অপহরণের পর চার বছরের শিশুকে হত্যা- পানির ট্যাঙ্ক থেকে লাশ উদ্ধার

রাজধানীর দারুসসালাম এলাকা থেকে পানির রিজার্ভ ট্যাঙ্ক থেকে নাইম নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অপহরণের পর নাইমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে শিশুটির পরিবারের অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৪ জনকে আটক করছে।


অপরদিকে গাবতলীতে গাড়ির চাকা ফেটে এক শিশু এবং কুড়িলে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার গভীররাতে রাজধানীর দারুসসালাম থানাধীন আনন্দনগর এলাকার একটি বাসার পানির রিজার্ভ ট্যাঙ্ক থেকে নাইম নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাইমের মামা বাচ্চু মিয়া জানান, দারুসসালাম থানাধীন বাজারপাড়ার ১১৩ নম্বর বাড়িতে বসবাস করছে নাইমের পরিবার। শনিবার সন্ধ্যায় নাইম নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়। সোমবার রাতে পানির ট্যাঙ্কি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে দেখা যায় ভেতরে পানিতে ভাসছে নাইমের লাশ। পরে পুলিশ নাইমের লাশ উদ্ধার করে। নাইমের বাবা রাজু মোল্লা অভিযোগ করেন, গত রোজার ঈদের ২/৩ দিন আগে স্থানীয় সজিব, রাকিব ও রানা শিশু নাইমকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বলাৎকার করে। এ নিয়ে মহল্লার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচার-সালিশ হয়। সেই ঘটনার জের ধরে নাইমকে অপহরণের পর সজিবসহ তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করে লাশ ট্যাঙ্কেতে ফেলে দিতে পারে।
দারুসসালাম থানার উপ-পরিদর্শক বিমল চন্দ্র পাইন জানান, নাইমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আনন্দনগর ১১৩ নম্বরে অবস্থিত নাইমের নিজ বাসার পানির ট্যাঙ্ক থেকে নাইমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। গুম করে হত্যার অভিযোগে রানা (২৮), আমেনা বেগম (৩৫) ও তার দুই ছেলে সজিব (১৩) ও রাকিবকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি হত্যাকা- বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাইমের শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের নাইম হত্যাকা-ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে গাবতলীর খালেক কাউন্টারের সামনে বিকট শব্দে গাড়ির চাকা ফেটে যায়। এতে প্রচ- ঝাঁকুনিতে চাকায় থাকা লোহা ছিটকে পাশেই কর্মরত সুবর্ণা (৮) নামে এক শিশুর মাথায় মারাত্মক আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুবর্ণার মৃত্যু হয়। সুবর্ণার পিতা তুহিন আহমেদ পেশায় দিনমজুর। মা হোসনা বেগম কাউন্টারের সামনে আল্লাহর দান নামের একটি হোটেলে থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ করেন। মা হোসনা বেগম জানান, পার্কিং করা একটি বাসের চাকা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চাকা থেকে লোহা ছিটকে সুবর্ণার মাথায় লাগে। আর তাতেই সুবর্ণার মুত্যু হয়। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায়। তারা গাবতলীতেই বসবাস করছেন।
এদিকে সকালে কুড়িল বিশ্বরোড রেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা পাশেই নির্মাণধীন ফ্লাইওভারের নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেলক্রসিং বন্ধ ছিল। দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসছিল। নিহত দুই শ্রমিক মাথায় ভারি জিনিসপত্র নিয়ে একদিকের ট্রেন দেখে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় অন্যদিকের ট্রেনটি এসে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে দুইজনই ট্রেনের নিচে পড়ে যান। এতে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে দুইজনই সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.