এসএমই মেলায় প্রধানমন্ত্রী-গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকার সহনশীলতা দেখাচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে সরকার ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে বিরোধী দলের গত রোববারের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড’ সহ্য করেছে। গতকাল মঙ্গলবার নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী পঞ্চম ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলা-২০১১ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন
করেছে। খবর বাসস ও ইউএনবির। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা সহনশীলতা দেখাচ্ছি। বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্দোষ প্রমাণিত হলে সে বেরিয়ে আসবে। এখানে সমস্যার কী আছে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত শক্তির সহায়তায় সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করছে। লুটপাট ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জঙ্গিবাদের মদদদাতারা দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, যুদ্ধাপরাধী, অর্থ পাচারকারী ও এতিমদের অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচার এ দেশে হবেই। যারা অর্থ পাচার, লুটপাট, এতিমদের টাকা আত্মসাৎ ও অন্যান্য অপকর্মে জড়িত, সরকার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দোষটা কোথায়?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যদি এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দেশ এগোবে কীভাবে? রোববারের ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে কী যুক্তি ছিল? নির্বাচনই হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো সরকার পরিবর্তনের উৎকৃষ্ট পন্থা।
প্রধানমন্ত্রী বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবস্থাপনা এবং পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি যত্নবান হতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ‘রূপকল্প-২০২১’ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশে একটি শক্তিশালী শিল্প খাত গড়ে তুলতে আগ্রহী।
ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঘি-মাখন খাওয়ার কিংবা ভোগ-বিলাসের জন্য এই ঋণ নিচ্ছি না। সরকার সড়ক ও সেতু নির্মাণের মতো অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি এবং মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক জসীমউদ্দিন।
৬৪টি এসএমই শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং ৩৪টি ব্যাংক ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। এই মেলা ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.