তৃতীয় যাত্রায় নেমেসিস by কামরুজ্জামান মিলু

ম্প্রতি ডেডলাইন মিউজিকের ব্যানারে বাজারে এসেছে 'নেমেসিস' ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম 'তৃতীয় যাত্রা'। অ্যালবামটি তৈরির গল্প ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন কামরুজ্জামান মিলু ১৯৯৯ সালের কথা। রাতুল ও জোহাদ ছিলেন সাউথব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের একই ক্লাসের ছাত্র। সুযোগ পেলেই দুই বন্ধু মিলে গিটার ও গানের অনুশীলন শুরু করতেন। এর আগে থেকেই মাহের খান ব্যান্ডের ফাউন্ডার মেম্বার ছিলেন। আর ব্যান্ডের শুরুতে প্রথম


ইয়ামার, নন্দিত ও রাতুল ছিলেন। কিন্তু পড়াশোনার জন্য হঠাৎ করে বিদেশে চলে যান ইয়ামার ও নন্দিত। দল থেকে চলে গেলেও দেশে এলে শোতে অংশগ্রহণ করতেন ইয়ামার। একই স্কুলের জুনিয়র ছাত্র ছিলেন ডিও এবং ওমায়ের। তাঁরাও বেশ ভালো বন্ধু। ইয়ামার চলে যাওয়ার পর তাঁরা দুজন ব্যান্ডে জায়গা করে নেন। এরপর পুরোপুরি প্রস্তুত হয় পূর্ণাঙ্গ ব্যান্ডদল নেমেসিস। অবশ্য নেমেসিস নামটা দেন একসময়ের কিবোর্ডিস্ট ফারিয়া। ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম 'অন্বেষণ' প্রকাশ পায় ২০০৫ সালে। প্রথম অ্যালবাম নিয়ে মাহের খান বলেন, 'প্রথমে একধরনের পরীক্ষামূলক অ্যালবাম তৈরি করেছিলাম। ভয়েস এবং সাউন্ডে সামান্য ঝামেলা ছিল। অর্থহীনের সুমন ভাইয়ের সহযোগিতায় তাঁর বাসায় গিয়ে গান রেকর্ড করতে হয়েছে। এ জন্য তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।'
তবে প্রথম অ্যালবামেই শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেয় 'নেমেসিস'। অ্যালবামের 'বিবর্ণস্রষ্টা' ও 'অবচেতন' শিরোনামের গানগুলো দারুণ শ্রোতাপ্রিয় হয়। মিঙ্ড অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে 'দিনবদলে' অ্যালবামের 'দুঃস্বপ্ন', 'আন্ডারগ্রাউন্ড-২'-এর 'জয়ের ধ্বনি' এবং 'রঙ'-এর 'মৃত্যুছায়া'। গানগুলোর লাইভ ভার্সন বিভিন্ন কনসার্টে শ্রোতাদের ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম 'তৃতীয় যাত্রা' বাজারে আসে। এ অ্যালবামের রক ও হার্ডরক গানগুলো ইতিমধ্যে শ্রোতারা পছন্দ করেছেন।
দীর্ঘ সময় পর অ্যালবাম প্রকাশের ব্যাপারে জোহাদ বলেন, 'আমরা অনেক সময় ধরে ও চিন্তাভাবনা করে গানগুলোর টিউন করেছি। এ ছাড়া অদ্ভুত একটা ঘটনা হয়েছিল স্টুডিওতে। কয়েক মাস রেকর্ডিং করার পর হঠাৎ স্টুডিও থেকে ফোন আসে হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করেছে।'
কথা কেড়ে নিয়ে ওমায়ের বলেন, 'আমরা অনেক টেনশনে ছিলাম। পুরো কয়েক মাসের হাড় খাটুনির পরিশ্রম বুঝি নষ্ট হয়ে গেল। এরপর এর সমাধানের জন্য শেষ পর্যন্ত হার্ডডিস্কটা সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুর থেকে চার মাস পর ঠিক করে আনা হয়। তারপর আমাদের রক্ষা।'
অবসর পেলেই গুলশান-১-এর বেঞ্চ ইনকিউরিশন ক্যাফেতে সপ্তাহে দুদিন একসঙ্গে সবাই প্রাকটিস করেন। এ ছাড়া নতুন অ্যালবামের 'কবে বীর' গানটির মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে এবং শিগগিরই বৈশাখী টেলিভিশনে এ গানটির ভিডিও দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন।
বেসগিটারিস্ট রাতুল বলেন, 'বর্তমানে নিয়মিত শো করতে চাই। এ ছাড়া নতুন অ্যালবামের আরো বেশ কিছু গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করতে চাই। মিউজিকের পাশাপাশি ব্যান্ডের ওমায়ের (গিটার) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ও রাতুল (বেস) একটি অ্যাডভার্টাইজিং ফার্মে কপি রাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বর্তমানে নিয়মিত শো ও ২০১৩ সালের শেষের দিকে নতুন অ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হতে চায় নেমেসিস।

ব্যান্ডের বর্তমান লাইন-আপ :
জোহাদ (ভোকাল এবং গিটার), মাহের খান (গিটার এবং ভোকাল), রাতুল (বেস গিটার), ওমায়ের (গিটার), ডিও (ড্রামস)।

No comments

Powered by Blogger.