ব্রিটেনে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ মালিকের ২৩ মাসের জেল-বহিষ্কৃত হচ্ছেন ১৬ জন

ভিবাসীদের অবৈধভাবে কাজের সুযোগ করে দেওয়ায় লন্ডনে এক বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ মালিকের ২৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্রিটেনের কার্লিসেল ক্রাউন কোর্ট। ওই ব্যক্তির নাম খন্দকার মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। গত বৃহস্পতিবার আদালত ওই রায় দিয়েছেন বলে গতকাল রবিবার ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা গত পাঁচ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন


ব্যবসায়িক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬ জন বাংলাদেশি অবৈধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের দ্রুত যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কারের কাজ চলছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, কর্মীদের অবৈধভাবে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথা স্বীকার করার পর কার্লিসেল ক্রাউন আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দেন। কুমব্রিয়ার ক্লিটর মুর এলাকায় খন্দকার মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের অনামিকা রেস্তোরাঁয় ব্রিটিশ বর্ডার এজেন্সির সদস্যরা দুই দফা অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থান ও কাজ করতে দেখতে পান।
বর্ডার এজেন্সির একজন মুখপাত্র জানান, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অনামিকা রেস্তোরাঁ আইন ভেঙে অবৈধ অভিবাসী
কর্মীদের নিয়োগ দেয়। অবৈধ কর্মীরা বিনা বেতন বা নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করতেন এবং তাঁদের আবাসন ব্যবস্থাও ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। ওই মুখপাত্র বলেন, এসব বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
ওয়াহিদুজ্জামান সম্পর্কে অভিবাসন বিভাগের মুখপাত্র বলেন, অন্য নিয়োগকারীদের মতো কর ও বীমার অর্থ পরিশোধ না করে এবং কর্মীদের শোষণ করে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশন আরো জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান, শিক্ষার্থী ভিসার শর্ত ভাঙাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার করতে বর্ডার এজেন্সি কাজ শুরু করেছে। ওই বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্যের নরফোল্ক, ডেভন, এসেঙ্ ও ওল্ডহ্যাম থেকে অবৈধভাবে কাজ করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। নিয়োগপ্রক্রিয়ার যথার্থতা প্রমাণ করতে না পারলে তাঁদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ কর্মীপ্রতি ১০ হাজার পাউন্ড (১২ লাখ টাকারও বেশি) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.