ফিরে দেখা

এটা কি দালালি? শাহ আলম খান ঘটনাটি ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভদ্রলোকের দোষ তিনি ড্রাইভারের প নিয়ে কথা বলেছেন। অমনি বাসের অপর যাত্রীরা তাকে দালাল সম্বোধন করে বিভ্রান্তিকর ভাষায় তুলাধুনা করে ছাড়েন।
মঙ্গলবার রাত তখন ১০টার কাছাকাছি।

শাহবাগ মোড় থেকে ১৩ নম্বরের একটি বাস অধিক যাত্রী তোলার জন্য সময়পেণ করছিল। এতে বিরক্ত হন বাসের যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীই তখন ড্রাইভারকে বাস ছাড়ার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবু বাস ছাড়ছিলেন না ড্রাইভার। বরং তিনি যুক্তি দেখালেন_ এখন স্টপিজে আইসা যদি যাত্রী না ওঠাই রাতের বেলা পুষাইতে পারুম না। কিছুণ আগে তো প্রায় আধ ঘণ্টার উপরে জ্যামে বইসা থাকলেন। তখন কারে বকছেন? এখন পাঁচ মিনিট সহ্য করতে পারবেন না কেন?
চালকের এ কথা শুনে কয়েকজন যাত্রী তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। এদের মধ্যেই একজন পঁচিশোর্ধ যুবক হুঙ্কার ছেড়ে চালককে মারতে উদ্যত হলেন। ঠিক এ সময়ই চলি্লশোর্ধ ওই ভদ্রলোক এর বিরোধিতা করে বললেন, আরে ভাই কি শুরু করছেন। আগে ফেরার তারা তো আমাদেরও আছে। ওরাও তো এখানে বসে থাকবে না। একটু না হয় অপোই করেন। এই কথাগুলো বলাই ভদ্রলোকের অপরাধ ছিল।
মুহূর্তেই অপরাপর যাত্রীরা রক্তচু দেখালেন ওই ভদ্রলোককে। সমস্বরে বিষোদগারও করলেন অনেক যাত্রী। এই সুযোগে ওই যুবক ভদ্রলোককে এক হাত দেখে নিলেন। বললেন, 'ওই ব্যাটা দালাল! তুই কে! তুই তো বাসে ফ্রি আইছস, তাই অর প ে(চালক-হেলপার)। দালালি করতাছস! তোর মতো দালালগো লাগ্যাই ওরা (চালক-হেলপার) পাবলিকরে ভোগানোর সাহস দেখায়।'
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ভদ্রলোককে মারতেও গেলেন কয়েকবার ওই যুবক। ছেলের বয়সের কারও কাছে তুচ্ছ ঘটনায় এভাবে অপদস্ত হবেন_ ভাবেননি তিনি। অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতিতে একেবারেই চুপসে গেলেন ভদ্রলোক। লজ্জায় তার লাল হয়ে যাওয়া মুখটি কেবলই নিচু করে রাখলেন। শুধু তার ভেতরে বয়ে যাওয়া ঝড় শান্ত করতে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, 'হায় খোদা এই তোমার দুনিয়া।'
এও কি সম্ভব!
স্টাফ রিপোর্টার এও কি সম্ভব! সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ারেন বেটি নামের এক লোক ৩৫ বছরে মোট ১২ হাজার ৭৭৫ জন নারীকে নিয়ে রাত কাটিয়েছেন। ২০ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৫৫ বছর পর্যন্ত একটানা প্রতিরাতে একজন নারীকে নিয়ে রাত কাটিয়েছেন তিনি। এ খবর প্রকাশিত হওয়ায় মানুষের মধ্যে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। চলে নানা হিসাব-নিকাশ। হিসাব করে দেখা গেছে, ৩৫ বছরে ১২ হাজার ৭৭৫ দিন (৩৬৫*৩৫=১২,৭৭৫)। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ৩৫ বছরে কোন দিনই কি তিনি অসুস্থ হননি। এ ছাড়া প্রতিরাতে একজন নতুন মহিলাকে কিভাবে তিনি ম্যানেজ করলেন? একজন মানুষের প েএও কি সম্ভব!
স্বপ্নপূরণ
মোশাররফ বাবলু বিএনপির কমিটি নিয়ে যখন দলের সিনিয়রদের মধ্যে তোলপাড়, তখন দলের প্রভাবশালী এক তরুণ নেতা বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার এক শ' ভাগ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ওই নেতা বলেন, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের কারণেই তরুণ নেতাদের ভাগ্যে পদ-পদবি মর্যাদা জুটছে। তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন। তারেক রহমান দ্রুত সুস্থভাবে দেশের মাটিতে ফিরে আসবেন। তরুণ নেতারা সেই দোয়াই কামনা করছি। বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির এক যৌথ সভা হয়। সভায় দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মহাসচিব যখন প্রেস ব্রিফিং শেষ করলেন, তখন নেতাদের মধ্যে কমিটি নিয়ে কথা ওঠে। এ সময় প্রভাবশালী এক তরুণ নেতা মজা করে বলেন, আমি যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি। চাওয়া-পাওয়ার এই স্বপ্নপূরণ, একমাত্র বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের কারণে হয়েছে।
নন্দিত নয় নিন্দিত
বিশেষ প্রতিনিধি জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তি দাবিতে রাজধানীতে পোস্টারিং করা হয়েছে। ওই পোস্টারে বাবরকে জননন্দিত নেতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই পোস্টারে পথচারীদের মাঝে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পথচারীরা দাঁড়িয়ে এক নজর দেখে মন্তব্য করছে, যে এই পোস্টারের লেখা লিখেছে মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্য তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া উচিত। আবার অন্যজন তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, ওখানে একটু ভুল আছে। ন অরের আগে হ্রস্ব-ইকার পড়েনি। গত বুধবার মগবাজার দিয়ে চলার পথে পথচারীদের এমন সব মন্তব্যই কানে আসে।

No comments

Powered by Blogger.