পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা

টেস্ট জিততে হলে চাই প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার মতো বোলার। সেটা যে নেই, মুত্তিয়া মুরালিধরনের অবসরের পর থেকে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। কালও পেল আরেকবার। তাদের অনভিজ্ঞ বোলারদের দুঃস্বপ্নের মতো এক দিনে তৌফিক উমরের সেঞ্চুরি আবুধাবি টেস্টে পাকিস্তানকে বসিয়ে দিল চালকের আসনে! লংকানদের ১৯৭ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনশেষে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান তুলে নিয়েছে 'স্বাগতিক'রা।
কিন্তু এর মধ্যেও আবার ২৭ রান যে আগের দিনের!


সারা দিনে পড়েছে মাত্র একটা উইকেট, অথচ পাকিস্তান তুলেছে মাত্র ২৩২ রান! টোয়েন্টি-টোয়েন্টির যুগে এমন ব্যাটিং, শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ বোলারদের বিরুদ্ধেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা যেন যুদ্ধ করছিল।অথচ দিনের শুরুটা অন্য রকম ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। চানাকা ওয়ালেগেদারার করা প্রথম ওভার থেকেই ১০ রান তুলে নিয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। ১২৭ বলে তাঁর ৭৫ রানের ইনিংসটাকে আক্রমণাত্মকই বলতে হবে। কিন্তু আটটি বাউন্ডারি আর শ্রীলঙ্কার এই দলের সেরা বোলার রঙ্গনা হেরাথকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে মাথার ওপর দিয়ে মারা একটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি শেষ হওয়ার পর কোনো কারণ ছাড়াই নিজেদের একেবারে খোলসের ভেতরে ঢুকিয়ে নেন তৌফিক উমর আর আজহার আলী। লাঞ্চ আর চা বিরতির মাঝের সেশনটায় তাঁরা এমনকি হাফভলি বলেও খেলেছেন রক্ষণাত্মক শট, তাই ওই সেশনে রান উঠেছে ওভারপিছু দুইয়েরও কম। দিনের শেষ সেশনে অবশ্য একটু হাত খুলে খেলেছেন তৌফিক, ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ আর গত তিন টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে দিনশেষে তিনি অপরাজিত ১০৯ রানে। সঙ্গী আজহারের স্কোর ৬০। ১৪১ রানের জুটিটা গড়তে গিয়ে প্রায় ৬০ ওভার অবিচ্ছিন্ন তাঁরা দুজন। এর মধ্যে ২৯৬ বল খেলা তৌফিক মেরেছেন আটটি বাউন্ডারি আর আজহারের ১৭৬ বলের ইনিংসটি সাজানো পাঁচটি বাউন্ডারিতে। ক্রিকইনফো

No comments

Powered by Blogger.