আন্তর্জাতিক : 'উই আর দ্য নাইনটি নাইন পারসেন্ট'-ওয়াল স্ট্রিটে বিক্ষোভ by অনিন্দ্য আরিফ

বিদ্রোহের আগুন এখন ছড়িয়ে পড়েছে খোদ মার্কিন মুলুকে। কায়রোর তাহরির স্কয়ার এবং মাদ্রিদের পুয়েত্রা ডেল সোল স্কয়ারের অনুপ্রেরণায় শত শত মার্কিন নাগরিক গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াল স্ট্রিটের কাছের একটি পার্কে আস্তানা গেঁড়ে বিক্ষোভ করে আসছে। এরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বলেছে, 'উই আর দ্য নাইনটি নাইন পারসেন্ট।' আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে অনেকে, যাদের অন্যতম ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, লোকাল হান্ড্রেড, ন্যাশনাল ইউনিয়ন,


ইউনাইটেড ফেডারেশন অব টিচার্স, দ্য কমিউনিকেশন ওয়ার্কার্স অব আমেরিকা এবং সার্ভিস এমপ্লয়িজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন। আন্দোলনকারীদের কথা, 'আমরা শ্রমিক, আমরা ছাত্র-শিক্ষক, আমরা বেকার, ছদ্ম বেকার, আমরাই ৯৯ শতাংশ।' মাত্র ১ শতাংশের হাতে যাবতীয় সম্পদ। শিল্প, স্বাস্থ্য_সব ক্ষেত্রে নাগরিকদের বিরাট খরচ। স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে সরকার ভাবছে না, শিক্ষাকে সুলভ করছে না। আন্দোলকারীদের ওয়েবসাইটিতে স্লোগান উঠেছে, 'ওয়াল স্ট্রিট দখল করো'।

দারিদ্র্যের দেয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠ ঘুরে দাঁড়াল!
আন্দোলন এখন ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭০টি বড় শহর এবং ৬০০টি এলাকায়। আন্দোলনের শুরুতে ওঠা স্লোগান 'অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিটের' বদলে এখন মুখে মুখে শুধু 'অক্যুপাই'। দেশের অর্থেনৈতিক বৈষম্য ও করপোরেট সংস্থাগুলোর লালসার প্রতিবাদে শুরু হওয়া অক্যুপাই আন্দোলনে গোটা দেশ উত্তাল।
'এটাই শুরু' জানালেন ডিক স্টেইনক্যাম্প (৬৩)। সিয়াটেলের সিলিকন ভ্যালির তথ্য প্রযুক্তিবিদ তিনি। জমকালো বিপণি ও বাহারি রেস্টুুরেন্টের এই শহরও সমান প্রতিবাদমুখর। তাই উত্তর সিয়াটেলের বেলিংহ্যাম থেকে মিছিলে যোগ দিতে একনাগাড়ে দুই ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে সস্ত্রীক এসেছেন। তিনি চান, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরতদের কাজের নিরাপত্তাব্যবস্থা করুক সরকার। 'এর আগে আমি ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে মিছিলে হেঁটেছি। কিন্তু বর্তমানে এই আন্দোলন তাকেও ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছে।' মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে জানান তিনি।
মার্কিন জনগণের মতে, দেশে মন্দার বোঝা আমজনতার ওপরই চাপিয়ে দিচ্ছে ওবামা সরকার। তারা হারাচ্ছে কাজ, জীবিকা ও আশ্রয়। স্বভাবতই মানুষ ক্ষুদ্ধ। সরকারের নীতির কারণে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এর ফলেই একটির পর একটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে অক্যুপাই আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন। তাই বস্টন, মেম্ফিস, নিউ ওরলিন্স, লাস ভেগাস, ফিলাডেলফিয়া, অস্টিন, লুইস ভিলি, আন্টালান্টা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে অক্যুপাইয়ের সমর্থনে মানুষের মিছিল। আগামী সপ্তাহ থেকে কানাডার ভ্যাংকুভার, টরেন্টো, মন্ট্রিয়ল ও কালগ্রে শহরে শুরু হবে আন্দোলন।

মার্কিন মুলুকে কেন এই বিক্ষোভ?
কেন মানুষ বিদ্রোহে নেমেছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্র্রতিক পরিসংখ্যানের চিত্রগুলো একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জনগণনা সংস্থার সাম্প্র্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে বেকারত্ব এবং আর্থিক মন্দা ৩১ কোটি জনগণের দেশের চার কোটি ৬২ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ছয়জন আমেরিকানের মধ্যে একজন গরিব। কেবল গত বছরই গরিবের সংখ্যা ২৬ লাখ বেড়েছে। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা শিশুদের। ১৮ বছরের নিচের বয়সের শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। ক্ষুধা থেকে বাঁচতে স্কুলের খাবারের ওপর নির্ভরশীল দুই কোটির বেশি শিশু। মধ্যবিত্তের অবস্থাও করুণ। ২০০০ সাল থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ১০ শতাংশের কাজ চলে গেছে। গত ১১ বছরে কিছু যুবক কয়েক সপ্তাহের কাজ জোটায় অত্যন্ত নিম্ন মজুরিতে। খাদ্য, স্বাস্থ্যরক্ষা এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের শিক্ষার খরচ চালিয়ে আমেরিকার গরিব এবং নিম্নবিত্তরা হিমশিম খাচ্ছে। পাঁচ কোটি লোকের কোনো স্বাস্থ্যবীমা নেই। চিকিৎসার খরচ এত ব্যয়বহুল যে কোনো একটি বড় ধরনের অসুখে পড়লে সেই পরিবারকে ধনে-প্রাণে মারা যেতে হচ্ছে।
আমেরিকার ধনীদের আয়ের ওপর কর নামেমাত্র। জর্জ বুশের আমলে তা আরো কমানো হয়। এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ১৭ শতাংশে। আগামী ১০ বছরে প্রেসিডেন্ট ওবামা ৪ দশমিক ৪ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। তাতে বৃহৎ ধনীদের ওপর সামান্য কর বাড়ানোর প্রস্তাবে রিপাবলিকানরা ওবামাকে কমিউনিস্ট বলেও গালমন্দ দিয়েছে। ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যয় সংকোচনের নামে সাধারণ মানুষের ওপর আঘাত বাড়বে; বিদেশি আগ্রাসন থেকে অতিরিক্ত উপার্জনের ব্যবস্থা হবে ইত্যাদি। বর্তমানে এক কোটি ৪০ লাখ বাড়ির মালিক বাড়ির বন্ধকের কিস্তি দিতে পারছেন না। ৬০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে বাড়ি হারিয়েছেন। আরো ৩৫ লাখ বাড়ি হারাতে বসেছেন। চার কোটি ৬২ লাখ লোক দারিদ্র্যের মধ্যে আছে, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ৬৬ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নেই। শিশুমৃত্যুতে আমেরিকার স্থান ৪১তম। বেকারত্বের হার ৯ শতাংশের বেশিতে পেঁৗছেছে। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ দশমিক ২ মিলিয়ন সংসার, প্রায় প্রতি সাতটি পরিবারের একটি পরিবারের কোনো খাদ্য নিরাপত্তা নেই। অন্যদিকে ১৯৫০ সালে আমেরিকার ধনীদের ২০ শতাংশের হাতে ছিল সম্পদের ৪৩ শতাংশ। উচ্চমধ্যবিত্তদের ২০ শতাংশের হাতে ছিল ১৭.৪ শতাংশ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ গরিবদের হাতে ছিল মাত্র ৪.৫ শতাংশ। এখন এই ধনীদের সম্পদ দেশের মোট সম্পদের ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ধনীদের উপার্জন বেড়েছে ১৭.৭ শতাংশ। গরিব পরিবারগুলোর আয় কমেছে ১১.৬ শতাংশ। ধনী-দরিদ্রের এই বৈষম্য হিংসাত্মক অপরাধের মাত্রাও সর্বত্র বাড়িয়ে তুলেছে। যেমন আমেরিকায় ২০০৯ সালে ১৩ হাজার ৬৩৬টি খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৯ হাজার ১৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের সাহায্যে। লাখ পিছু নাগরিকের গড়ে ৭০০ জন জেল খাটে।

জুকোতি পার্ক এখন লিবারেশন পার্ক!
মার্কিন জনগণ আজ ফুঁসে উঠেছে। এরই মধ্যে সমাবেশকারীর সংখ্যা হাজারে হাজারে উন্নীত হয়েছে। সেখানে যে পার্কে তারা অবস্থান করছে তার নাম জুকোতি পার্ক। আন্দোলনকারীরা এর নাম বদলে রেখেছে 'লিবারেশন পার্ক'।
আন্দোলনের সংগঠকরা বলছেন, 'আমরা এখানে দীর্ঘকাল অবস্থান করব।' একবাসটার্স ওয়েবসাইট উদ্ধৃত করে ব্লুশবার্গ টিভি জানায়, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য রাজনীতি, 'ওয়াশিংটনের আমাদের প্রতিনিধিদের ওপর অর্থের যে প্রভাব রয়েছে, এর অবসান ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য।' আন্দোলনকারীদের ইশতেহারে বলা হয়, 'আমাদের দাবি সম্পদ বৈষম্য, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, চিকিৎসা নিয়ে মুনাফাবাজি, রাজনৈতিক দুর্নীতি, বড় পুঁজির মালিকানাধীন গণমাধ্যম পরিচালিত সেন্সর, রংমাখা ঝকঝকে তথাকথিত আধুনিক যুগ, আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধের অবসান ঘটানো। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা এই আন্দোলনকে অবহিত করেছে পুঁজিবাদবিরোধী হিসেবে। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশিষ্ট আন্দোলনকর্মী কর্নেল ওয়েস্ট বলেছেন, এটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক জাগরণ।
আন্দোলনকারীরা বলছে, তাদের আন্দোলন অহিংস। তারা প্রতিদিন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছে। বাকি সময়ে তাদের মধ্যে চলছে আলাপ-আলোচনা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান। আন্দোলনকালে এ পর্যন্ত কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাল্টা হাতিয়ার 'অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'
প্রথম দিকে আন্দোলনকারীদের খবর গণমাধ্যমে আসছিল না। কিন্তু আন্দোলনের ক্রমাগত শক্তিবৃদ্ধি এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন দেখতে পাওয়ায় মূলত ধীরে ধীরে আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ পেতে থাকে। অবশ্য এর একাংশ নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছিল। তখন আন্দোলনকারীরা নিজেদের পত্রিকা প্রকাশ করে_'অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'। শুধু তা-ই নয়, এ আন্দোলনের সঙ্গে সহমর্মিতায় সারা দেশে বিক্ষোভ সংগঠিত হচ্ছে এবং কার্যত ইন্টারনেটভিত্তিক 'একসঙ্গে দখল করো' বা 'অক্যুপাই টুগেদার' নামের আন্দোলন গড়ে উঠছে। ওয়াল স্ট্রিটের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন একাধিক স্থানীয় শিক্ষক ইউনিয়ন থেকে শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্যরা। এরই মধ্যে সমর্থন জানিয়েছে মূলধারার শ্রমিক সংগঠন এএফএল সিআইও। সমর্থন জানিয়েছে উত্তর আমেরিকার অঞ্চলের বৃহত্তম শিল্প শ্রমিক ইউনিয়ন ইউনাইটেড স্টিল ওয়ার্কার্স, যার সদস্যসংখ্যা ১২ লাখ। একইভাবে এ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে লেবার্স ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব নর্থ আমেরিকা (লিউনা), যারা যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাণশ্রমিকদের ইউনিয়ন। এ শিল্পে প্রায় পাঁচ লাখ নারী-পুরুষ কর্মরত। তাঁরা লিউনার সদস্য। এ ছাড়া রয়েছে নিউ ইয়র্কের প্রহরী, নিরাপত্তারক্ষী ও রক্ষণাবেক্ষণকর্মীদের ইউনিয়ন (সেইউ), যার সদস্যসংখ্যা ৭০ হাজার। এ ছাড়া আরো অনেক শ্রমিক সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে, যাদের সম্মিলিত সদস্যসংখ্যা কয়েক লাখ। এই শ্রমিক, শিক্ষক সংগঠনের সম্পৃক্ততাই প্রমাণ করছে, অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমজীবীদের বৃহৎ আন্দোলনে পরিণত হতে পারে।

খোদ পুঁজিবাদের প্রাণকেন্দ্র আজ বিপন্ন!
অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের প্রতি সীমাহীন বীতশ্রদ্ধ। কেননা তারা জানে, এ দুটি দল তাদের ভোগান্তির জন্য দায়ী বড় বড় করপোরেশনগুলোর স্বার্থরক্ষা করে চলে। তাদের করের টাকা দিয়ে এই করপোরেশনগুলোকে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষা করা হলেও ওই বহুজাতিকরা এর বিন্দুমাত্র প্রতিদান না দিয়ে বরং আরো বেশি করে লুণ্ঠন তৎপরতা চালাচ্ছে। আর প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল তাদের লুণ্ঠনকে জায়েজ করার জন্য সদা ব্যস্ত।
এ আন্দোলনের আরেকটি বড় দিক হলো, সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরোধিতা। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় চার ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। লিবিয়ায় ন্যাটোর সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ সীমিত হলেও এর জন্য ব্যয়ভার প্রতিদিন দুই মিলিয়ন ডলারের মতো। এই বিশাল ব্যয়ভার বহন করতে রাজি নয় মার্কিন জনগণ। অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন তাই যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলনের এক দীর্ঘ ইতিহাস আছে। গত শতকের তিরিশের দশকে প্রথমে অর্থনৈতিক মন্দার সময় এ ধরনের শ্রমিক-কৃষকের তৃণমূল আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে আন্দোলনে সেই বিস্মৃত ইতিহাসকে স্মরণ না করা হলেও ২০০৯ সালের টি পার্টির আন্দোলনের কথা বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু টি পার্টির আন্দোলন ছিল দক্ষিণপন্থীদের আন্দোলন, যার অর্থায়ন করেছিল বহুজাতিকরা। তাই এ আন্দোলনের সঙ্গে টি পার্টির আন্দোলন কখনোই তুলনীয় নয়।
বর্তমানের অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের প্রমাণ করে, বিশ্ব পুঁজিবাদ আজ মুমূর্ষু। সে আজ শয্যাশায়ী। খোদ পুঁজিবাদের প্রাণকেন্দ্র আজ বিপন্ন!

No comments

Powered by Blogger.