যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে-রাজশাহীতে পুলিশ একাডেমী ও নাটোরে স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী by অমরেশ রায়,কাজী শাহেদ ও নবীউর রহমান পিপলু

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে একটি মহল দেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। গতকাল রোববার রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিকে গতকাল বিকেলে নাটোরে এক স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার হত্যা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি।


নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখের স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত
জোট সরকারের পাঁচ বছর এবং বর্তমান সরকারের তিন বছরের শাসনামলের তুলনা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরে মানুষ কেমন ছিলেন, তার বিচার দেশবাসীই করবে। ওই সময় তারা কেবল লাশ উপহার দিয়েছে আর লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় এসে মানুষকে শান্তি দিয়েছে। এখন দেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নয়, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দেশ। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা নয়, উন্নয়নের রাজনীতি করছে।
নাটোরের কানাইখালী পুরনো স্টেডিয়াম মাঠে স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করা। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যারা গণমানুষের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ কিছু পায়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নাটোর ও দেশবাসীকে বলব, ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জমায়াতের পাঁচ বছর এবং বর্তমান সরকারের তিন বছরের তুলনা করে দেখুন। বিএনপি-জামায়াতের সময় মানুষ কী পেয়েছে? কিছুই পায়নি। ওই সময় বাংলাদেশ ছিল সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের দেশ।
আবারও ক্ষমতায় গিয়ে দেশসেবার সুযোগ পেতে দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে যাবে। জনগণের ভোটে আবারও মানুষের সেবার সুযোগ পেলে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত আধুনিক দেশ গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষের অভাব থাকবে না, তারা শান্তিতে থাকবে, ভালো থাকবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হবে।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, যার ভোট সেই ও যাকে খুশি তাকে দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে_ সরকার সে ব্যবস্থাই করেছে।
স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে নাটোরের বড়ভিটায় রাজলংকা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রাজশাহী পেঁৗছে সেখানকার সারদা পুলিশ একাডেমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৮তম বিসিএসের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। পরে হেলিকপ্টারযোগে নাটোরের স্মরণসভায় উপস্থিত হন। বিকেলে আকাশপথে ঢাকায় ফিরে যান শেখ হাসিনা।
মহাজোট সরকারের তিন বছর এবং গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার নাটোরে আগমনকে ঘিরে গোটা এলাকায় উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশের সূচনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর আসার পথ শত শত তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার জাতীয় নেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতিকৃতি শোভা পায়। স্থানীয় নেতা-নেত্রীদের নামেও তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে শোডাউনের প্রতিযোগিতা ছিল। রাস্তার দু'ধারে দাঁড়িয়ে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর হাততালি এবং স্লোগানে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তাদের। তাদের হাতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সংবলিত ব্যানারও দেখা যায়।
বিকেল ৩টায় স্মরণসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের আগে থেকেই দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী-সমর্থক সভাস্থলে আসতে শুরু করেন। নাটোর ও এ জেলার সব উপজেলা ছাড়াও রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়াসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকেও মানুষ বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ও হেঁটে সভায় যোগ দেন। দুপুর ২টার মধ্যে মানুষের ভিড় সভাস্থল ছাড়িয়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আর সভার মাঠে তিল ধারণের ঠাঁইও ছিল না। বিকেল নাগাদ শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে আলাইপুর উত্তরা সুপার মার্কেট পর্যন্ত এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। এতে স্মরণসভাটি কার্যত স্মরণকালের বৃহত্তম ও বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সভার চার বর্গকিলোমিটারজুড়ে দুই শতাধিক মাইক ছাড়াও কয়েকটি পয়েন্টে বড় প্রজেক্টর ও স্ক্রিনের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম প্রচার করা হয়। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর নাটোর সফর উপলক্ষে এলাকায় পাঁচ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন বছরে সরকার ২ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়াতে পারেনি। বিদ্যুতের নামে কেবল খাম্বা দিয়েছে আর দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। আমরা তিন বছরে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারলে তারা কেন পারবে না_ এর জবাব বিরোধীদলীয় নেতাকে দিতে হবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাটের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এফবিআইর সদস্যরাও এদেশে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেদের দুর্নীতি ও লুটপাট করে মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। এতে লজ্জায় জাতির মাথা হেঁট হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর হত্যা ও ক্যুর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান এ দেশে শোষণ ও নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বিগত নির্বাচনে জেলার অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করায় নাটোরবাসীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে প্রয়াত হানিফ আলী শেখের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে তুলতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। নাটোরের সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা ও লেখালেখিসহ সবক্ষেত্রেই তার অবদান ছিল। প্রয়াত এ নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
নাটোরের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে পাইপলাইনের মাধ্যমে নাটোরে গ্যাস সরবরাহ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন, পূর্ণাঙ্গ টিভি উপকেন্দ্র চালু, নাটোর হাসপাতালকে আড়াইশ' শয্যায় উন্নীতকরণ, নলডাঙ্গাকে উপজেলা বাস্তবায়ন, রাস্তাঘাট প্রশস্ত, নাটোর কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাস প্রদান এবং ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এলাকার এমপিদের তার কাছে দাবি জানানোর কিছু নেই। দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি ও কোথায় কী করতে হবে, তা তার জানা আছে। কেবল নাটোর নয়, সরকার সারাদেশেই সুষম উন্নয়নের পদক্ষেপ নেবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রয়াত হানিফ আলী শেখের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে দলকে সুসংগঠিত করতে তার ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন আশরাফ।
কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশকে জঙ্গি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তখন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আখতার জাহান, অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এমপি, জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, শেফালী মমতাজ এমপি, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সাংসদ অহিদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েক উদ্দিন লাবু, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল এমপি, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সাত্তার মাসুদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, প্রয়াত হানিফের ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক শেখ, জেলা যুবলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে আরও ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু প্রমুখ।
এদিকে রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে একটি মহল দেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে পুলিশ বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। পুলিশ বাহিনী জনগণের সেবক। এ কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা ও মেধা দিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্র হয়েছে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত। বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশ গড়তে পুলিশ বাহিনীর অবদান খাটো করে দেখার মতো নয়। বিশ্বব্যাপী অপরাধের ধরন পাল্টাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ দমনে ঔপনিবেশিক আমলের পুলিশিং ব্যবস্থা পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বর্তমান সরকার পুলিশের জন্য ৩২ হাজার ক্যাডার-নন ক্যাডার পদ সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে ১৭ হাজার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের অবশিষ্ট কাজও অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের উন্নয়নে এবং সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স ইন পুলিশ কোর্স চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীকে আরও গতিশীল করার জন্য সারদা পুলিশ একাডেমীকে বিশ্বমানের পুলিশ একাডেমী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এদেশের মানুষ সেসব ষড়যন্ত্রকারীর ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। আজ মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে আসেন। পুলিশ একাডেমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ, প্যারেড পরিদর্শন ও বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সহকারী পুলিশ সুপারদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২৮তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচে ১৭৩ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার এক বছরমেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পুরস্কার। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন_ সেরা অশ্বমানব হিসেবে দেলোয়ার হোসেন, সেরা একাডেমিশিয়ান হিসেবে মাহমুদা আফরোজ লাকী এবং সেরা শিক্ষানবিশ হিসেবে মাহবুবুর রহমান।

No comments

Powered by Blogger.