ঈদের পরে আন্দোলন, নাকি সংলাপ by মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী

সংযমের মাস রমজান হলেও বাহারি ইফতারি আয়োজন এবং রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা প্রদান যেন থেমে নেই, বরং বছরের অন্য সময়ের চাইতে খাওয়া-দাওয়াও এ সময়ে ভালই হচ্ছে, রাজনৈতিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতাও জমে উঠেছে। ইফতার পার্টিতে মোনাজাতের আগে একটুখানি হলেও রাজনৈতিক বক্তৃতা না হলে যেন অপূর্ণতা থেকে যাচ্ছে


আয়োজকদের মনে। যারা টেবিলে সুস্বাদু ইফতারি নিয়ে বসে থাকেন তাদের কাছে বক্তৃতা শোনার কোন আগ্রহ থাকে কিনা জানি না, তবে গণমাধ্যমের চাহিদা পূরণের জন্য নেতৃবৃন্দ রাজনীতি নিয়ে যা বলার তা বলেন-যা সন্ধ্যার পর পত্রপত্রিকা, চ্যানেলগুলোর খবর ও টকশোকে বেশ জমিয়ে রাখছে।
এবার রমজানের আগে থেকেই বিরোধী দল বলে আসছে যে, ঈদের পর তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে প্রয়োজনে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলবে। কয়েক মাস আগে অবশ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা একটু বড়ই ছিল। বিদ্যুত নিয়ে মানুষের কষ্টকর জীবন যাপন, লোডশেডিং যেন কিছুতে কমছিল নাÑযতই কুইক রেন্টালে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানোর দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু গরমের মৌসুমে লোডশেডিং কমানো যাচ্ছিল না। তাতে মানুষ সরকারের ওপর এ বছরও বেশ বিরক্তই ছিল।
কিন্তু গত কয়েক মাসে বিদ্যুত উৎপাদন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করায় লোডশেডিং এখন নেই বললেই চলে। এবার রমজানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিদ্যুত নিয়ে অভিযোগ করার কথা শোনা যাচ্ছে না। ফলে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্যুত ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তোলার সুযোগ বিরোধী দলের হাতছাড়া হয়ে গেছে বলতে হবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে গত কয়েক বছর যে বিশৃঙ্খলা ছিল এবার রমজানে হাতেগোনা কয়েকটি পণ্য ছাড়া অধিকাংশ পণ্যসামগ্রীর মূল্যই স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণে আছে। ফলে বাজারে কোন হাহাকার শোনা যাচ্ছে না। কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশে নীরবেই বড় ধরনের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ফলে গ্রামের কৃষক, সাধারণ মানুষ, শহুরে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরাও রোজার আগে যে আশঙ্কা করছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ে সেটি বাস্তবে ঘটেনি। ফলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার ইস্যু হিসেবে দ্রব্যমূল্য এবার তেমন কোন কাজে লাগার পর্যায়ে নেই বলেই মনে হয়। বরং রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে এবার এক ধরনের স্বস্তি প্রকাশের অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে বিরোধী দলের আন্দোলন সৃষ্টি করার হিসেবে একটু গড়বড় হয়ে গেছে।
গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে রমজানের আগে যে ধরনের অস্থিরতা কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছিল সেটি এখনও পর্যন্ত নতুন করে আর দেখা যাচ্ছে না। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মিডিয়া এবং রাজনীতিতে উত্তপ্তভাব ততটা হওয়ার কোন কারণ নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থায় গত বছর যে ধরনের সঙ্কট ছিল, এবছর সে ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আনা গেছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চাহিদামতো যানবাহন দেওয়া সম্ভব হবার নয়। তবে মনে হচ্ছে এ বছর এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আগের চাইতে উন্নতি ঘটেছে। ফলে বিরোধী দলের এ নিয়েও আন্দোলন জোরদার করার সুযোগ কমে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়েও ঘোরতর অভিযোগ নেই। সবকিছু মিলিয়ে এবার রমজানে অভিযোগের তালিকাটি ছোট হয়ে এসেছে। ফলে বিরোধী দলের জোরালো অভিযোগ করার সুযোগ নেই বললেই চলে। পদ্মা সেতু নিয়েও আলোচনা-পর্যালোচনা নতুন উদ্যোগ চলছে। মনে হচ্ছে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সরকার পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর একটি ঘোষণা দিতে পারবে। ফলে রমজানের আগে পদ্মা সেতু নিয়ে যে শোরগোল মিডিয়া এবং রাজনীতিতে শোনা গিয়েছিল, মনে হচ্ছে রমজান শেষে এটি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন দাঁড় করানোর তেমন বেশি সুযোগ থাকবে না।
যে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করার ঘোষণা বিরোধী জোট থেকে বেশ আগে থেকেই দেওয়া হচ্ছিল তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন কোন্্ পদ্ধতির সরকারের অধীনে হবে। বিএনপি এবং এর মিত্র জোট আশা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক জনমত গঠন করতে পারবে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা শুনে মনে হচ্ছিল যে, বাংলাদেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি ব্যাপকভাবে অনেকটা শতভাগ আস্থাশীল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ এ বিষয়ে আগের অবস্থানে এখন আর নেই। অতীত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর অভ্যন্তরীণ মৌলিক দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির সম্ভাবনা, ১/১১-এর মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা ইত্যাদি থেকে জনমনে বড় ধরনের দ্বিধাগ্রস্তভাব তৈরি হয়েছে, আস্থা-অনাস্থার দোলাচলে দোলার প্রবণতা বেড়েছে। সাধারণ মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কায়মনোবাক্যে চাচ্ছে। কিন্তু পূর্ববর্তী ৩টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখবর ছিল না। ফলে শুধু তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এখনই সরকার পতনের লক্ষ্যে আন্দোলন সৃষ্টি করা যাবেÑএমনটি খুব কম মানুষই ভাবছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন ৫ বছর পর নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের রায় দিতে পাচ্ছে, রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর, পোড়াপুড়ি ইত্যাদিতে অংশ নেয়ার কথা দলীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষ খুব একটা ভাবছেন না, প্রয়োজন আছে বলেও মনে করে না। তা ছাড়া মানুষ এখন মনে করে যে, নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় আরও ব্যাপকভাবে সংস্কার আনা ছাড়া শুধু একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় বসলেই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে না। সুতরাং সাধারণ মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়বে এমনটি ভাবার পর্যায়ে এখন আর নেই। মানুষের এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারপরও বিএনপি আশা করেছিল যে, এই ইস্যুর সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাকে তুচ্ছ করে একটা যে, এই ইস্যুতে জোরালো কোন আন্দোলন গড়ে তোলা যাবে। এখন মনে হচ্ছে সে ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থার নতুন প্রস্তাব মৃদু শীতল বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি করে দিয়েছে। দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ এ নিয়ে ইতিবাচক মতামত দিতে শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার তাগিদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে সম্ভব হলে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে, দেশের ভবিষ্যত সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর দাবি সাধারণ মানুষের দিক থেকেই উঠছে। এটি সরকার এবং বিরোধী দলের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন আগের চাইতে অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠেছে। প্রধান দুই দলের ব্যাপক সমর্থক থাকার পরও দেশের ৩৫-৪০ শতাংশের মতো মানুষ উভয় দলকেই বেশ চাপে রাখার অবস্থানে আছে। তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটেই জাতীয় নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে কোন দলের জয়লাভের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তারা যে দলে আচরণে ভোটের আগে মোটামুটি সন্তুষ্ট হয়, তাদের কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানায়, দেশের রাজনীতি ও নির্বাচনী ফলাফল সেদিকেই মোড় নেয়। এবার এ স্তরের মানুষ দৃশ্যত নীরবতা দেখালেও দেশে আন্দোলনের নামে কোন হানাহানি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে বলে মনে হয় না। এদের ভাবনা চিন্তাকে তোয়াক্কা না করে বিরোধী দল কোন আন্দোলন জোরদার করতে পারবে না। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা বিধান না করলে সরকারের ওপর তাদের আস্থায় বড় ধরনের চিড় ধরবে এটিও জানা থাকা ভাল। এক্ষেত্রে সরকার কিভাবে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবে, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ধরে রাখবেÑসেটি সাধারণ মানুষ, দলনিরপেক্ষ ভোটারগণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এখনও জনগণের একটি বড় অংশই মনে করছে যে, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারীর মতো কোন নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে না। বরং বিএনপি ওই দু’টি নির্বাচনের কারণে জনগণের কাছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিদার হতে পারছে না। বিএনপির ভাবমূর্তি নিয়ে এক্ষেত্রে বড় ধরনের আস্থার সঙ্কট বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়াদের শাসনামলে স্থানীয় সরকার, উপনির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে সরকার থেকে হস্তক্ষেপ করার নজির নেই। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে বিএনপি আওয়ামী লীগকে যেভাবেই বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রতিদিন উপস্থাপন করছে বা চিত্রায়িত করছে, বাস্তবে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আর ফিরে আসার অবস্থানে এখনও দেখতে পাচ্ছে না। তবে ২০০৯ সালে যে বিপুল প্রত্যাশা সৃষ্টির মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার যাত্রা শুরু করেছিল, সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু হতাশা, ক্ষোভ এবং অভিযোগও তৈরি হয়েছে। কিন্তু তাই বলে কোন কোন মহল থেকে যেভাবে নেতিবাচক ধারণা দিয়ে এখনই আগামী নির্বাচনের ফলাফলের কথা বলে দেওয়া হচ্ছে, বাস্তব অবস্থা সেরকম কতটা সেভাবে বলার ভিত্তি কী সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আসলে ভবিষ্যত নিয়ে এখনই এতখানি নিশ্চিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগেই বলেছি, ৩/৪ মাস আগেও সাধারণ মানুষ বিদ্যুত, গ্যাস, দ্রব্যমূল্য, অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি নিয়ে যতখানি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনামুখর ছিলÑএই মুহূর্তে অনেক ক্ষেত্রেই তা নেই। তবে সরকারের কোন কোনো নেতার কথাবার্তা, অবস্থান এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ আছে, হতাশাও রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দোলাচলের অবস্থা এখনও চলছে, মনে হচ্ছে আরও চলবে। সরকার যদি মেয়াদের আগামী সময়টুকুতে সাধারণ মানুষের জন্য আস্থার জায়গা আরও বেশি তৈরি করতে পারে তাহলে পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে যেতে পারে। যে পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু দিন আগেও মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলো বড় ধরনের হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। সেই পদ্মা সেতুর তদন্তে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন, সেতুর কাজও যদি শুরু হয়ে যায় তা হলে সমালোচনার মুখে সেই সব মিডিয়া এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বই বেশি পড়বেÑযারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্যভাবে তখন লেখালেখি ও সমালোচনা করেছেন, তাতে নতুন করে সরকারের ভাবমূর্তি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, অন্যদিকে সামনের দিনগুলোতে যদি সরকার ভুলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তাহলে বিরোধী দল কিছু না করেও লাভবান হবে। সরকার এ মুহূর্তে রাজনীতিতে বেশ একটি জটিল ও কঠিন সময় পার করছেÑযখন সাফল্যের তালিকা বৃদ্ধি করার ওপর তাদের ভবিষ্যত রাজনীতির অনেক কিছুই নির্ভর করছে। তা করতে ব্যর্থ হলে বিএনপির আন্দোলন করারও হয়ত খুব বেশি প্রয়োজন পড়বে না। এটি রাজনীতির খুব সহজ-সরল হিসাব। সেই হিসাব আওয়ামী লীগ জানে নাÑতা বোধ হয় ভাবা ঠিক নয়। জানে বলেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি ধারণা উপস্থাপন করে বিরোধী দলের আন্দোলনে শেষ অস্ত্রটি আপাতত মনে হচ্ছে দুর্বল করতে পেরেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে সরকার সোয়া এক বছর কাটিয়ে দিতে চাচ্ছে। তেমন সরল হিসাব যথার্থ হওয়ার নয়। কেননা, যে ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল জনসমর্থন টানার সুযোগ পাবে তা কেন সরকার প্রলম্বিত করবে? তাতে সরকারের লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশি হবে। শেষ মুহূর্তের পরিবেশ নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সুতরাং, শান্তিপূর্ণ উপায়ে মেয়াদ শেষ করা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ যদি সত্যিকার চমক সৃষ্টি করতে পারে সেটি আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিএনপি চাইবে সঙ্কট ঘনীভূত করে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগকে বিদায় দেয়ার। আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ ১৮ দলকে দেবে কী?

No comments

Powered by Blogger.