লিখন শরীরচর্চা

মানুষ নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। এরপর আসে স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য। আয়নায় নিজের মুখ দেখতে কার না ভালো লাগে! প্রবচন আছে, নিজের মুখ কখনও পুরনো হয় না; কিন্তু যারা স্থূলকায় অর্থাৎ মোটা তারা ভেতরে ভেতরে অনেক অসুখী হয়ে থাকে। তাদের সার্বিক লক্ষ্য থাকে কী করে দেহটা বাগে আনা যায়। স্লিম এবং ফিট রাখা যায়। নিজের এ নশ্বর দেহটাকে আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা যায় সবার


সামনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টা অনেক পুরনো ও জটিল একটি শারীরিক এবং সামাজিক সমস্যা হলেও যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তারা এ থেকে মুক্তি পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার রেনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এ বিষয়ে একটি নতুন পরীক্ষার জন্য উলি্লখিত দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৫ ছাত্রীকে নির্বাচন করে। উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা না করে তাদের বলা হয়, প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে তাদের কাগজে লিখতে হবে যে কোনো প্রিয় বিষয় নিয়ে। হতে পারে তা রাজনীতি, মিউজিক বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে। তাদের মধ্যে কিছু ছাত্রীকে বিষয় নির্বাচন না করে যা খুশি তা-ই লিখতে বলা হয়। মাসখানেক এভাবে চলার পর দেখা গেল, 'প্রিয় বিষয়' নিয়ে লেখার দলের অধিকাংশ ছাত্রীর ওজন ৩ দশমিক ৪ পাউন্ড কমেছে। আর যাদের 'উন্মুক্ত বিষয়' নিয়ে লিখতে বলা হয়েছিল তাদের গড় ওজন কমেছে ২ দশমিক ৭ পাউন্ড করে। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক কোহেন বলেন, গবেষণার জন্য আমরা মেয়েদের বেছে নিয়েছি। কেননা ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অধিক মোটা হলে ভীষণ হতাশায় ভোগে এবং সারাক্ষণ বিমর্ষ থাকে। তারা মনে করে, শারীরিক কারণে ছেলেরা তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আদৌ তারা সঙ্গী নির্বাচন করতে পারবে কি-না সে দুশ্চিন্তা তাদের পেয়ে বসে। ড. কোহেন বলেন, ইতিবাচক চিন্তার প্রকাশ থেকে ব্যক্তির মনে আত্মমর্যাদা বোধ বাড়ে। আরও ভালো কাজ করতে উদ্দীপ্ত হয়। অনেকে মনকে প্রফুল্ল করতে ভালো রেস্তোরাঁয় যান খাবার খেতে। এ পদ্ধতির চেয়ে রাইটিং এক্সারসাইজ বা 'লিখন শরীরচর্চা' অনেক কার্যকর। এ পদ্ধতি দেহ ও মন দুটিকেই সজীব, সতেজ ও সদা উৎফুল্ল রাখে এবং আপনাকে মাত্রাতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। মেইল অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.