প্রতিক্রিয়া- আমিও বিজ্ঞানী হতে চাই...

৫ সেপ্টেম্বর নারীমঞ্চে ‘উদ্ভাবনের স্বীকৃতি’ শিরোনামের লেখাটি পড়েছি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ‘ত্রিস্তোফ মেরো পুরস্কার ২০১২’ লাভ করেন ফিরদৌসী কাদরী। তিনি শুধু বাংলাদেশের জন্য সম্মানই বয়ে আনেননি, এ দেশের মেয়েদের জন্য তিনি এক অনুপম দৃষ্টান্ত।


আমাদের দেশের অধিকাংশ অভিভাবকই পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁদের মেয়েদের মতামতের কোনো গুরুত্ব দিতে চান না। বেশির ভাগ অভিভাবকই চান, তাঁদের মেয়েরা চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হোক। মেয়েকে বিজ্ঞানী হতে অনুপ্রাণিত করেন, এমন অভিভাবকের সংখ্যা নেহাতই কম। আমার চারপাশে এমন মা-বাবা দেখিনি। ‘কেন আমি বিজ্ঞানী হতে পারব না?’ এই প্রশ্ন আমার অভিভাবকদের করা হলে উত্তরে তাঁরা বলেন, ‘আমরা চাই, তুমি চিকিৎসক হও। আমাদের দেশে এই পেশার মতো প্রশংসনীয় এবং উপযুক্ত পেশা মেয়েদের জন্য আর নেই। বাংলাদেশের মেয়েরা বিজ্ঞানী হয়ে কী করবে?’
সেদিন আমি চুপ করে থেকেছি। কিন্তু ফিরদৌসী কাদরী আমার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। এখন মেয়েদের পাশাপাশি অভিভাবকেরাও স্বপ্ন দেখতে পারবেন। আশা করি, বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরীর সফলতা মেয়েদের বিজ্ঞানী হতে আরও অনুপ্রাণিত করবে, অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনবে।
আফিয়া আনজুম
পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, পটুয়াখালী।

No comments

Powered by Blogger.