সাদাকালো-একাত্তরে বিদেশি বন্ধুদের সহমর্মিতা by আহমদ রফিক

বিজয় মাস ডিসেম্বরের লেখা ভিন্ন অনুষঙ্গে না হোক_এমন ভাবনা হয়তো অনেকেরই থাকে। ডিসেম্বর শেষ হলেই বিশেষ বৃত্ত থেকে মুক্তি, যেমন ফেব্রুয়ারি শেষ হলে আমরা মুক্ত হই একুশের আবহ থেকে। আনুষ্ঠানিকতার এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের মুক্তি মেলেনি, মিলবে বলেও মনে হয় না। লেখক বন্ধুদের প্রতি তাই অনুরোধ, তাঁরা জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোকে বর্ষব্যাপী ছড়িয়ে দেন না কেন? তাতে এগুলোতে যেমন ভিন্নমাত্রা সংযোজিত হতে পারে, তেমনি


উঠে আসতে পারে সমাজের জন্য নতুন দিক-নিশানা। তাতে ওই বিশেষ আবহে পুনরুক্তির অত্যাচার থেকে মুক্তি মিলবে। এমন সব সম্ভাবনার কথা মনে রেখেও একাত্তরের প্রসঙ্গে বিদেশি সহমির্মতার বিষয়টি কেন জানি সামনে এসে দাঁড়ায়। যখন ২৫শে মার্চের ভয়াবহতা পেরিয়ে আত্মরক্ষায় অসহায় মানুষ দুই চরিত্রে বিভক্ত হয়ে ঘরবাড়ি ফেলে সীমান্ত অতিক্রম করে ভিনদেশে পাড়ি জমায়, তখন এর অস্বাভাবিকতা, অমানবিক চেহারা কেন জানি বিশ্বের গণতন্ত্রী রাষ্ট্রনায়কদের মানবিক চেতনা স্পর্শ করে না। রাজনীতিকদের সীমান্ত অতিক্রম তো ভিন্ন কারণে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন মৃত্যুরক্ত ও নৃশংসতার দিক থেকে অনায়াসে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে প্রাত্যহিক উপভোগ্যতায় নিজেকে ডুবিয়ে দিতে পারেন, তখন বুঝতে কষ্ট হয় না, রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি শব্দটি কী নির্মম, কতটা অমানবিক হতে পারে। কিন্তু কিছুসংখ্যক মানুষ, হয়তো স্বল্পসংখ্যক মানুষ এমন নিরাসক্তিকে মননশীলতা বা হৃদয়বৃত্তির পরিচায়ক বলে মেনে নিতে পারেন না।
তাঁদের মানবিক মননশীলতা এমন সব ঘটনায় আহত হয়, যা প্রতিক্রিয়ার অস্থিরতা তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপন অসহনীয় করে তোলে। তখন সে প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটাতে হয় নিজ নিজ মাধ্যমে, বলতে হয় শৈল্পিক বা মানবিক 'ক্যাথার্সিস'। আমার মনে হয়, এ ধরনের 'ক্যাথার্সিস' ঘটাতে, নির্ভার হতে গিয়েই কোনো কোনো মানুষ অমানবিক নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান কখনো শব্দ যোজনার কথকতায়, কখনো পঙ্ক্তির পর পঙ্ক্তি সাজিয়ে, কখনো বা গানের তানে সুরে স্বরে সুর মিলিয়ে। আবার কেউ প্রবল প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্তিগতভাবে অকুস্থলে পেঁৗছে যান।
আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিভীষিকাময় দিকগুলো অনেক বিদেশি বন্ধু মানবিক চৈতন্যের সহমর্মিতায় ঢেকে দিতে চেষ্টা করেছেন আপন বৈশিষ্ট্যে, ব্যক্তিগত খ্যাতি, আভিজাত্যের মতো বিষয়াদি কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমাদের বিশ্ব আবাসের অপর পিঠে বসবাসকারী জর্জ হ্যারিসন তেমন একজন মানুষ। দুনিয়াখ্যাত বিট গায়ক জর্জ হ্যারিসন যখন একাত্তরের আগস্টে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মিতায় 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' অনুষ্ঠানে নিজেকে উজাড় করে দেন, তখন তাতে মানবিক চেতনার গভীরতম প্রকাশ ঘটে, বাংলাদেশ উপলক্ষবিশেষ।
অন্যদের তথ্য আমাদের জানায়, এ অনুষ্ঠানের উৎসমূলে ছিলেন তিন বাঙালি_রবিশংকর, আলী আকবর খান ও আল্লারাখা খান। কিন্তু এহো বাহ্য। একটি রক্তভেজা ভূখণ্ডের প্রতি সমবেদনায় সিক্ত একটি হৃদয়ের যে প্রকাশ ঘটেছিল সেই কনসার্টে, তার তুলনা বিরল। সেই কনসার্টের বিপুল মুদ্রামূল্যে নয়, বরং জর্জ হ্যারিসনের সহমর্মিতায় বাংলাদেশ তার প্রতি কৃতজ্ঞতার বন্ধনে বাঁধা পড়ে।
দুস্থ বাংলাদেশকে নিয়ে কনসার্ট, অ্যালবাম ও ফিল্ম তৈরির কারিগর লোকসংগীতধর্মী প্রতিভা জর্জ হ্যারিসনের ছিল বাংলার সঙ্গে নাড়ির টান। কিন্তু লোকসংস্কৃতির দেশ বাংলা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ দুঃসময়ের বন্ধু জর্জ হ্যারিসনকে কতটা স্মরণে রেখেছে, তাঁর কাজের কতটা রাষ্ট্রিক স্বীকৃতি দিয়েছে? বাংলাদেশ তো এতটা অকৃতজ্ঞ হওয়ার কথা নয়। নয় বলেই তো সাংবাদিক বা সংস্কৃতি মহলে বিশেষ সময়ে তাঁর কথা ফিরে ফিরে আসে।
আসে অ্যালেন সিন্সবার্গের কথা। তাঁর কবিতা 'সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড'-এর কথা। যশোর রোডের পাশে সারি সারি তাঁবু_অসুস্থ, অনাহারে শীর্ণ মানুষগুলোর চোখে-মুখে বাঁচার আকুতি। আর তাদের মধ্যে দুচোখে আশার আলো ছড়িয়ে ঘুরছেন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। সাদা-কালোয় মূর্তিমান অনুষঙ্গ। যা তাঁর কবিতার চিত্রকল্পে ফুটে উঠেছে। ফুটে উঠেছে মানবিক ট্র্যাজেডির এক অবিশ্বাস্য চালচিত্র।
কে বলে কবিতায় রাজনীতি উপজীব্য বা সুপাচ্য নয়? তাহলে তো গিন্সবার্গের 'যশোর রোড' প্রচার-পঙ্ক্তিতে পরিণত হতো। মানুষের ক্ষুধা-যন্ত্রণার পরিপ্রেক্ষিতে ভিয়েতনামে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের অমানুষিক বর্বরতা ও মার্কিন রণনীতির কট্টর সমালোচনা কবিতাটিকে বাজে কাগজের ঝুড়িতে পেঁৗছে দিতে পারত, কিন্তু তা তো হয়নি। এ কবিতা মানবিক আর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতার আবহ তৈরি করেছে। এ অবিস্মরণীয় কবিতার স্রষ্টাকেই বা আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে কতটুকু মর্যাদা দিতে পেরেছি। কিংবা পেরেছি দুই আর্জেন্টাইন মহৎ ব্যক্তিত্বকে? বিদুষী, মানবতাবাদী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকে_যাঁর পরিচিতি ছিল রবীন্দ্রনাথের বিজয়া। এবং মানবিক চৈতন্যের যুক্তিবাদী ব্যক্তিত্ব হোর্হে লুইস বোর্হেস। তাঁদের পৃথিবীর অপর পিঠে অবস্থিত বহু দূরের বাংলাদেশ-ভারত নিয়ে মাথাব্যথার কারণ ছিল না। কিন্তু ইয়াহিয়ার বর্বরতার কারণে তাঁদের মাথা প্রবল ঝাঁকুনি খেয়েছিল। তাঁরা স্থির থাকতে পারেননি।
বাস্তুভিটা থেকে বিতাড়িত পূর্ব বাংলার মানুষ ভারতের শিবিরে শিবিরে শরণার্থীর দুঃসহ জীবন-রোগব্যাধি ও মৃত্যুর নিত্য আসা-যাওয়া। বিশ্বের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা তাঁদের কাছে ওই মানবিক যন্ত্রণার বিশদ বিবরণ তুলে ধরায় স্থির থাকতে পারেননি তাঁরা। জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সাহায্যের জন্য আর্জেন্টাইন মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান তাঁরা। পেশ করেন স্মারকলিপি (১১ জুন, ১৯৭১)।
স্মারকলিপির কিছু ভাষ্য : 'পূর্ব বাংলার সাম্প্রতিক ট্র্যাজিক ঘটনায় অবিশ্বাস্য সংখ্যক মানুষ_নারী, পুরুষ, শিশু স্বদেশ ছেড়ে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে তৈরি হয়েছে এক ভয়াবহ মানবিক সমস্যা।... শরণার্থীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।... মানব-ট্র্যাজেডি জাতি বা রাষ্ট্রসীমানা মানে না।... দুর্ভাগ্যজনক হলো, পূর্ববঙ্গে যা ঘটেছে তার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিবেক যথাযথভাবে জেগে ওঠেনি।'
আর সে কারণেই ওকাম্পো, বোর্হেস ও তাঁদের সহযাত্রী_বলা চলে সহযোদ্ধাদের মনে হয়েছে, আর্তমানবতার ডাকে তাঁদের সাড়া দেওয়া উচিত। যার যতটুকু সাধ্য সেভাবেই সাড়া দেওয়া মানব ধর্ম। এমন কিছু ভাবতে গিয়ে ওকাম্পোর নিশ্চয়ই মনে পড়ে থাকবে তাঁর প্রিয় মানবতাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথের কথা। রবীন্দ্রনাথের বাংলা, রবীন্দ্রনাথের ভারত তাঁকে এবং তাঁদের উদ্দীপ্ত করে থাকবে মানবিক সহায়তায় বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে।
তাই আর্জেন্টাইন সরকারের প্রতি তাদের আহ্বান, যাতে তারা বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও মানব সংহতির প্রতি বিশ্বস্ত থেকে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে সর্বোচ্চ মাত্রায় সাড়া দিয়ে পূর্ব বাংলায় আরোপিত দুর্দশা লাঘবের চেষ্টা চালায়।
আমরা সম্প্রতি আর্নল্ড জেটলিন ও স্যাল উইলোবিকে স্বাধীনতার ৪০ বছর উপলক্ষে বেসরকারি পর্যায়ে হলেও আমন্ত্রণ জানিয়ে এ দেশের মাটিতে সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি। শুনেছি, বাল্টিমোরে কী দুঃসাহসিক চেষ্টায় সেদিনের তরুণী স্যালি ও তাঁর সঙ্গীরা পূর্ব বাংলায় নর-নারী হত্যার জন্য মার্কিন অস্ত্রশস্ত্রের চালান জাহাজে করে পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন। এটা শুনেছি আজকের বর্ষীয়সী স্যালি উইলোবির মুখে। আমরা চাইব, এদের নানামুখী অবদানের স্বীকৃতি রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে আসুক।
আমরা জানি, কুখ্যাত ইয়াহিয়া-টিক্কা জান্তা পঁচিশে মার্চ রাতে তাদের অপারেশন সার্চলাইটের হত্যাযজ্ঞ বিশ্ববিবেকের অগোচরে সংঘটিত করতে ৩৫ জন বিদেশি সাংবাদিককে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আটকে রাখে। তা সত্ত্বেও এক ফাঁকে সাইমন ডিং তাঁদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাদে চলে যান, নৃশংসতার কিছু ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করেন। কারফিউ শিথিলের পর ঢাকা ঘুরে পাকিস্তানি বর্বরতার সংবাদভাষ্য তৈরি করেন ডেইলি টেলিগ্রাফের জন্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এপির আলোকচিত্রী মাইকেল লরেন্ট।
তাঁরা বিপদ সঙ্গী জেনেই মানবিক বোধের তাড়নায় পাকিস্তানি বর্বরতার রূপ বিশ্ববাসীর চোখের সামনে তুলে ধরেছিলেন। আর তাতেই মানুষ জানতে পারে গণহত্যার ঘটনা, যা লুকোতে চেয়েছিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার। কিন্তু পারেনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। লন্ডনস্থ পত্রিকা গার্ডিয়ানের আরেক তুখোড় সংবাদদাতা মার্টিন অ্যাডনি কাজটা শুরু করেন দিন কয়েক আগে, স্বাধীনতা যুদ্ধের এক চিলতে সম্ভাব্য চিত্র দেখে নিতে। লেখেন 'বাঙালি ছেলেরা' শিরোনামে রিপোর্ট, ছাপা হয় ২৩ মার্চ (১৯৭১)।
এই সাংবাদিকেরই তিনটি রিপোর্ট, যা তুলে ধরে ঢাকায় ছাত্রহত্যা, গণহত্যার বীভৎস রূপ। ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন মার্টিন সাইমন ডিংয়ের মতো করেই। ঢাকা থেকে বস্তুত তাঁদের প্যাক করে যেভাবে করাচি নিয়ে গিয়ে যাঁর যাঁর কর্মস্থলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সে অসভ্যতার বিবরণও তিনি দিয়েছেন, যা পড়ে মননশীল মানুষ মাত্রেরই মাথা হেঁট হবে। 'টাইমস', 'ডেইলি টেলিগ্রাফ' বা 'অবজারভার'-এর সাংবাদিকদের মতো নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা সিডনি শ্যানবার্গও ঢাকা থেকে পালিয়ে বোম্বে থেকে ছোট যে প্রতিবেদন পাঠান তাঁর পত্রিকায়, এর গুরুত্বও কম ছিল না।
তবে তিনি বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবার ফিরে আসেন দিলি্লতে এবং সীমান্ত অতিক্রম করে নানাভাবেই মাঝেমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁর পত্রিকার জন্য। এর মধ্যেই একাধিক পাকিস্তানি আর্মি অফিসারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে সংগ্রহ করেছেন ভয়াবহ ঘটনাবলির তথ্য, সেই সঙ্গে পাকিস্তানি সেনা অফিসারদের হত্যাকাণ্ডবিষয়ক নির্বিকার মন্তব্য, হিন্দু সম্প্রদায়কে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত বা নিঃশেষ করার পরিকল্পনা। যা পড়লে বা শুনলে মনে প্রশ্ন জাগবে : এরা কি মানুষ পদবাচ্য জীব? ইহুদিদের হত্যার মতো পূর্ববঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের এই নির্বিচার হত্যা নাৎসি অপরাধের চেয়ে কোনো অংশে কম গুরুতর নয়। সে কথা আমরা কজন মনে রেখেছি?
তাঁদের রিপোর্ট গণহত্যার ৪০ বছর পর আজও সজীব, যা এ দেশে সূচিত যুদ্ধাপরাধের বিচারে সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে স্বীকৃত ও গৃহীত হওয়ার যোগ্য। পূর্ব বাংলার নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতায় এদের ভূমিকা অসাধারণই নয়, মৃত্যুহীন। এদের অনেকে গোটা ৯ মাস যুদ্ধকালীন পাকিস্তানি বর্বরতার ঘটনাবলি শব্দচিত্রে ও আলোকচিত্রে তুলে ধরেছেন। নাড়া দিতে চেয়েছেন বিশ্ববিবেক, রাষ্ট্রপ্রধানদের নির্বিকার শীতলতায়।
এ কাতারে রয়েছেন আরো একাধিক সাংবাদিক_পিটার হ্যাজেল হার্স্ট, সিরিল ডান, অ্যান্থনি ম্যাসকারেনাস এবং আরো অনেকে। আজ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, তখন তাঁদের সাক্ষ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। তা ছাড়াও সত্যকে যথাযথ মূল্যে স্বীকার করায় রয়েছে মানবিক মূল্যবোধের প্রকাশ। তাই আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অপরিহার্য দায়িত্ব এসব সাংবাদিককে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসা, তথ্যসহ তালিকাভুক্ত করা। তাঁদের মধ্যে যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা। সবশেষে জাতীয় কর্তব্য, তাঁদের সম্মানজনক স্বীকৃতি প্রদান। শেষ মুহূর্তে চোখে পড়ল মার্কিন আলোকচিত্রী লিয়ার লেভিন নামটি। এমন আরো অনেকে আছেন, যাঁদের নামের তালিকা তৈরির দায়িত্ব একাত্তরের যুদ্ধের ফসল বাংলাদেশের, তার সরকারের। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সক্রিয় হতে পারে।
লেখক : ভাষাসংগ্রামী, কবি,
রবীন্দ্র গবেষক ও প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.