সিএসইতে শেষ পাঁচ মিনিট বাদে পুরো চিত্রই হতাশার

তকাল বেলা ১টায় চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া ১৫৩টি কম্পানির সবই ছিল দরপতনের তালিকায়। এর আগে সকাল ১১টায় লেনদেন শুরু হওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই সাধারণ সূচক ৩৫৮ পয়েন্ট কমে যায়। বেলা দেড়টায় নগরীর চকবাজারে অবস্থিত বি-রিচ নামে এক ব্রোকারেজ হাউসে গিয়ে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীর অভাবে খাঁ খাঁ করছে সেখানকার চেয়ারগুলো। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এ হাউসে গড়ে শতাধিক বিনিয়োগকারী উপস্থিত থাকেন বলে জানান বি-রিচের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন খালেদ। দিনের পুরো কার্যদিবসের শেষ পাঁচ মিনিটে সূচকের হঠাৎ ঊর্ধ্বগতি দিয়ে কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা লক্ষ করা গেছে।


তাই প্রথম ১০ মিনিটে সাধারণ সূচক ৩৫৮ পয়েন্ট কমলেও দিনশেষে তা ৭৩ পয়েন্টে নেমে আসে। আর সার্বিক সূচকের পতন হয়েছে ১৪৩ পয়েন্ট। তবে আর্থিক লেনদেন আগের দিনের চেয়ে গতকাল কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার যেখানে সিএসইতে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল সেখানে গতকাল হয়েছে ৫১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এদিন লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির আর কমেছে ১২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের।
বাজারে অব্যাহত দরপতন আর শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে গতকাল বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছেন। নগরীর আগ্রাবাদ ও খাতুনগঞ্জে দুপুরে শ শ বিনিয়োগকারী অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগাংয়ের ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'বাজার নিয়ে আর তামাশা করার সময় নেই। অথচ অর্থমন্ত্রী দিন দিন তা-ই করছেন।' সংগঠনের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদ বলেন, 'বাজার ঠিক করার উপায় যদি অর্থমন্ত্রীর জানা না থাকে, তাহলে দায়িত্ব স্বীকার করে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।'

No comments

Powered by Blogger.