আরও ৮৭৬টি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে by জাফর আহমেদ

তুন করে আরও ৮৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষ যাতে সরকারের সব সেবা সহজে পেতে পারে তার জন্য সব গ্রামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমপ্লেক্সের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে এসব কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শেষ হবে। এসব কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য 'ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প' নামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এতে ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।


সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই সময়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় ১২৮টি কমপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় নিয়ে পরের বছরে ওই প্রকল্পের ব্যয় ৪৮৪ কোটি টাকায় উন্নীত করে ১ হাজার ২০০ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। ২০০১ সালে নতুন করে আরও ৭০০ ইউনিয়ন যুক্ত করে ১ হাজার ৯০০ কমপ্লেক্স তৈরি করতে প্রকল্পটি আরেক দফা সংশোধন করে ব্যয় ৭৫৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।
সর্বশেষ তথ্যমতে, নানা জটিলতায় পড়ে শেষ পর্যন্ত ওই প্রকল্পের আওতায় ১৭৬টি কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্ভব হয়নি। এবার সেসব অনুমোদিত কমপ্লেক্সের সঙ্গে নতুন করে ৭০০টি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। অর্থাৎ নতুন অনুমোদিত প্রকল্পটির আওতায় মোট ৮৭৬টি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে। এর জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। এই অর্থের সবটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে।
জানা যায়, এসব কমপ্লেক্সে দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য একজন করে কৃষি পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব পরামর্শকের কাছে গিয়ে স্থানীয় কৃষকরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেবেন।
এ ছাড়া উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতের বিষয়েও নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলে আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণে প্রকল্পটি সহায়তা করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও সরকারি পরামর্শক স্থানীয় জনগণের কাছে আয়বর্ধক নানা ধরনের পরামর্শ দিলে দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.