হবে। এ লৰ্যে আনলাইনের বিকল্প নেই। অগ্রণী ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং অবকাঠামো খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ। কারণ এ ব্যাংকটি অনলাইনে আসলে দেশের এক বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অনলাইন ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসবে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা দেশের অভ্যনত্মরে ও বাইরে প্রতিটি ব্যাংকিং লেনদেন অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বসে মোবাইল ফোনে কৃষকের সঙ্গে ঋণ ও চাষাবাদ সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারছি। একজন গ্রাহক ঘরে বসেই তাঁর ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে বিল পরিশোধ, ফান্ড ট্রান্সফারসহ বিভিন্ন লেনদেন করতে পারছে। অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেমিটেন্সের অর্থ স্বল্প সময়ে গ্রামীণ জনপদে পেঁৗছে যাচ্ছে। এই বছরের কোন এক সময় অনলাইন সিআইবির মাধ্যমে ব্যাংকগুলো নিজস্ব প্রধান কার্যালয়ে বসেই ঋণ গ্রহীতা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

No comments

Powered by Blogger.