দুই দিনেই চ্যাম্পিয়নদের হারাল খুলনা

ট্টগ্রামে চার দিনে হেরেছে বাংলাদেশ। অবশ্য ম্যাচের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির পেছনে মুশফিকুর রহিমদের নয়, 'দায়' পাকিস্তানিদের! সে দায় অবশ্য নেয়নি খুলনা! ফতুল্লায় রাজশাহীর প্রথম ইনিংস ১৪৯ রানে গুটিয়ে নিজেরা থেমে পড়ে ১৭৯ রানে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ক্লিশে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং। মাত্র ১২৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১০২ রান তুলে নেয় সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে


ওঠা খুলনা। এদিকে নিজেদের মাঠে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে 'লিড' নিয়েছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৯ রানে লুটিয়ে পড়া ঢাকা মেট্রোর দ্বিতীয় ইনিংসটা অবশ্য অতটা মন্দ নয়। ১৩৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৪৭ রান তুলে ফেলেছে ঢাকা মেট্রো।
রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার গতকাল মাঠে নেমেছিলেন আগের দিন ৯ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার আত্মবিশ্বাসে ভর করে। কিন্তু গতকাল এতে কাজ হয়নি। একটি উইকেট সাকলাইন নিয়েছেন বটে। তবে রাজশাহীর সংগ্রহটা এতই কম যে এর-ওর কাঁধে চড়ে ঠিকই ৩০ রানের 'লিড' নিয়ে নেয় খুলনা। এ ব্যর্থতা ঘোচানোর একটাই উপায় ছিল রাজশাহীর সামনে। তা সরাসরি জয়ের। কিন্তু জয় দূরের কথা, দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার আল-আমিন হোসেনের ঝড়ে উড়ে যায় জাতীয় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মাত্র ২৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন খুলনার এ তরুণ বোলার। বাকি দুটি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন ডলার মাহমুদ এবং মুরাদ খান। রাজশাহীর প্রথম ইনিংসের প্রতিটি উইকেটও লুটপাট করে নিয়েছিলেন খুলনার এ তিন বোলার। ৪১.১ ওভারে রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার মতো জয় নিশ্চিত করতেও খুব বেশি সময় নেয়নি খুলনা। ২০.৫ ওভারেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
এদিকে ঢাকা মেট্রো এ ম্যাচের প্রথম দিনই অল আউট হয়েছিল ১২৯ রানে। সিলেটের জবাবটাও খুব ভালো হচ্ছিল না। অন্তত গোলাম মাবুদ এবং এবারের লিগের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান এজাজ আহমেদের মধ্যকার সপ্তম উইকেট জমে যাওয়ার আগে সে রকমই মনে হচ্ছিল। তবে এ দুজনের ফিফটিতে ২৬৩ রানে অল আউট হওয়ার সময় প্রথম ইনিংসে স্বাস্থ্যকর 'লিড' নেওয়ার স্বস্তির বাতাস বয়ে যাওয়ার কথা সিলেটের ড্রেসিংরুমে। এখন প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা কতটা কাটিয়ে উঠতে পারে ঢাকা মেট্রো, তা ম্যাচের গতিপথও নির্ধারণ করে দিতে পারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : খুলনা-রাজশাহী : রাজশাহী ১৪৯ ও ২য় ইনিংসে ৪১.১ ওভার ১২৯/১০ (হামিদুল ৩৭; ডলার ২/৩৭, আল-আমিন হোসেন ৬/২৩, মুরাদ ২/৩৮)। খুলনা ১৭৯ ও ২য় ইনিংস ২০.৫ ওভার ১০২/২ (নাজমুস ৩৪*, তুষার ২৪*)। ম্যাচের ফল : খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট : ঢাকা মেট্রো ১২৯ ও ২য় ইনিংস ১২ ওভার ৪৭/০ (আরমান ব্যাটিং ২৬, ফোরকান ব্যাটিং ১৬)। সিলেট ১ম ইনিংস ১০৭.৩ ওভার ২৬৩/১০ (গোলাম মাবুদ ৬৪, এজাজ ৫৮, তাসকিন ২/৪৯, আরাফাত সানি ৩/৭৩, ফোরকান ২/৪৫)।

No comments

Powered by Blogger.