বিশেষ সাক্ষাৎকার : উপাচার্য ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ্-খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একদিন দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর। মাত্র চারটি ডিসিপ্লিন (বিষয়) নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। এখন সেখানে ২১টি ডিসিপ্লিন এবং একটি ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কালের কণ্ঠের মুখোমুখি হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ্। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরোপ্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী


কালের কণ্ঠ : আপনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর পর্যায়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার কার্যকালের মূল্যায়ন কিভাবে করবেন?
উপাচার্য : নিজ কার্যকালের মেয়াদ কিভাবে কাটল, সেই মূল্যায়ন নিজে করা ঠিক নয়। আবার সেই মূল্যায়ন যথার্থ নাও হতে পারে। আমার কার্যকালের যথাযথ মূল্যায়ন করবেন আমার সহকর্মী, শিক্ষার্থী এবং এই সময়ে যাঁদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি_সংশ্লিষ্ট সবাই। এটুকু বলতে পারি, আমি খুবই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে আমি এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের পদে নিযুক্ত হই। এর আট মাস পর চার বছর মেয়াদের জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে দায়িত্ব পাই। আমি আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। আমি যা করেছি, তা ভালোভাবেই করার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে আমার সময়কালটি খুবই ভালো কাটছে। প্রকৃত মূল্যায়ন করবেন বাকি সবাই।
আমার সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আগামী ১০ বছরের একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করা। ১০ বছর পর, অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কতগুলো ডিসিপ্লিন হবে, কতজন শিক্ষক প্রয়োজন হবে, আর কয়টি ভবন ও আনুষঙ্গিক কী কী সুবিধা প্রয়োজন হবে, তার বিস্তারিত বর্ণনা সেখানে আছে। ওই পরিকল্পনার তিন বছর ইতিমধ্যে আমরা পার করেছি। পরিকল্পনামাফিক আমরা এগোচ্ছি। ২০১৮ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো ১৬টি ডিসিপ্লিন হবে। গত চার বছরে পাঁচটি নতুন ডিসিপ্লিন এবং একটি ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়েছে। আমার কার্যকালেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ১৭ বছরে যেখানে বরাদ্দ মিলেছে মোট ৭৫ কোটি টাকা, সেখানে এরপর এককালীন ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেল। বরাদ্দকৃত অর্থে ইতিমধ্যে তৃতীয় একাডেমিক ভবন নির্মাণ, গেস্টহাউস নির্মাণ এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বাকিগুলো শিগগিরই শুরু হবে। এই বিশেষ বরাদ্দের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কালের কণ্ঠের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা এবং বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। দায়িত্ব পালনকালে ছোটখাটো কিছু সমস্যায় যে পড়িনি তা নয়, তবে তা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সহকর্মীদের পরামর্শ নিয়ে অতিক্রম করে চলেছি।
কালের কণ্ঠ : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুলনাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণে কতখানি ভূমিকা রাখতে পারছে?
উপাচার্য : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের, বিশেষ করে খুলনার মানুষ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। এই দাবি পূরণে খুলনার সর্বস্তরের মানুষ একজোট হয়েছিল। খুলনাবাসীর স্বপ্নের সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় মাত্র চারটি ডিসিপ্লিন (বিষয়) নিয়ে। ওই বিষয়গুলো তখন দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হতো না। সেই বিবেচনায় একেবারে নতুন কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু। একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকে, এখানে শুরুতে তা ছিল না। শুরুতে এর বৈশিষ্ট্য ছিল টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। এ কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে, খুলনা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কম সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এখন এর বৈশিষ্ট্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই। এখন নতুন অনেক সাধারণ বিষয় খোলা হয়েছে। এসব বিষয়ে খুলনা অঞ্চলের অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অবশ্য দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অন্যান্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখন তুলনামূলকভাবে সামান্য কম আসছে।
খুলনা উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায়, পরিবেশগত দিক দিয়ে খুলনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকায় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ও অ্যাগ্রো-টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের মতো স্বতন্ত্র বিষয় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রহণযোগ্যতা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ বিষয় এ অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেই বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের সমস্যা-সম্ভাবনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম এবং এটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কালের কণ্ঠ : বর্তমান যুগের চাহিদার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম কি তাল মিলিয়ে চলতে পারছে? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীরা কাজের ক্ষেত্রে কেমন করছে?
উপাচার্য : চারটি ডিসিপ্লিন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও এখন এখানে ডিসিপ্লিনের সংখ্যা ২১; এবং একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের অর্গানোগ্রামে আমরা আরো নতুন নতুন ডিসিপ্লিন খোলার পরিকল্পনা রেখেছি। আমরা ইতিমধ্যে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও স্ট্যাটিস্টিকসে অনার্স কোর্স চালু করেছি। আগামী বছরগুলোতে চালু হবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক হেলথ, মাইক্রোবায়োলজি, এডুকেশন, মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিজম, আইন ও ড্রামা অ্যান্ড মিউজিকের মতো সমসাময়িককালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, চারদলীয় জোট সরকারের আমলের পাঁচ বছর এবং পরবর্তী দুই বছর_মোট সাত বছরে নতুন কোনো ডিসিপ্লিন খোলা হয়নি। সেই সঙ্গে অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়নও হয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বেশ পিছিয়ে পড়েছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো সমসাময়িককালের সমস্যা অনুধাবন এবং তা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয় হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্র্যাজুয়েটরা দেশে ও বিদেশে_উভয় জায়গার কর্মক্ষেত্রে খুবই ভালো করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীরা বেকার নেই। লেখাপড়া শেষ করতে না করতেই তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এবারকার বিসিএস পরীক্ষায়ও ৩৫ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স, আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং এবং আর্কিটেকচার ডিগ্রিধারীরা অনেক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পদ অলংকৃত করেছে। এককথায় বলা যায়, এখানকার ডিগ্রিধারীরা এ অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে যেমন ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে, তেমনি দেশ-বিদেশেও তাদের স্বতন্ত্র চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে।
কালের কণ্ঠ : বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে কি? সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্তির দিক দিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কোথায়?
উপাচার্য : আগেই বলেছি, আমরা এই সরকারের আমলে বিশেষ উন্নয়ন বরাদ্দ হিসেবে ৮০ কোটি টাকা পেয়েছি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়কালে একক বৃহত্তম বরাদ্দ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য রাজস্ব বাজেট খুবই কম। অবশ্য শুধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই এ কথাটি সত্য। রাজস্ব খাতে যে বরাদ্দ পাওয়া যায়, তা বেতন-ভাতা পরিশোধে চলে যায়। গবেষণা, হাতে-কলমে শিক্ষা কার্যক্রমে তেমন কোনো সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হওয়া উচিত গবেষণা। সেই গবেষণাকাজে অর্থের সংস্থান না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা অনার্স বা মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্যও গবেষণা খাতে খুবই সামান্য অর্থ বরাদ্দ রাখতে পারি, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ খাতে বরাদ্দ পাওয়া না গেলে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার যে বিষয়টি, তাতে ঘাটতি থেকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আশার কথা, বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে লিংকেজ প্রোগ্রামের আওতায় আমাদের এখানে চারটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এখানে গবেষণা করছেন। আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ধ্যার পর কোনো কক্ষে আলো জ্বলত না। এখন রাতেও অনেক কক্ষেই আলো জ্বলতে দেখা যায়, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁদের গবেষণাকাজে নিবিষ্ট থাকেন।
কালের কণ্ঠ : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আপনাদের একটি গর্ববোধও আছে। কিন্তু শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রাজনীতি আছে। এটা কি এক ধরনের বৈষম্য নয়?
উপাচার্য : বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী এখানে দলীয় রাজনীতির চর্চা করতে পারে না। শিক্ষকদেরও দলীয় রাজনীতি করার সুযোগ নেই। শিক্ষকদের সমিতি আছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সমিতি আছে। এখানে দলীয় রাজনীতি না থাকার সুফল কিন্তু শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে। এই দাবি শুধু আমাদের নয়; সুধী সমাজ, খুলনাবাসী, রাজনীতিক, সর্বোপরি অভিভাবকরাও ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির চর্চা না থাকার বিষয়টি সাদরে গ্রহণ করেছেন। এ জন্য তাঁরা সাধুবাদ দিয়ে থাকেন। এখানে নির্দিষ্ট সময়ে লেখাপড়া শেষ হয়। শিক্ষার্থীরাও লেখাপড়ায় মনোযোগী। তাই ফলও খুব ভালো হয়। তাই বলে শিক্ষার্থীরা রাজনীতি সম্পর্কে অসচেতন হোক_এটা আমাদের প্রত্যাশা নয়। দলীয় বা ক্যাম্পাসনির্ভর রাজনীতির চর্চা না হলেই যে একজন ব্যক্তি রাজনীতিসচেতন হবে না, তা কিন্তু নয়। রাজনীতিসচেতন হওয়ার জন্য সংবাদপত্র, আধুনিক যোগাযোগপ্রযুক্তি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির চর্চা নেই। তাই বলে তারা সমাজের কোনো বিশেষ বিষয়ে কি তাদের মতামত ব্যক্ত করে না। অবশ্যই করে। তবে তা সুষ্ঠু এবং পরমতসহিষ্ণুতা মেনে; আমাদের দেশের দলীয় রাজনীতির খারাপ দিকগুলো চর্চা করার মধ্য দিয়ে নয়। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলীয় রাজনীতি চর্চায় উৎসাহী হওয়ার পেছনে তার ভবিষ্যৎ ভাবনা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টিও কাজ করে। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেহেতু বেকার থাকার উদাহরণ নেই, সেহেতু শিক্ষার্থীরাও চায় না, এখানে দলীয় রাজনীতির চর্চা হোক। শিক্ষকরাও ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে পারেন না। তবে একজন ব্যক্তি হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবারই রাজনৈতিক মতামত থাকতে পারে, ক্যাম্পাসের বাইরে তা প্রকাশও করতে পারে। শুধু ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চা করার কোনো সুযোগ নেই।
কালের কণ্ঠ : আপনি ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেমন দেখতে চান? সেই স্বপ্নযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়টি কি ঠিকঠাক এগোচ্ছে?
উপাচার্য : আমি মনে করি, রাজধানী ঢাকার বাইরে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একদিন সেন্টার অব এঙ্েিলন্স হিসেবে পরিচিতি পাবে। আগেই বলেছি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনই বিশ্বমানের চারটি ল্যাবরেটরি গড়ে উঠেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণামনস্ক হয়ে উঠেছেন। আধুনিক যোগাযোগপ্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেট সার্ভার চালু হয়েছে। ফাইবার অপটিক কেব্ল্ বসানো হয়েছে। ওয়াইফাই জোন তৈরি হয়েছে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে লিংকেজ বাড়ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়টি একদিন সত্যিই দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে।
কালের কণ্ঠ : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
উপাচার্য : আপনাকেও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.