এবার কার পালা?- ক্যারেন এলিয়ট হাউস

দূর থেকে মনে হয় সিরিয়া, মিসর ও লিবিয়ায় যেভাবে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে, সৌদি আরব তা থেকে মুক্ত, নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবে মধ্যপ্রাচ্যে এক স্থিতিশীল মরূদ্যান হওয়ার পরিবর্তে সৌদি আরব বরং তার নিজস্ব সঙ্কটের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।


১৯৫৩ সালে মৃত্যু পর্যন্ত রাজ্য শাসনকারী সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের বয়োবৃদ্ধ সন্তানরা জীবনের শেষপ্রান্তে উপনীত হচ্ছেন। এমনটি হওয়ার কারণে সৌদি আরবের ভবিষ্যত সর্বকালের মধ্যে ঘোরতর আশঙ্কার মধ্যে পতিত হয়েছে, যে দেশটির তেল সম্পদের ওপর বিশ্ব নির্ভরশীল।
বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লাহর বয়স প্রায় নব্বই বছর এবং তিনি অসুস্থ। পরবর্তী উত্তরাধিকারী যুবরাজ সালমানের বয়স ছিয়াত্তর বছর। রাজ-পরিবার পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট ভাই ও সৎভাইদের রাজ্যশাসনের দায়িত্ব দিতে পারবে। কিন্তু এদের মধ্যে সবচেয়ে যিনি বয়ঃকনিষ্ঠ তাঁর বয়স সত্তর ছুঁই-ছুঁই। কারোরই এখন আর তীক্ষ ধীশক্তি ও কর্মক্ষমতা নেই কিংবা নিম্ন মানের শিক্ষা, অত্যধিক বেকারত্ব, একটি দুর্নীতিবাজ আমলাতন্ত্র, জড়বৎ অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান যুবশ্রেণী ও হতাশাগ্রস্ত সমাজের পর্বতপ্রমাণ সমস্যা সমাধানকল্পে সংস্কারের যুগকে এগিয়ে নেয়ার মতো সময় পর্যন্ত নেই তাঁদের। এসব অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ বৈদেশিক চ্যালেঞ্জসমূহ দ্বারা জটিলতর হচ্ছে যার মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের হাঙ্গামা-বিশৃঙ্খলা, সংস্কারকামী ইরান সরকারের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্যমান ক্ষয়িষ্ণু সম্পর্ক।
সৌদি আরবের স্থিতিশীলতার তিনটি ঐতিহাসিক স্তম্ভে ফাটল শুরু হয়েছে। তেল বিক্রি থেকে প্রাপ্ত বিশাল পরিমাণ অর্থ, যা নাগরিকদের মধ্যে অকর্মন্যতা সৃষ্টি করেছে। ফলে তেলের সর্বোচ্চ উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে এবং অতিদ্রুত এর অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌদি সংসদ কর্তৃক আইনগতভাবে বৈধতাপ্রাপ্ত ওহাবি-সমর্থিত মতাদর্শ ক্রমশ কোপন স্বভাবসম্পন্ন হয়ে উঠছে এবং জনগ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। বর্তমানে রাজপরিবারের মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তির কারণে দেশটি সঙ্কটের মধ্যে আছে; যা একে উত্তরাধিকার-দ্বন্দ্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সৌদি রাজপরিবারের পছন্দে হোক কিংবা আল্লাহর ইচ্ছায় হোক, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নতুন প্রজন্মের হাতেই যাচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন ঝুঁকি কিংবা সুযোগ। সুযোগ আসবেই। অন্তত নীতিগতভাবে বলা যায়, সৌদি রাজপরিবারের শিক্ষিত, অধিকতর মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন এবং সর্বোপরি অধিক কর্মক্ষম একটি নতুন প্রজন্ম নীরব ক্রোধে অন্তঃবিক্ষুব্ধ জনগণের কল্যাণে দক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার উপহার দিতে পারে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে দেশের বহুমাত্রিক সমস্যা মোকাবিলার কাজ শুরু করতে পারে।
এখানে যেহেতু বাজির হারজিতের বিষয় জড়িত, সুতরাং ভয়ের ব্যাপার এই যে, বিচ্ছিন্ন ও দ্বিধাবিভক্ত রাজপরিবার সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় পড়বে অথবা খ--বিখ- হয়ে আরও খারাপ অবস্থায় পড়বে। নতুন একজন যুবরাজের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি এখানে মুখ্য নয়; কিন্তু এখানে যেটি আশঙ্কার বিষয় তা হলো, তাঁর বংশের লোকজনরা অন্যদের সুযোগ বন্ধ করে এই পরিবারের কোন রাজপুত্রকে, তারপর তাঁর পুত্রকে এভাবে ক্ষমতার মসনদে চিরস্থায়ীভাবে আসীন করতে চাইবে।
প্রায় ষাট বছর ধরে মতৈক্যের ভিত্তিতে এক ভাইয়ের অবর্তমানে পরবর্তী ভাইয়ের কাছে সৌদি রাজক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়ে আসছে ঘটনাক্রমে কেউ নেতৃত্বদানে অক্ষম ও অনুপযুক্ত হলে এই নিয়মের ব্যত্যয় হয়; অন্যথায় জ্যেষ্ঠতার চিরাচরিত রীতি অনুসারে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। যিনিই রাজক্ষমতায় থেকেছেন, তিনিই তাঁর পুত্রদের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদে নিয়োগের ব্যাপারে আনুকূল্য প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু তিনি এটি অনুধাবন করেছেন যে, তাঁর পরে তাঁর ছেলেরা নয় ভাইয়েরাই হবেন রাজক্ষমতার অধিকারী। এই নিয়মটি অন্য যে কোন রাজতন্ত্রের মতো নয়। কিন্তু এটি এমন একটি রাজ্য, যেখানে রাজপুত্ররা বহুসংখ্যক মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন এবং এভাবে প্রত্যেক স্ত্রীর গর্ভে বহু সন্তান উৎপাদন করতে পারেন। এটাই নিয়ম এবং তা ব্যাপকভাবে কার্যকর রয়েছে। রাজপরিবারকে সম্ভাব্য ঝুঁকির কবল থেকে মুক্ত, নিরাপদ রাখতে অধিক বয়োবৃদ্ধ ও দুর্বল যেসব যুবরাজ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশই পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের পছন্দের লোক। কিন্তু তাঁরা নিজেদের জন্য যাদেরকে নিরাপদ মনে করছেন, বস্তুত তাঁরা দেশের জন্য বিপজ্জনক। সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধ্যা সমাজ ও অর্থনীতিকে রক্ষার উদ্দেশে তরুণ ও অধিকতর মুক্তমনা রাজনীতিক মিখাইল গরবাচেভের আবির্ভাব পর্যন্ত লিওনিদ ব্রেজনেভ থেকে ইউরি অন্দ্রোপভ, আন্দ্রোপভ থেকে কনস্টান্টিন চেরনেনকোর সময়ের অবনতিশীল দশকের মতো সৌদি আরবও বর্তমানে অবনতিশীল অবস্থায় পতিত হয়েছে।
সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতার প্রপৌত্রদের মধ্যে গরবাচেভ বা তাঁর চেয়েও প্রতিভাধর কিছু ব্যক্তি রয়েছেন।
১৩টি প্রদেশের গবর্নর পদের দশটিতেই প্রতিষ্ঠাতার প্রপৌত্ররা নিয়োজিত; তাঁদের সবাই প্রশাসক হিসেবে দক্ষ। প্রায় সকল রাজপুত্রই প্রতিভাসম্পন্ন তাঁদের মধ্যে কিছুসংখ্যক নিখাদ মেধার অধিকারী। এমনিভাবে তাঁরা সৌদি আরবের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপদে অবস্থান করছেন। তৃতীয় প্রজন্মের এমন কিছুসংখ্যক রাজপুত্রের নাম উল্লেখ করা যায় যারা বাদশাহ হওয়ার যোগ্য। এঁরা হলেন : মক্কার গবর্নর এবং মরহুম বাদশাহ ফয়সলের ছেলে খালিদ আল-ফয়সল; তেল উৎপাদনকারী উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের গবর্নর এবং মরহুম বাদশাহ ফাহাদের ছেলে মুহাম্মদ বিন ফাহাদ; উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং মরহুম যুবরাজ সুলতানের ছেলে খালিদ বিন সুলতান; এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী ও মরহুম যুবরাজ নায়েফের ছেলে মুহাম্মদ বিন নায়েফ।
নতুন প্রজন্মের একজন বাদশাহ কিভাবে মনোনীত করা হবে? রাজপরিবারের বিশালতা ও বিভক্তির বাস্তবতা অনুধাবন করে ২০০৬ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহ তাঁর প্রত্যেক জীবিত ভাইদের নিয়ে একটি ‘আনুগত্য কাউন্সিল’ গঠন করেন। মৃত ভাইদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ভাইয়ের জ্যেষ্ঠপুত্রকে কাউন্সিলে স্থান দেয়া হয়। ৩৫ জন রাজপুত্র সমন্বয়ে গঠিত এই কাউন্সিল বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর নতুন যুবরাজ মনোনয়নের ক্ষেত্রে সমগ্র সৌদি রাজপরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃত। বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর যিনি স্বাভাবিক নিয়মে সিংহাসনে আরোহণ করবেন, নবমনোনীত যুবরাজ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন। কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট থাকবে। এটি এমনি একটি দেশ, যেখানে গণতন্ত্র নেই বড় জোর এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘পারিবারিক গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করা যাবে। বাদশাহ আবদুল্লাহ এই পদ্ধতিতে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করেননি। বর্তমানে যিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী, তিনি তৃতীয় মনোনীত ব্যক্তি অন্য দু’জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের প্রত্যেককেই বাদশাহ নিজের পছন্দে মনোনীত করেছিলেন। ফলস্বরূপ বর্ণিত কাউন্সিল মাত্র একবার বৈঠকে বসেছে; অথচ এই কমিটি গঠনের সময় সদস্যরা বাদশাহ ও দেশের কাছে শপথ নিয়েছিলেন। বহু সৌদি নাগরিকদের আশঙ্কা, বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর সাথে সাথে এই কাউন্সিল ব্যবস্থাও বিলুপ্ত হবে। সেই সাথে তারা একটি জনবান্ধব প্রজন্মের উত্তরাধিকারও আশা করে।
পারিবারিক দ্বন্দ্ব-কলহ কোন অকারণ দুশ্চিন্তা নয়। সৌদি বাদশাগণ ২৫০ বছরেরও বেশি সময় যাবত (কিছু বিরতিসহ) সৌদি আরব শাসন করছেন। নিজের ভাইদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তাদের শাসনের অবসান হয় এবং তারা দেশ থেকে বহিষ্কৃত হন। পরবর্তীতে কিশোর আবদুল আজিজ দেশে ফিরে আসেন ও বর্তমান রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৩ সালে মৃত্যুশয্যায় তিনি তাঁর বড় দুই ছেলে সৌদ ও ফয়সলকে ইতিহাসের এই পুনরাবৃত্তি (অন্তর্কলহ) এড়িয়ে চলার শপথ করান।
কিন্তু বদ্ধ কান এই হুঁশিয়ারি শুনতে পায়নি। দুই ভাই দ্রুত কোন্দল শুরু করে দিলেন, এই সংঘাত প্রায় একদশকেরও বেশি সময় ধরে চলল; অতঃপর পরিবারের সদস্য ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় ফয়সল তাঁর বড়ভাইকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন।
ইতিহাসের এই দৃষ্টান্তের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের সিদ্ধান্তে কোন প্রভাব না খাটিয়ে সৌদি জনগণ শুধু লক্ষ্য রাখতে পারে আর অপেক্ষা করতে পারে; তবে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে যে, পারস্পরিক বৈরিতার পুনরাবির্ভাব ঘটতে পারে এবং রাজপরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবেÑটিকে থাকবে না।
দেশের বৃহত্তর গণমানুষের সঙ্গে বর্তমান সৌদি সমাজের বৈসাদৃশ্য প্রকটÑএক দশক আগেও তেমনটি ছিল না। ইন্টারনেটকে ধন্যবাদ যে, সৌদি নাগরিকরা এর মাধ্যমে তাদের দেশের মধ্যকার ও বৃহত্তর পৃথিবীর মানুষের জীবন সম্পর্কে জানে; এবং এই বৈষম্য দেখে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুরো ৬০% সৌদি নাগরিকের বয়স ২০ বছরের নিচে। তারা আরও জানে যে, শতকরা ৪০ ভাগ সৌদি নাগরিক দরিদ্র অবস্থায় জীবনযাপন করে; শতকরা ৭০ ভাগ মানুষের নিজের ঘর নেই; এবং বেসরকারী খাতের শ্রমিকদের শতকরা ৯০ ভাগই বিদেশিÑ যদিও ২০-২৪ বছর বয়সী প্রায় ৪০% সৌদি তরুণ বেকার। স্বল্পদক্ষ সৌদি নাগরিকরা তাদের অভিজ্ঞতার সাথে সামঞ্জস্যশীল ছোট চাকরি গ্রহণ করতে রাজি হয় না; এমনকি উচ্চশিক্ষিত সৌদি নারীদের তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয় না।
অতি সাধারণ সৌদি নাগরিকরা গণতন্ত্রের দাবি করছে না; কিন্তু তারা এটুকু অন্তত বিশ্বাস করে যে, একটি সুদক্ষ সরকার এবং তেল সম্পদের অংশীদার তারাওÑস্রেফ রাজপরিবার নয়। এটি বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই যে, জনগণের এই দাবি রাজপরিবারের নতুন প্রজন্ম পূরণ করবেÑযত বিনয়ীই তাদেরকে মনে হোক না কেন। তবে এটি অধিকতর নিশ্চিত যে, রাজপরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ভাইয়েরা তাদের অবক্ষয়কে রোধ করতে পারবেন না।
সুতরাং পূর্বজ্ঞাত ভবিষ্যতের দিকে রাজকীয় সৌদি ৭৪৭ বিমান যাত্রা করেছে; তার ককপিঠে বার্ধক্যপীড়িত পাইলটদের ভিড়, যারা মোটা অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত হয়েছেন, কিন্তু যান্ত্রিকভাবে ত্রুটিযুক্ত। বিমানটি তার গতিপথ হারাচ্ছে এবং ক্রমশ তার জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রথম শ্রেণীর সিটগুলো রাজকীয় যাত্রীতে ভরে গেছে; ইকোনমি ক্লাসের সিটগুলোয় ঠাসাঠাসি অবস্থায় বসেছে সাধারণ সৌদি নাগরিকরা।
এদের মধ্যে যারা ইসলামী মৌলবাদী, তারা বিমানটিকে ইচ্ছেমতো ঘুরিয়ে দিতে চাইছেÑছিনতাইকারীরা যেমনভাবে ছিনতাইকৃত বিমানকে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যায়। বিমানের মধ্যে কোথাও হয়তো একটি দক্ষ ফ্লাইট টিম থাকবে, যারা কিনা বিমানটিকে নিরাপদে নামিয়ে আনতে সক্ষম হবে। কিন্তু সুদক্ষ পাইলটের সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ মনে হয়। ফলে রাজকীয় ৭৪৭ বিমানটি সম্ভবত আকাশেই থাকবে, ছিনতাই হবে কিংবা পরিণামে হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে।

দি ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে অনুবাদ : মুস্তাফা মাসুদ

লেখক : পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

No comments

Powered by Blogger.