১৪৭টি রম্নগ্নশিল্পের মামলা প্রত্যাহার বিবেচনার আশ্বাস- এফবিসিসিআইর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক

১৯৯৯ সালে সরকার কতর্ৃক চিহ্নিত ১৪৭টি রম্নগ্নশিল্পের অর্থঋণ আদালতের মামলা প্রত্যাহার করা যায় কি-না তা বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে যে সমসত্ম রম্নগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা ৫০ লাখ টাকার কম কেবল সেসব শিল্পকে শেষবারের মতো এ সুযোগ দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।


অপরদিকে ব্যবসায়ীদের প্রধান দাবি, রম্নগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা অর্থের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ মালিকরা পরিশোধ করবে, বাকি ৮০ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ ব্যাংক সুদ মওকুফ আর ৪০ শতাংশ সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে পরিশোধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সমপর্ক বিভাগ (ইআরডি) সম্মেলনকক্ষে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর নেতৃবৃন্দ রম্নগ্ন শিল্পসংক্রানত্ম এক বৈঠকে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের এ আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক গবর্নর ড. আতিউর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি আনিসুল হক ছাড়াও ডেপুটি গবর্নর এবং রম্নগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ১৪৭টি তালিকাভুক্ত রম্নগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাদের কাছে ব্যাংক ৫০ লাখ টাকার কম অর্থ পাওনা রয়েছে কেবল তাদের বিচারাধীন অর্থঋণ আদালতের মামলা স্থগিত করা যেতে পারে।
বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান যে, ইতোমধ্যে সরকার কতর্ৃৃক সব মিলে ৩৭৮টি শিল্পের অর্থঋণ আদালতের মামলা স্থগিত করা হয়েছে। একইভাবে শিল্প মন্ত্রণালয় কতর্ৃক চিহ্নিত আরও ১০৬টি এবং ২০০৭ সালে সরকার কতর্ৃৃক চিহ্নিত ১৪৭টি রম্নগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মামলাও স্থগিত করতে হবে। রম্নগ্নশিল্পের ব্যাংক সুদ পরিশোধে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সহায়তা প্রদান এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান রম্নগ্ন অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আবার ব্যবসা করতে চাইলে সেক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতার দাবি করেন তাঁরা।
এ সময় মন্ত্রীর প্রতি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ আরও দাবি জানান যে, শুধু মামলা স্থগিত করলেই সমস্যার সামাধান হবে না। তাঁরা আরও বলেন, এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংক যে অর্থ পাবে তার ৪০ শতাংশ সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে, ৪০ শতাংশ সংশিস্নষ্ট ব্যাংক মওকুফ করে দেবে আর বাকি মাত্র ২০ শতাংশ রম্নগ্নশিল্পের মালিকরা পরিশোধ করতে পারবে।
এ সময় উপস্থিত অর্থ সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ অর্থমন্ত্রীর কাছে অভিযোগের সুরে বলেন, আলোচ্য রম্নগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য পাওনাদার ব্যাংকগুলো ৯০ দিনের মধ্যে কোন ডাউন পেমেন্ট ও আরোপিত সুদ ছাড়াই দায়মুক্তির সুযোগ নেয়ার আহ্বান করা হলেও এখনও কোন রম্নগ্নশিল্প সে সুযোগ নিচ্ছে না বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

No comments

Powered by Blogger.