এবার অস্ট্রেলিয়ায় চোখ ভারতের

ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর, ৬টিতেই জিতেছে ভারত! সৌভাগ্যবান এ অধিনায়কের হাত ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটাও ভারত জিতল ৩৪ রানে। ২০১১ সালে নিজেদের শেষ ওয়ানডে জিতে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজও নিশ্চিত করল তারা। এ জয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে আত্মবিশ্বাস বাড়বে নিশ্চিতভাবেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়া যে এক দল নয়, ম্যাচ শেষে সেটাই স্মরণ করিয়ে দিলেন গম্ভীর, 'রান পাওয়াটা সব


সময় আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে আপনাকে। তবে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনটা একেবারেই আলাদা। জয়ের জন্য আরো বেশি ক্ষুধার্ত হয়ে মাঠে নামবে ওরা। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণও অনেক ভালো। তাই আমাদের মানসিকভাবে আরো দৃঢ় হতে হবে। সিরিজ শুরুর অনেক আগে সেখানে আমাদের ৬-৭ জনের যাওয়াটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। তা ছাড়া কাজে আসবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও।'
এ বছর ৩৪ ওয়ানডেতে ভারত জয় পেয়েছে ২১টি। হার ১০, টাই ২ আর পরিত্যক্ত হয়েছে অপর ম্যাচটি। সবচেয়ে বড় সাফল্য অবশ্যই বিশ্বকাপ জেতাটা। তাই সন্তুষ্টিই ঝরল গম্ভীরের কণ্ঠে, 'আসলে একজন অধিনায়ক ততটাই ভালো যতটা তার দল ভালো। আমি ভাগ্যবান যে আমার নেতৃত্বে খেলা ম্যাচগুলোতে পেয়েছি যোগ্য সতীর্থদের। ইংল্যান্ড সফর বাদ দিলে এ বছরটা দারুণ কেটেছে আমাদের। ধরে রাখতে হবে এ ধারাবাহিকতাটাই।'
পরশু চেন্নাইয়ে ধীরগতির উইকেটে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারানোর পর মনোজ তিওয়ারির সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৬৭ করেছিল ভারত। ৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ওয়ানডেতে এটা প্রথম সেঞ্চুরি মনোজের। ১২৬ বলে ১০৪ করে অবশ্য পেশির টানে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওয়ানডেতে এ নিয়ে সেঞ্চুরির পর মাত্র পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে রিটায়ার্ড হার্ট হলেন মনোজ।
তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা ইরফান পাঠানের (৪২ রানে ২ উইকেট) সুইংয়ে ২৩ রানেই দুই ওপেনার হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাঠানের পর মিঠুনও ২ উইকেট নিলে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ক্যারিবীয়রা। ষষ্ঠ উইকেটে আন্দ্রে রাসেলের (৫৩) সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়ে তাদের ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন কিয়েরন পোলার্ড। ১১০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১১ ছক্কায় ১১৯ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন পোলার্ড। কিন্তু রাসেল ফেরার পর সতীর্থরা সেভাবে সঙ্গ দিতে না পারায় ৪৪.১ ওভারে ২৩৩ রানে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পোলার্ড শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রায়নার বলে রাহানেকে ক্যাচ দিয়ে। ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.