ডিএসইর সূচক পতন অব্যাহত-১০ মিনিটে ১১৬ পয়েন্ট ১০ মাসে ৩৬৬০

বুধবার সকাল ১১টা ১১ মিনিট। শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরুর ১০ মিনিট পরের সময় এটি। মাত্র ১০ মিনিটেই ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সাধারণ সূচক ১১৬.৭১ পয়েন্ট কমে যায়। সূচক নিম্নগামী হয়ে ৫১৯০.৭১ পয়েন্টে থামে। দরপতনের এই আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। ওই সময় পর্যন্ত লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম কমে যায় ১৭৩টির। বৃদ্ধির তালিকায় থাকে মাত্র পাঁচটি। আর অপরিবর্তিত ছিল দুটির দাম। এ সময়ে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। এরপর একটু একটু করে পতনের এ ধারার পরিবর্তন হতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইর সূচক .৯৭ পয়েন্ট কমে ৫২৫৮.৪৮ পয়েন্টে স্থির হয়।


দুপুর ১২টার দিকে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১৮৯ পয়েন্ট নেমে গেলে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে বের ডিএসইর সামনের সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সোয়া ২টার দিকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিনিয়োগকারীরা শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে কাল বৃহস্পতিবার লেনদেন বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। অন্যথায় লেনদেনে অংশ না নিতে বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করেন। এ সময় অন্য বিনিয়োগকারীরা হাত তুলে তাঁকে সমর্থন জানান। গতকাল মিলিয়ে তিন দিনে সূচক কমেছে কমেছে ২৬০.৯২ পয়েন্ট। এর আগের দুই সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৩৪১.৮৪ পয়েন্ট কমে। গত তিন মাসের ব্যবধানে প্রায় ১৪০০ পয়েন্ট সূচক কমে মঙ্গলবার হয় ৫৩০৭.৪৩ পয়েন্ট।
গত ডিসেম্বর থেকে দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। চলতি বছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার পর বাজার কিছুটা ওঠে। ২৪ জুলই ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল ৬৭১০.৫৩ পয়েন্ট। গত জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে বাজার আবার নিম্নমুখী প্রবণতায়। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই দরপতনের ফলে সূচক কমেছে ৩৬৬০.০৩ পয়েন্ট। গত ৫ ডিসেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল ৮৯১৮.৫১ পয়েন্ট।

No comments

Powered by Blogger.