শুল্কায়ন শাখায় প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা-চট্টগ্রাম কাস্টমসে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন শাখায় প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার প্রায় ছয় ঘণ্টা শুল্কায়ন কাজ বয়কট করে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট কর্মচারী ইউনিয়ন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শুল্কায়ন শাখায় প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা কাস্টমস হাউসে পণ্য খালাসের জন্য কোনো ডকুমেন্ট জমা না দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।


এ সময় তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মতিউর রহমানের অফিস ঘেরাও করে রাখেন। দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ইউনিয়ন নেতারা তাঁদের দাবির বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। আড়াই ঘণ্টা বৈঠক শেষে অতিরিক্ত কমিশনার কর্মচারীদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে বিকেল ৩টা থেকে শুল্কায়ন শাখায় সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা ডকুমেন্ট জমা দেওয়া শুরু করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (মালিক পক্ষ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, 'চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে নতুন যোগ দেওয়া কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের ফাইলগুলো দীর্ঘদিন ফেলে রাখেন। আমরা শুল্কায়ন শাখায় গিয়ে কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে বলতে পারলে এই দীর্ঘসূত্রতা থাকে না। তাই কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের সেখানে যেতে না দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করছি।' চট্টগ্রাম বন্দরেও সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের একইভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে শুল্কায়ন শাখায় স্বচ্ছতা আনার জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে জানিয়ে কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মতিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ পর্যন্ত আড়াই হাজার বিল অব এন্ট্রি (বিএল) অ্যাসেসমেন্ট হয়েছে। কিন্তু আমরা সবটা পাইনি। নানা রকম লোক শুল্কায়ন শাখায় প্রবেশ করায় এসব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হারিয়ে যাচ্ছে। তাই বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা চলছে। সোমবার থেকে ওই সংকট দূর করার জন্য প্রতিদিন এক ঘণ্টা সময় নিয়ে আমি সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জটিলতা তৈরি হওয়া ফাইল নিয়ে আলোচনা করব।'
কমিশনার আরো বলেন, এখন থেকে প্রতি বুধবার সংকট তৈরি হওয়া ফাইল নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.