ব্রাদার্স-ঘাতক জুনাপিউ!

সিও জুনাপিউ ঢাকায় এসেছেন গত বছর। ফরাশগঞ্জের স্বাধীনতা কাপ জয়ে চার গোল করে রেখেছেন বড় অবদান। এবারও পুরান ঢাকার দলটির অন্যতম ভরসা কঙ্গোর এই স্ট্রাইকার। কাল ব্রাদার্সের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে একমাত্র গোলটি এল তাঁর পা থেকেই। ফেডারেশন কাপের শেষ আটের পথ অনেকটাই এগিয়ে গেল ফরাশগঞ্জ। জুনাপিউর গোলটি ছিল দেখার মতো। সতীর্থ জুয়েলের পাস থেকে দারুণ শটে করেছেন লক্ষ্যভেদ। ব্রাদার্সের পায়ের নিচে থেকে তখন মাটি


সরে গেছে। গোলশূন্য ড্রয়ের দিকে এগিয়ে চলা ম্যাচে গোল পেয়ে ফরাশগঞ্জ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মাতল আনন্দ-উত্সবে।
উত্সবের মধ্যমণি অবশ্যই জুনাপিউ। ফরাশঞ্জের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার তাত্ক্ষণিক পেলেন এক হাজার টাকা পুরস্কার। টাকাটা হাতে নিয়ে ভিনদেশি বলছিলেন, ‘দলকে সামনে আরও ম্যাচ জেতাতে চাই।’
পুরান ঢাকার আরেক দল রহমতগঞ্জের জন্যও কালকের দিনটি ছিল আনন্দের। কমলাপুর স্টেডিয়ামে এদিন ওয়ারীর বিপক্ষে ৩-০ জয় দিয়ে তারাও ফেডারেশন কাপের শেষ আটে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে। জোড়া গোল করেছেন ডিভাইন লাকি। অন্য গোলটি ফ্রান্সিসের।
উল্লেখ্য, এর আগে দুই ‘গঞ্জে’র ম্যাচ ছিল গোলশূন্য। কালকের জয়ে দুই দলেরই পয়েন্ট ৪। ‘ডি’ গ্রুপের বাকি দুই দল ব্রাদার্স ও ওয়ারীর পক্ষে গ্রুপের সেরা দুই দল হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া কঠিন হয়ে গেল। বিশেষ করে দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাদার্স তো নিজেরাই দেখছে বিদায়ের পথ। শেষ ম্যাচে রহমতগঞ্জকে তো হারাতেই হবে, তার পরও আছে ‘যদি’র সমীকরণ।
ব্রাদার্সের অবস্থা হয়েছে মোহামেডানের মতো। গোপীবাগের দলটির ম্যানেজার আমের খান বিষণ্ন মুখে বললেন, ‘শেষ আটে যাওয়ার আশা খুব বেশি না করাই ভালো।’ কোচ সৈয়দ নইমুদ্দিন সরাসরি না বললেও আগাম বিদায়ের সুর ঠিকই শুনতে পাচ্ছেন, ‘এখন শেষ ম্যাচে জিতলে ব্যবধানটা বড় হতে হবে। কারণ, রহমতগঞ্জের গোলগড় +৩।’ দলের এ অবস্থার জন্য তাঁর ব্যাখ্যা, ‘বিদেশিদের সেভাবে এখনো তৈরি করা যায়নি। পাশাপাশি প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। ধীরে ধীরে দল ভালো খেলবে।’

No comments

Powered by Blogger.