তাপমাত্রা বাড়লেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে

দেশে তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে দেশের কিছু অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আজ শুক্রবারও। মাত্রা কমে আসলেও চলতি মাসে শীত থাকবে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বুধবারের তুলনায় ১ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে বৃহস্পতিবার নতুন করে আটজনের মৃতু্য হয়েছে।


এ নিয়ে গত সতেরো দিনে শীতে মৃতু্যর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ জনে। শীতবস্ত্রের দাবিতে গাইবান্ধায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মানববন্ধন। আলুক্ষেতে মড়কের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বোরো ধানের বীজতলা হলদে হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীতে কুয়াশা ও শীতের মাত্রা কিছুটা কমেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যনত্ম মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ময়মনসিংহ, কুমিলস্না, ফেনী, বরিশাল, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী বিভাগে বিরাজমান মৃদু্য শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বুধবারের তুলনায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে। এদিকে রাজধানীতে কুয়াশা ও শীতের মাত্রা কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যনত্ম নগরীর আকাশ কুয়াশার দখলে থাকে। কিন্তু সকাল ন'টার মধ্যেই বেরিয়ে আসে সূর্যের আলো। কেটে যায় শীতের তীব্রতা।
নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, তীব্র শীত অব্যাহত রয়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে সাঘাটা উপজেলার বাটি গ্রামের পাতানি বেওয়া (৬০), মুন্সির হাটের জোবেট আলী (৭০) এবং শিমুলতাইর গ্রামের আফছার আলী (৫৫) ও রমজান আলী (৬৫) মারা গেছে। শীতবস্ত্র বিতরণের দাবিতে বৃহস্পতিবার পলাশবাড়ীতে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের চৌমাথায় এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন পলাশবাড়ী উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি শমসের আলী মাস্টার, আব্দুল আজিজ বাবু, কালু মিয়া ও উপজেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি একরাম হোসেন বাদল, রমজান আলী প্রমুখ।
সংবাদদাতা মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) থেকে জানান, জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যনত্ম মিলছে না সূর্যের আলো। শীতবস্ত্রের অভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ।
স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের হালবট নামক স্থানে শীতজনিত রোগে জাহানারা বেগম (৭৮) নামে এক বৃদ্ধার মৃতু্য ঘটেছে। আলুক্ষেতগুলোতে মড়ক দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনে শীতে প্রায় ৩শ' মুরগি মারা গেছে। বোরো ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, তীব্র শীতে গত দু'দিনে মাদারীপুর সদর, কালকিনি ও শিবচর উপজেলায় তিনজনের মৃতু্য হয়েছে। তারা হচ্ছে কালকিনি পৌর এলাকার পাঙ্গাসিয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন হাওলাদার (৮০), শিবচর উপজেলার হাজী শরীয়তউলস্নাহ ব্রিজের কাছে চরবাঁচামারা গ্রামের ভ্যানচালক নূর মোহাম্মদ মাতুব্বর (৬৫) এবং আলীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কানাইপুর গ্রামের লোকমান হাওলাদার (৪৫)।

No comments

Powered by Blogger.