ঈদে ঘরে ফেরা-পল্টনে লঞ্চের বুকিং অফিস, ভাড়া ১০ শতাংশ কম

দুল আজহার সময় দূরপাল্লার লঞ্চের ভাড়া ১০ শতাংশ (সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে) কম নেওয়া হবে। এ ছাড়া বেশিসংখ্যক যাত্রীর যাতায়াতের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত লঞ্চ ও ট্রিপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রী ও গাড়ি পারাপার দ্রুত করতে বিআইডাবি্লউটিসি ফেরির জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।গতকাল বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ ও ফেরি সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে সদরঘাট নৌ টার্মিনালের ওপর চাপ কমাতে পোস্তগোলার কাছে শ্মশানঘাট এলাকায় আরো একটি নৌ টার্মিনাল স্থাপন করা হবে। মাওয়া ঘাটে লঞ্চযাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে এক সপ্তাহের মধ্যে মাওয়া চৌরাস্তার কাছে লঞ্চঘাট সরিয়ে আনা হবে। কাওরাকান্দিতে যানজট নিরসনে আরো একটি পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। যানজট এড়াতে ঈদের সময় ধলেশ্বরী সেতুর টোল আদায় দ্রুততর করতে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী নৌপথের লঞ্চের কেবিন বুকিংয়ের জন্য ১৪, পুরানা পল্টনে (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার অস্থায়ী কার্যালয়ে) অফিস খোলা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় যাতে কোরবানির গরুর হাট না বসে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকরা ব্যবস্থা নেবেন। জনগণ ও যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ঢাকার নয়াবাজারে গরুর হাট না বসানোর জন্য সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সব লঞ্চ পন্টুনে বার্থিং করতে হবে। নৌকায় করে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। সদরঘাটসহ বিভিন্ন নদীবন্দরের বিশ্রামাগার, টয়লেট ও টার্মিনাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। টার্মিনাল বা ফেরিঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, বিআইডাবি্লউটিএ, বিআইডাবি্লউটিসি, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ডের প্রধান, লঞ্চ মালিক সমিতি এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২৭ অক্টোবর থেকে
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলওয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৭ অক্টোবর, চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। আর ঈদের বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চলবে ২ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কোনো যাত্রী একসঙ্গে চারটির বেশি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন না। এদিকে দূরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২১ অক্টোবর থেকে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (ট্রাফিক) সরদার সাহাদাত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, গত ঈদের চেয়ে আসন্ন ঈদে বাড়ি ফিরতে যাত্রীদের অপক্ষোকৃত কম কষ্ট হবে। কারণ এবার পাঁচটি নতুন ইঞ্জিন এরই মধ্যে যোগ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.