ডিএসইতে বাড়লেও সূচক কমেছে সিএসইতে

য় দিন একটানা দরপতনের পর গতকাল সোমবার সামান্য বেড়েছে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) সূচক। তবে আগের ছয় দিনের ধারাবাহিকতায় কমে গেছে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) সূচক। অবশ্য দুই স্টক এঙ্চেঞ্জেই কমেছে লেনদেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, প্রণোদনা দিয়ে শেয়ারবাজার ঠিক করা যাবে না। বাজার তার নিজস্ব গতিতেই ঠিক হবে। বর্তমানে বাজার তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখান থেকেই বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে বাজার তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখান থেকেই বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। ডিসেম্বরের হিসাব শেষ হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করবে। তখন হয়তো বাজার স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, বিদ্যমান বাজারে অনেক কম্পানির শেয়ারের দাম অনেক বেশি কমে গেছে। এসব কম্পানিতে বিনিয়োগ করলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতে লাভবান হবেন। গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের উদ্যোগে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৩.১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪৮৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। পাঁচ মিনিটের মাথায় সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর ১৫ মিনিটে সূচক কমে ৩০ পয়েন্টের মতো। এরপর সূচকের তীর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে সূচক ৫৩ পয়েন্ট বেড়েছিল। এরপর আবার সূচক কমে যায়। দিন শেষে ৩.১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪৮৪৯ পয়েন্টে স্থির হয়।
ডিএসইতে গতকাল ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৯টিরই দাম বেড়েছে। কমে গেছে ৬৫টির দাম। আর অপরিবর্তিত থেকেছে ২২টির দাম। ডিএসইতে গতকাল ১৯৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা রবিবারের তুলনায় সাত কোটি টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৭ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮৩ টাকা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ১৭.০৫ পয়েন্ট কমে ১৩৮৬১.১৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ৬৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সিএসইতে গতকাল ২৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে চার কোটি টাকা কম।
লেনদেনের ভিত্তিতে গতকালের প্রধান ১০টি কম্পানি হলো যমুনা অয়েল, বেঙ্মিকো লিমিটেড, ফু ওয়াং সিরামিকস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, উত্তরা ব্যাংক, এনবিএল, গ্রামীণফোন, ইউসিবিএল, তিতাস গ্যাস ও আফতাব অটোমোবাইলস। দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা গতকালের ১০টি কম্পানি হলো সোনালি আঁশ, রহিম টেঙ্টাইল, বিডি অটো কার্স, মিথুন নিটিং, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল পলিমার, জেমিনি সিফুড, বিডি ল্যাম্পস এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অন্যদিকে, দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কম্পানি হলো মডার্ন ডাইয়িং, সাভার রিফ্রেক্টরিজ, ব্র্যাক সেকেন্ড বন্ড, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ব্যাংক, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, তিতাস গ্যাস, উসমানিয়া গ্লাস ও
সাউথইস্ট ব্যাংক।

No comments

Powered by Blogger.