প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

রবিবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়ন শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই শান্তি ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গণজাগরণের সৃষ্টি হচ্ছে।


তিনি জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে শান্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের জন্য জনগণের ক্ষমতায়ন শীর্ষক তাঁর উপস্থাপিত মডেল আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার জন্য উপস্থিত বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান এ ধারণাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটি বিশ্বমানবের কল্যাণে একটি ধ্রুপদী, সর্বজনীন ও কার্যকর মডেলে পরিণত হবে।’
উল্লেখ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে ভাষণদানকালে শান্তির একটি নতুন মডেল উপস্থাপন করেছিলেন। তখন তিনি তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে শান্তির রূপরেখাটি তৈরি করেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর সারাজীবনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্মিত এই মডেলটিতে রয়েছে ছয়টি ক্রিয়াশীল বিষয়; যেগুলো শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে। বিষয়গুলোÑ ক্ষুধা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য দূরীকরণ, বঞ্চনা লাঘব, ঝরেপড়া মানুষদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং সন্ত্রাসবাদের মূল্যোৎপাটন।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আরও বলেন, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজে দারিদ্র্য, অসাম্য, বঞ্চনা এবং প্রান্তিকীকরণ বৃদ্ধি পায়। শেষ পর্যন্ত এগুলো উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয়। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির মডেলটি যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো, তাহলে হয়ত পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিত ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অন্যায়, অবিচার, বৈষম্য, কুশিক্ষা ইত্যাদি। তাই আজ সময় এসেছে কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী এই শান্তির মডেলটিকে ছড়িয়ে দেবার। আর এভাবেই সম্ভব পৃথিবী থেকে স্থায়ীভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

No comments

Powered by Blogger.