ফেক্সিবল ড্রেস ... by ইস্্তার রাহা

শীতের হিমেল হাওয়ার পরশ এখন সর্বত্র। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে পুরোটা সকাল। দুপুরের মাঝামাঝিতে সূর্য দেবতার কল্যাণে কিছুটা উত্তাপের আশ্রয় মেলে। উত্তাপের সি্নগ্ধ মায়ার পড়নত্ম বিকেলটি অনুভূত হয় এক স্বগর্ীয় ছায়ায়। কিনত্মু সন্ধ্যার কিছুটা পর আবার জেঁকে বসে শীতের তীব্রতা। এ এক অনাবিল আনন্দ।


বাঙালীর ঘরে ঘরে পৌষ এবং মাঘের আয়োজনে তৈরি করা হয় বিভিন্ন রকমের পিঠা আর পায়েস। গ্রাম বাংলার শিশিরভেজা ফসলের মাঠ, ভেজা ঘাস, শিশির কণায় রোদের আলো এ এক অপরূপ ছবি। কবির ভাষায় যা রূপসী বাংলা...
অন্যদিকে ব্যসত্ম ঢাকার যানজটে নাকাল নগরবাসী শীত বলতে বোঝে তুলনামূলক কিছুটা শীতল হাওয়া আর কুয়াশা। আর শীতকে স্বাগত না জানিয়ে বরং কিভাবে মোকাবেলা করা যায় এ নিয়েই মোটামুটি তারা ব্যতিব্যসত্ম। পুরম্নষ কিংবা মহিলা অথবা অপো কৃত তরম্নণ-তরম্নণীরা সকলেই শীত নামার আগেই প্রসত্মুতি নিয়ে রাখে এই প্রতিকূল পরিস্থিতির শীতকে কাবু করতে বেস্নজার, জ্যাকেট, সোয়েটার, কানটুপি, মাফলার কোন কিছুর আয়োজনের কমতি নেই। সকাল থেকে রাত অবধি যারা ঘরের বাইরে থাকেন তাদের জন্যই এই সকল প্রস্তুতি। অপোকৃত বয়স্করা অফিসের উদ্দেশে বের হন সেই সকালটায় যখন কনকনে ঠা-ায় চারদিক থাকে কুয়াশায় ঢাকা আর বাড়ি ফেরা হয় সেই সন্ধ্যায়। এর মাঝের সময়টায় যখন সূর্যের উত্তাপ গায়ে লাগে তখন কিছুটা অস্বসত্মি বোধ তারাও করেন। কিন্তু উপায় তো নেই। গরম পোশাকতো গায়ে রাখা চাই। তারপর আবার পোশাক খুলে রাখার ঝামেলা_ মোটামুটি ব্যাপারটি নিয়ে তারা নিজেরাও বেশ বিরক্তির মধ্যে আছেন। গৃহিণীদের কথা আলাদা। তবে কর্মজীবী মহিলারা এই েেত্র একই বিড়ম্বনার শিকার হন। ব্যাপারটি নিয়ে মোটামুটি বিচলিত এখন সকলেই। হাতে ব্যাগ বহন করাতো সব সময় সম্ভব নয়। এেেত্র কিছুটা ভিন্ন আমাদের তরম্নণ-তরম্নণীরা। শীতের পোশাকের মাত্রাতিরিক্ত আয়োজন কিছুটা বিরক্তির সৃষ্টি করে তাদের মনে। শরীর, কান, মাথা, সবটায় যদি ঢাকা থাকে তবে নিজের চেহারার সি্নগ্ধতা, লাবণ্য, কোমনীয়তা, কোমলতা কিভাবে প্রকাশ পাবে।
পোশাকের মাত্রাতিরিক্ত আয়োজন এক অর্থে বিরক্তিকর আবার অন্যদিকে শীতের ব্যাপারটাও মাথায় রাখা উচিত।
ধরা যাক এই শীতের ছুটিতে কোথাও বেড়াতে গেলেন। পিকনিক কিংবা পারিবারিক ভ্রমণ যে কোন আয়োজনের মাঝপথে রোদের কারণে অস্বসত্মি বোধ করতে পারেন। কিন্তু তাই বলে শীতের বিড়ম্বনার শিকার হওয়া চলবে না, তাই চাই ফেক্সিবল ড্রেস।
ফেক্সিবল ড্রেস মানে হাল্কা পোশাক নয়, তবে পোশাক যেন কোন বিড়ম্বনার সৃষ্টি না করে তারই প্রস্তুতি। যে কোন হাল্কা পোশাক তরম্নণ-তরম্নণীদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ। জিন্স কিংবা টি শার্ট সাথে কানটুপি কিংবা মাফলার। মেয়েদের েেত্র টপস, লং ফ্রক, জিন্স সব কিছুই ফেক্সিবল। তবে খুব বেশি হাল্কা পোশাকের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। এ েেত্র কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা নিজেদের হাল্কা এবং সতেজ রাখতে বহন করতে পারে ব্যাগ। শীতের ভারি পোশাক ব্যাগে থাকল। গায়ে শীত লাগলেই ব্যাগ খুলে তা পড়ে নেয়া যায়। ব্যাগ খুব সহজ। তাই শীত মানেই ভারি, গরম পোশাক এই ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত। তারচেয়ে বরং কিভাবে বিকালটায় আরও সতেজ এবং সি্নগ্ধ থাকা যায় সেই ব্যাপারটায় এখন নজর দেয়া উচিত। তরম্নণীদের েেত্র ব্যাপারটি আরও বেশি গুরম্নত্বপূর্ণ। পছন্দের ড্রেসটি ঢাকা পড়ে যায় শীতের গরম পোশাকে। তাই শীত মোকাবেলা এবং সৌন্দর্য সি্নগ্ধতা দুটি ব্যাপার মাথায় রেখেই পোশাক নির্বাচন খুব গুরম্নত্বপূর্ণ। তাই তরম্নণ-তরম্নণীরা আজকাল শীতের মোকাবেলা এবং পোশাকের স্বাভাবিকতা দুটি ব্যাপার মাথায় রেখেই নিজেকে রাঙান ভিন্ন সাজে।

No comments

Powered by Blogger.