নদীর অবৈধ দখল বন্ধে ১৫ মার্চ থেকে সীমানা পিলার স্থাপন শুরম্ন- ১৩ খাল উদ্ধারের নির্দেশ

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর অবৈধ দখল বন্ধে ১৫ মার্চ থেকে সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ শুরম্ন করবে নৌ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার নৌ মন্ত্রণালয়ে জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকের পর নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সীমানা পিলার স্থাপনের পাশাপাশি নদীতীরে বনায়ন এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে, যাতে নতুন করে কেউ নদী দখল করতে না পারে।


তবৃহস্পতিবার জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় নদী দখল এবং দূষণ বন্ধে প্রচার চালানোর জন্য সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী এবং সানজিদা খাতুনকে যৌথভাবে আহ্বায়ক এবং বিআইডবিস্নউটিএ চেয়ারম্যন মালেক মিয়াকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ২৪টি খালের মধ্যে ১৩টি উদ্ধার করার জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৈঠকে পটুয়াখালীর গলাচিপার দু'টি নদীর ওপর অবৈধ দখলরোধে ব্যবস্থা নেয়া এবং দখলদারদের স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে চট্টগ্রামের নদী দূষণরোধে টাস্কফোর্সের আগামী বৈঠক চট্টগ্রামে করার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।
বৈঠকের পর নৌমন্ত্রী জানান, নদীর জমি যাতে কেউ দখল না করতে পারে সে জন্য জনগণকে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। এজন্য টাস্কফোর্সের বৈঠকে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি নদীপারের জনগণকে সচেতন করে তোলার জন্য কাজ করবে। এ সময় সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী এবং সানজিদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে নৌমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা থেকে যে বর্জ্য উত্তোলন শুরম্ন হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ঢাকার চারপাশের নদীগুলো রৰার জন্যও বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাসত্মবায়ন করা হবে।
নদী থেকে বর্জ্য উত্তোলন করা হলেও বর্জ্য ফেলা বন্ধে সরকারের কর্মকা- নিয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নদীর পরিবেশ রৰায় হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাসত্মবায়নের চেষ্টা করছে। এজন্য শিল্প মালিকদের পরিবেশ অধিদফতর নোটিস দিয়েছে। চূড়ানত্ম নোটিস পাওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পস্ন্যান্ট স্থাপন করবে না তাদের বিরম্নদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশচন্দ্র সেন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাংসদ সারাহ বেগম কবরী, সানজিদা খানম, নাসিম ওসমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদারসহ উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.