সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া করবে ইরান-উপসাগরে আরও যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

পারস্য উপসাগরে উত্তেজনার মধ্যেই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই অঞ্চলে নতুন যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। এটি বুধবার পোর্টসমাউথ থেকে যাত্রা শুরু করবে। গতকাল শনিবার ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ খবর নিশ্চিত করেছে। এদিকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় ইরান। বিশ্বকে নিজেদের শক্তি সম্পর্কে জানান দিতে আরও বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ইরানের দাবি, এ মহড়া হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক


মহড়া। খবর :বিবিসি, এএফপি। স্টিলথ নকশার ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর ৪৫ টাইপ ডেস্ট্রয়ার এইচএমএস ডারিং নামের অত্যাধুনিক এ জাহাজ রাডার এড়াতে সক্ষম। এটি ওই অঞ্চলে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেবে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও এক বছর আগে এ জাহাজ মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এটি এমন একসময় মোতায়েন করা হচ্ছে যখন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও তাদের হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ওয়াশিংটনে বলেন, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একাট্টা। ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন হ্যামন্ড। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শুক্রবার জানায়, ফেব্রুয়ারিতে হরমুজ প্রণালিতে ইরানের ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ সামরিক মহড়া শুরু হবে। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানায়, এ মহড়ার মাধ্যমে তারা বড় ধরনের চমক দেখাতে চায়। তবে চমকটি কী_ সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে হরমুজ প্রণালিতে ১০ দিনব্যাপী সামরিক মহড়া চালায় ইরান। ওই মহড়ায় মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। নিজেদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেল পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেয় দেশটি। ইরানের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউরোপীয় কমিশন (ইইউ) তোড়জোড় শুরু করলেও তেহরান গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। উল্লেখ্য, ইরান তাদের মোট রফতানির ১৮ শতাংশ তেল বিক্রি করে ইইউভুক্ত দেশগুলোর কাছে।
লাতিন আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট :কিছু মিত্র দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে আজ রোববার লাতিন আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশটির ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে ব্যাপক চাপের মধ্যে এ সফরে যাচ্ছেন তিনি। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আহমাদিনেজাদের এ সফর 'শত্রুর মুখে ছাই ফেলবে'।
আহমাদিনেজাদ লাতিন আমেরিকার চারটি দেশ সফর করবেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চিরশত্রু ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মঙ্গলবার আহমাদিনেজাদ সম্প্রতি পুনর্নির্বাচিত নিকারাগুয়ার নেতা ড্যানিয়েল ওর্তেগার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়া তার কিউবা ও ইকুয়েডরে যাত্রাবিরতির কথা রয়েছে। লাতিন আমেরিকার এ চারটি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শীতল সম্পর্ক রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.