টেস্ট সিরিজ-সমালোচকদের জবাব দিলেন স্মিথ

ডারবান টেস্টে হারার পর সমালোচনার বাণ ছুটেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। বয়স হয়ে গেছে, আর কিছু দেওয়ার নেই—এসব কারণ দেখিয়ে বলা হয়েছিল স্মিথ, ক্যালিস, বাউচারদের উচিত সরে দাঁড়ানো। কেপটাউন টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয়ের সঙ্গে এই সমালোচনার জবাবও মাঠেই দেওয়া হয়েছে। ম্যাচের পর মাঠের বাইরেও গ্রায়েম স্মিথ একহাত নিয়েছেন সমালোচকদের। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট অধিনায়কের


কণ্ঠে ছিল ঝাঁজ, ‘অনেকের মাথা সব সময়ই হাঁড়িকাঠে থাকে। কিন্তু আমরা কি দেশের মাটিতে খুব বেশি টেস্ট হেরেছি! শুধু আমাদের জয়ের ক্ষুধাটাই হয়তো দেখাতে পারিনি, আর ডারবানে দ্বিতীয় টেস্টের ওই হারে আমরা খুবই হতাশ হয়েছিলাম।’
সমালোচনার মুখে পড়া তিন সিনিয়রের একজন জ্যাক ক্যালিস কেপটাউনে ব্যাট হাতে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। বোলিংয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট, সঙ্গে ৬টি ক্যাচ। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের ৫৮০ রানে স্মিথের অবদান মাত্র ১৬ রান। বাউচার ব্যাট করেননি, তবে ক্যাচ ফেলেছেন দুটি।
বাউচার মাত্রই ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছেন। এখন টেস্ট দলেও এই উইকেটরক্ষকের দিন শেষ কি না—এমন প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছেন স্মিথ, ‘বাউচারকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই এবং অনেক বছরের মধ্যে আমি তাকে প্রথম ক্যাচ ফেলতে দেখলাম। গ্লাভস হাতে সে দারুণ ও আস্থাশীল। আর ইংল্যান্ডে একজন বিশ্বস্ত উইকেটরক্ষক নিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’
নিজের ফর্ম নিয়েও বলতে হয়েছে প্রোটিয়া অধিনায়ককে, ‘যত দূর মনে হয় আমি ব্যাটিংটা ভালোই করছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি করলাম।’
দুই ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৯ ও ৩৪২ রানে গুটিয়ে দেওয়া বোলারদের প্রশংসাও ঝরেছে তাঁর মুখে, ‘এই গ্রীষ্মে এটি আমাদের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।’
সিরিজ পরাজয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিলশান দায়ী করেছেন ধারাবাহিকতার অভাব ও ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোকে। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.