জাতিসংঘে বিরল ভালোবাসা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভ্যানচালক হাসমত আলীর ভালোবাসার ঘটনা নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'বিরল ভালোবাসা' সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে জাতিসংঘে আমন্ত্রিত হয়েছে। জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশ মিশন 'বিরল ভালোবাসা'কে অন্য ভাষাভাষীর কাছে পেঁৗছে দিতে কাজ করবে। সম্প্রতি ছুটিতে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কালচারাল মিনিস্টার প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ


প্রামাণ্যচিত্রটি দেখে তা সঙ্গে করে নিয়ে যান। এর নির্মাতা সাংবাদিক ফারুক মেহেদী এ তথ্য জানিয়েছেন। ফারুক মেহেদী জানান, প্রামাণ্যচিত্রটি এখনো উদ্বোধন না হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের কালচারাল মিনিস্টার প্রফেসর মমতাজউদদীন আহমদকে সম্প্রতি তাঁর ঢাকার বাসভবনে দেখানো হয়। এটি দেখে তাঁর ভালো লাগে। কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি একজন ভ্যানচালকের এমন আত্মত্যাগের ঘটনা সারা বিশ্বেই বিরল বলে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, 'জীবনে অনেক প্রামাণ্যচিত্র দেখেছি। তবে এত তথ্যবহুল ও সত্য-বাস্তব কমই দেখেছি। এ ধরনের প্রামাণ্যচিত্র জাতিকে উদ্বুদ্ধ করবে।'
ফারুক মেহেদী আরো বলেন, 'প্রামাণ্যচিত্রটি নিউ ইয়র্কে নিয়ে গিয়ে সেখানে দেখাবেন বলেও তাঁকে জানিয়েছেন মমতাজউদদীন আহমদ। ১৬ ডিসেম্বর মিশনে এর প্রদর্শনী করবেন। সে প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি অনেক লোক আসবেন। ইংরেজি সাব টাইটেল থাকলেও প্রামাণ্যচিত্রটির ধারাবিবরণী সম্পূর্ণ ইংরেজিতে অনুবাদ করে জাতিসংঘে নিয়োজিত বিশ্বের বিভিন্ন মিশন কর্মকর্তাদেরও তা দেখাবেন।'
উল্লেখ্য, গফরগাঁওয়ের এক দরিদ্র ভ্যানচালক হাসমত আলী সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য এক খণ্ড জমি কেনেন। পরে তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর স্ত্রী রমিজা খাতুন ভিক্ষা করে জীবন যাপন করতে থাকেন। পরবর্তী সময় কালের কণ্ঠে এই নিয়ে প্রতিবেদন করেন হায়দার আলী। প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কাড়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রী হাসমতের বিধবা স্ত্রী রমিজা খাতুনকে ডেকে নেন এবং তাঁর সারা জীবনের দায়িত্ব নেন। আর ওই জমিতে রমিজার জন্য বাড়ি বানিয়ে দিয়ে সেখানে নিজ হাতে তাঁকে তুলে দেন। প্রামাণ্যচিত্র 'বিরল ভালোবাসা'য় এসব ঘটনাই তুলে ধরা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনার একটি এঙ্ক্লুসিভ সাক্ষাৎকারও রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.