বাটের কথায় কাদির, লসনকেও তলব

ই নিয়ে টানা ১০ দিন হলো। আদালতের কাঠগড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে বোধ হয় কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন সালমান বাট। কিন্তু তাতেও রেহাই মিলছে না। প্রতিদিন তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো নিয়ে নতুন নতুন প্রশ্নপত্র সাজাচ্ছেন উকিলরা। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এখন পাকিস্তানের সাবেক কোচ জিওফ লসন আর একসময়ের লেগ স্পিনার আবদুল কাদিরকে লন্ডনে তলব করেছেন আদালত। জানা গেছে, মাজহার মাজিদের ভাই আজহার মাজিদেরও ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার কথা।


যে কলঙ্ক লেগেছে গায়ে, তা মুছে ফেলতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সালমান বাট। তাঁকে বাঁচাতে তাঁর আইনজীবী আগের দিন সব দায় চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ আমিরের ঘাড়ে। তবে আমির আর আসিফ মাজহার মাজিদের সঙ্গে যোগসাজশে স্পট ফিঙ্ংি করেছেন কি না_এ প্রশ্নে গতকালও বাট আবার পাশ কাটানো উত্তরই দিয়েছেন। ওই কৌশল অবলম্বন করেও অবশ্য রেহাই পাচ্ছেন না তিনি। অভিযোগটা ওঠার পর পরই যখন লন্ডন পুলিশ তাঁদের তলব করেছিল সেই সময়টায় বাট নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একটা মোটা অঙ্ক সরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মায়ের অ্যাকাউন্টে। এত বিশাল অঙ্ক কোত্থেকে এল এবং কেন সেটা ওই সময় মায়ের অ্যাকাউন্টে সরাতে হলো_এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
তাঁর দেওয়া তথ্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে এরই মধ্যে সাউদার্নওয়ার্ক আদালতে তলব করা হয়েছে সাবেক পাকিস্তানি কোচ জিওফ লসন ও সাবেক স্পিনার আবদুল কাদিরকে। ২০০৭-০৮ সালের দিকে লসন পাকিস্তানের কোচ থাকাকালে তাঁর অধীনে খেলেছেন বাট। আবদুল কাদিরকে ডাকার কারণটা অবশ্য অন্যরকম। মাজহার মাজিদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী তাঁর সঙ্গে ক্রিকেটারদের এজেন্ট হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন কাদিরের ছেলে। শোনা যাচ্ছে, বাটের সঙ্গে নাকি সেই ছেলের ঘনিষ্ঠতাও ছিল! ক্রিকইনফো, দি ইনডিপেনডেন্ট

No comments

Powered by Blogger.