উদীয়মান দক্ষিণ এশিয়ার যুব উদ্যোক্তা শীর্ষক সেমিনারে অভিমত-সদিচ্ছা সফল বাণিজ্যিক উদ্যোগের বড় পুঁজি

ফল বাণিজ্যিক উদ্যোগের জন্য সবচেয়ে বড় পুঁজি শক্তিশালী সদিচ্ছা। কঠোর পরিশ্রম। সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার মানিসকতা প্রয়োজন। এমনকি দক্ষতার ঘাটতিও সফল উদ্যোগের জন্য বড় কোনো সমস্যা নয়। 'উদীয়মান দক্ষিণ এশিয়ার যুব উদ্যোক্তা' শীর্ষক সেমিনারে গতকাল শনিবার এসব কথা বলেছেন বক্তারা।বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সার্ক চেম্বার ও এফবিসিসিআইর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় যুব সম্মেলন উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। দুই দিনের সম্মেলন গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের এসসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি বিক্রামজিত সিং সাহনী। বক্তব্য রাখেন ভারতভিত্তিক গ্গ্নোবাল ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান সুহাস গোপিনাথ, নেপালের প্রোবিও টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনন্দ বাগারিয়া, জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা করবী রাকশান্দ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডার সেন্টারের সভাপতি ইজাজ আহম্মেদ।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, সমাজের প্রতি দরদি মানসিকতা না থাকলে বড় মানুষ হওয়া যায় না। বড় মানুষ না হলে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। ড. ইব্রাহিম প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের বারডেম হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব সফল উদ্যোগের পেছনেই এ ধরনের মহৎ মানসিকতার ইতিহাস রয়েছে। তিনি বলেন, সফল বাণিজ্যিক উদ্যোগের জন্য সবচেয়ে বড় পুঁজি শক্তিশালী সদিচ্ছা।
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সিইও ভারতের সুহাস গোপিনাথ মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এ মর্যাদা অর্জন করেন। সেমিনারে নিজের অভিজ্ঞতার কথায় গোপিনাথ বলেন, পিতৃহীন পরিবারে পারিবারিক টানাপড়েনের মধ্য দিয়েই তার তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। কঠোর অধ্যবসায় আর নিরন্তর প্রচেষ্টায় কম সময়ের মধ্যেই তার প্রতিষ্ঠিত গ্গ্নোবাল ইনকরপোরেশনের এখন ভারতের অন্যতম বড় সফল উদ্যোগ। বিশ্বের ১৪টি দেশে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম রয়েছে।
নেপালের প্রোবিও টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনন্দ বাগারিয়া তার বক্তব্যে বলেন, হাতে তৈরি গৃহসামগ্রী রফতানি দিয়ে তার উদ্যোগ শুরু। কিন্তু সফল হতে পারেননি। বারবার ব্যর্থ হলেও হতাশ না হয়ে নতুন উদ্যোগ ও কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে পেশায় প্রকৌশলী হয়েও কৃষিভিত্তিক শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। নেপালের কৃষিজ শিল্পের এখন সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তা তিনি। '৯৩ সালে ১০ হাজার রুপি দিয়ে প্রোবিও টেক ইন্ডাস্ট্রিজের মুনাফা এখন ৫ বিলিয়ন রুপি। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও সার্কভুক্ত ৮ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সফল ব্যক্তিত্বরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.