রাজশাহীতে আবার গলা কাটা লাশ উদ্ধার

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবার এক ব্যক্তির গলা কাটা লাশ পাওয়া গেছে। ১৫ ডিসেম্বর সকালে একই জায়গায় এক পুরুষের গলা কাটা ও এক নারীর পায়ের রগ কাটা লাশ পাওয়া যায়। আজ সকালে উপজেলার তারাপুর গ্রামের দানেশ প্রামাণিকের ছেলে নূর ইসলামের (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রামের আমবাগানের ভেতরে একটি শুকনো ডোবা থেকে গলায় ও ঘাড়ে কোপ দেওয়া অবস্থায় তাঁর লাশ


পাওয়া যায়। তাঁর ঘাড়ের পেছনে এমনভাবে কোপ দেওয়া হয়েছে যে দুই কান পর্যন্ত কেটে নেমে এসেছে। আবার গলার নিচেও কোপ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর গলা কেটে পড়ে যায়নি।
নিহতের বড়ভাই সামাদ জানান, নূর ইসলাম প্রতিদিন তারাপুর বাজারে যান। আবার রাত নয়টার দিকে বাড়ি ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে গরু পাহারা দেওয়ার জন্য ঘরের বারান্দায় ঘুমান। সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে শোভার ঘরের তালা ভাঙা দেখে খোঁজখবরের একপর্যায়ে জানতে পারেন যে গ্রামের আমবাগানে তাঁর লাশ পড়ে আছে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম এমরান ও পুঠিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজিম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আতিয়ার রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার সাত দিন আগে উপজেলার শিবপুর জায়গীরপাড়া গ্রামের মাঠ থেকে শামসুল হকের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (৩৫) ও গ্রামের কৃষক আলমের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়। এই জোড়া খুনের ব্যাপারে এখনো পুলিশ কোনো কিনারা করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আতিয়ার রহমান বলেন, নূর ইসলাম যেহেতু অবিবাহিত ছিলেন, কোনো নারীঘটিত ব্যাপারে অথবা জায়গা জমি, টাকা-পয়সা কারণে পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। এক সপ্তাহ আগের জোড়া খুনের ব্যাপারে তিনি বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই তাঁরা ওই খুনের রহস্য পেয়ে যাবেন।

No comments

Powered by Blogger.