ইয়াবার থাবাঃ ব্যবসা করে ১২ লাখ সেবন করে ১৫ লাখ by পারভেজ খান

মকে ওঠার মতো তথ্য_বাংলাদেশে ইয়াবা সেবনকারীর সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি, আর ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১২ লাখ। আরো আশঙ্কাজনক তথ্য হচ্ছে_এই সংখ্যা দিন দিন লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে নানা অপকৌশলে ইয়াবার ফাঁদে জড়িয়ে ফেলছে তরুণ-তরুণীদের।

এদের একটি বড় অংশ অভিজাত ও ধনাঢ্য পরিবারের বখে যাওয়া ছেলেমেয়ে। এর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি মাধ্যমের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও। সরকারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও এই ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে শুধু উদ্বিগ্ন নন, রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত। তাঁদের মতে, দ্রুত এই পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা না গেলে দেশে ভয়াবহ মাদক বিপর্যয় দেখা দেবে। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছু চিত্র দেখলেই ইয়াবার ভয়াল থাবা কতটা ছড়িয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ২০০৭ সালে ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করেছিল ৪৮৩টি। ২০০৮ সালে আটক হয় আট হাজার ১৮৪টি। তার পরের বছর চার হাজার ৫১টি। ২০১০ সালে হয় ১৪ হাজার ৪৫৮টি, আর গত বছর শুধু র‌্যাবের অভিযানেই প্রথম চার মাসে উদ্ধার
হয়েছে ১৫ হাজার ৪৮১টি। আইনপ্রয়োগকারী সব সংস্থার হিসাব মেলালে তথ্যচিত্র আরো ভয়াবহ। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তিন লক্ষাধিক ইয়াবাসহ সহস্রাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সাত শতাধিক এবং র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে ৩৩৪ জনকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক। কোস্টগার্ডও সমুদ্র থেকে বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৪৫টি ইয়াবা। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে জেলে সেজে সমুদ্র পথে ইয়াবা নিয়ে আসার সময় কোস্টগার্ডের হাতে আটক ছয় মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৬ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
ইয়াবা কী : মেথামফিটামিন নামক এক ধরনের স্নায়ু উত্তেজক মাদকের সঙ্গে মরফিন কিংবা সিডেটিভ বা ট্র্যাংকুইলাইজার জাতীয় মাদক মিশিয়ে তৈরি হয় ককটেল জাতীয় এই ট্যাবলেট। থাই শব্দ ইয়ার, যার অর্থ উত্তেজক, আর বাহ, যার অর্থ ওষুধ। এই দুটি শব্দের সংযোজন ঘটিয়েই এর নামকরণ করা হয়েছে ইয়াবা। এর রং গোলাপি, লালচে, কমলা, সবুজাভ এবং সাদাও হয়ে থাকে। আবার কোথাও কোথাও পাউডার আকারেও ইয়াবা মিলছে।
কোথা থেকে আসে : বাংলাদেশে যে ইয়াবা পাওয়া যায় তার বেশির ভাগ আসছে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীন থেকে। তবে সবচেয়ে বেশি আসছে মিয়ানমার থেকে। টেকনাফের নাফ নদী পার হলেই ওপারে মিয়ানমারের মণ্ডু, আকিয়াব আর চুশিংচং। নৌকায় ৩০ মিনিটের পথ। স্থানীয়ভাবে অনুমতি নিয়ে ব্যবসায়ী পরিচয়ে যে কেউ অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে টেকনাফ থেকে মণ্ডু। মণ্ডু মিয়ানমারের সীমান্ত এবং বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবেই পরিচিত।
যাত্রা শুরু যেভাবে : গোয়েন্দা সূত্রমতে, ১৯৯৭ সালের দিকে এক যুবক বয়সী সংসদ সদস্যের মাধ্যমেই মূলত এ দেশে ইয়াবা আসতে শুরু করে। ওই এমপি এবং তপন গাজী নামে তাঁর এক বন্ধু তাঁদের ঘনিষ্ঠ এক বিমানবালার মাধ্যমে ইয়াবা আনতেন ব্যাংকক আর সিঙ্গাপুর থেকে। এগুলো তাঁরা তাঁদের বন্ধু মহলেই ব্যবহার করতেন। বিক্রি হতো খুব কম। এরপর বাণিজ্যিকভাবে আনা শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। তবে তখন ক্রেতা ছিল অল্প। দামও ছিল বেশি। প্রতিটি ট্যাবলেট দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। বলা চলে, ২০০২-০৩ সাল থেকে মোটামুটি বাংলাদেশের বাজার দখল করতে শুরু করে ইয়াবা। আর এই ইয়াবাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম, কঙ্বাজার ও টেকনাফে গড়ে ওঠে একাধিক মাদক সিন্ডিকেট। ক্রমে সিন্ডিকেট ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে।
হরেক নাম : সুগন্ধি হওয়ার কারণে অনেকে ইয়াবাকে ক্যান্ডি বলে ডাকে। এর আরো নাম_চকলেট বা বাবা, গোলাপ, সুপার, চম্পা, চামেলী, আর-৭০, আর-৭৩। থাইল্যান্ডের তৈরি ইয়াবার এদেশীয় নাম গোলাপ এবং এর দামও বেশি। বর্তমান প্রতিটি ইয়াবার বাজারদর ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর অন্যগুলো ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে। তবে এই দাম ওঠা-নামা করে।
সেবনকারী কারা : বিদেশি অপসংস্কৃতির অনুসরণকারী তথাকথিত আধুনিক, উচ্চবিত্ত ও অতি উচ্চবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদের বখে যাওয়া ছেলেমেয়েরাই মূলত ইয়াবার প্রধান ক্রেতা। তবে ইয়াবার দাম কিছুটা কমে যাওয়া আর ফেনসিডিলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে এখন ইয়াবা আসক্তিতে ঢুকে পড়ছে।
কঙ্বাজার সিন্ডিকেট : গোয়েন্দা সূত্রমতে, শুধু টেকনাফেই রয়েছে ইয়াবার ১৬টি সিন্ডিকেট। তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বললেই চলে। চট্টগ্রামকেন্দ্রিক একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী যিনি রাজনৈতিকভাবেও প্রভাবশালী এবং (মূল বাড়ি টেকনাফ) তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি নেপথ্যে থেকে এই সিন্ডিকেটগুলো পরিচালনা করেন। এই প্রভাবশালী ব্যক্তি টেকনাফে থেকে এবং সালাম নামে তাঁরই আরেক ঘনিষ্ঠজন মিয়ানমারে থেকে দুই দেশের ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। মণ্ডুতে সালামের অন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও আছে, আর সেই ব্যবসার আড়ালেই সে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, টেকনাফে এসব সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব পর্যায়ের সদস্যরা হচ্ছে_জাকির হোসেন, করিম, রোহিঙ্গা লালু, রোহিঙ্গা শুক্কুর, নবী, জাফর মেম্বার, জবান আলী, নুরুল আলম ওরফে নুরু, হাসেম, মিলকি, লিটন, রফিক, তৈয়ব, হাসান, দিদার, মোস্তাক, ছিদ্দিক, শাহজাহান, জিয়াবুল, সাইফুল, গনি, শামসুল আলম মার্কিন, ইসমাইল, জুনিয়র সালাম, আবদুল্লাহ, জাহেদ, বোরহান, আলমগীর, শাহ আলম, বাহাদুর, আমিন, রমজান, গফুর ও শরিফ। এ ছাড়া বান্দরবানের নাইখংছড়ি হয়েও ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকছে।
ঢাকা সিন্ডিকেট : ঢাকায় রয়েছে ইয়াবা ব্যবসার একাধিক গডফাদার। এরা সবাই প্রভাবশালী এবং প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। তবে সামাজিকভাবে এরা অন্য পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং অনেকে সিআইপি পদমার্যাদার। এদের অনেকে রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ আর নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এরা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তবে এদের হয়ে যারা মাঠে সরবরাহ এবং তদারকির কাজ করছে, তারা কেউ কেউ ধরা পড়ে। তবে ধরা পড়লেও খুব বেশি দিন তাদের কারাগারে থাকতে হয় না। ওই সব প্রভাবশালী নিজেদের স্বার্থেই এদের ছাড়িয়ে আনে। এরা নিজেরাও ইয়াবা আসক্ত, নামকরা ব্যক্তিদের সন্তান ও প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। এই চক্রের দলনেতা হিসেবে কাজ করছে সুমন ও জুয়েল নামে দুই যুবক। এরা ধরা পড়েছে একাধিকবার। কিন্তু আটকে রাখা সম্ভব হয়নি ওই প্রভাশালী চক্রের কারণে। ঢাকায় এদের একাধিক বাড়ি ও গাড়ি আছে। আরো আছে আল আমিন, ফয়সাল, শুভঙ্করসহ কয়েকজন। রাজধানীর উত্তরা, নিকেতন, নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা, গুলশানের ডিওএইচএস, বারিধারায় এদের প্রায় সবারই নিজস্ব বাড়ি আছে।
গত ২৩ মে উত্তরার একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ১৮ হাজার ইয়াবাসহ শাকুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকেও বের হয়ে এসেছে ঢাকাসহ সারা দেশের ইয়াবা নেটওয়ার্কের অনেক তথ্য। সে নিজেই ঢাকায় প্রতি সপ্তাহে ২৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট সরবরাহ করত। ৫০ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম পরিচয়ও প্রকাশ করেছে সে।
২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলের সাবেক ছাত্র জুয়েলকে রাজধানীর গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সে এক সাবেক মন্ত্রীর ভাগ্নে। তার কাছ থেকে আটক করা হয় ১২০টি ইয়াবা, পর্নো সিডি, যৌন উত্তেজক ওষুধ আর ইয়াবা বিক্রির আড়াই লাখ টাকা। জুয়েলের ঘরে ছয়টি সিসি টিভি ব্যবহার হতো। ঢাকায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করা অবস্থাতেই বখে যায় জুয়েল। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করলে সে দেশের বাইরে চলে যায়। অনেক উন্নত দেশ ঘুরেছে জুয়েল। থাইল্যান্ডে থাকতেই সে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে জড়িয়ে যায় ইয়াবার নেশায়। এরপর দেশে ফিরে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা। ২১ ডিসেম্বর এমরান আশরাফ ওরফে সুমন, মুশকিফুর রহমান ওরফে তমাল ও বাপ্পী সাহা ওরফে বাপ্পী চার লাখ টাকা ও ৩৬০টি ইয়াবাসহ আটক হয়। তমালের বাবা একজন শিল্পপতি এবং সিআইপি। বাপ্পীর বাবা নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। জুয়েলের বাবাও সুপরিচিত ব্যবসায়ী। সুমনের শ্বশুর গাড়ি আমদানিকারক। তারা সবাই এখন জামিনে মুক্ত। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সূত্রমতে এরা এখনো ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং রাজধানীর সবচেয়ে বড় ইয়াবা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে তারাই। আরেক প্রভাবশালী ইয়াবা ব্যবসায়ী হচ্ছে হুদা। ২০০৬ সালে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালানসহ গ্রেপ্তার হলেও সে এখন জামিনে আছে এবং ইয়াবা সিন্ডিকেটের আন্ডার ওয়ার্ল্ডের একজন বড় নেতা।
শিক্ষাঙ্গনে ইয়াবার থাবা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন নামিদামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এমনকি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশের সোর্স কার্তিক এবং তনু নামে যশোরের এক যুবক। তনু ঢাকায় এসে মোহসিন হলে তার এক বন্ধুর কক্ষে ওঠে। কার্তিককে কয়েক দিন আগে শাহবাগ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর আরো কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী আছে, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুলশান ও বনানী এলাকার কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে_চানখারপুলের পরাগ, বকশীবাজার ও হোসেনী দালানের তানভির, লালবাগ-আজিমপুরের মামুন, আগামসী লেনের ভাবি, আনন্দবাজারের তারা বানু, লাভলু, রিপন, তাঁতীবাজারের নাসির, শ্যামল, রিপন, শাঁখারীবাজারের সাইরেন সুমন, মীনা রানী দত্ত, সঞ্জয়, বিপ্লব, মন্টি, পিন্টু, মিন্টু, জয়ন্তী রানী, রাজেন, মোহন, শিল্পী রানী, খিলগাঁও তিলপাপাড়ার মকবুল ওরফে ফল মকবুল ওরফে আর্মস মকবুল, মাসুম, মোস্তফা প্রমুখ।
অধিদপ্তরের ভাষ্য : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনবল আর আধুনিক প্রযুক্তির অভাব। অধিদপ্তরে দুই পরিচালক ওমর ফারুক ও আখতারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, সারা দেশের ৬৪টি জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জনবল (এমএলএসএস থেকে শুরু করে মহাপরিচালক পর্যন্ত) মাত্র ৮৩০ জন। ৬৪টি জেলাকে ভাগ করে তাদের কাজের সুবিধার্থে ২৫টি উপ-অঞ্চল এবং ১০৮টি সার্কেল করা হয়েছে। একেক সার্কেলে লোকবল পাঁচ থেকে ছয়জন মাত্র। অনেক সার্কেল গঠন করা হয়েছে আবার একাধিক জেলার সমন্বয়ে। এর মধ্যেই আছে আবার গোয়েন্দা শাখা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে একজন উপ-পরিচালকের তত্ত্বাবধানে তাদের পৃথক ইউনিট থাকলেও কার্যত উল্লেখযোগ্য কোনো তৎপরতা নেই। (শেষ কিস্তি ছাপা হবে আগামীকাল)।

No comments

Powered by Blogger.