ত্রিপোলি বিমানবন্দরের কাছে বন্দুকযুদ্ধ, আহত ২

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে গত শনিবার বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও সাবেক এক বিদ্রোহী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশটির পুনরেকত্রীকরণের প্রশ্নে জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) প্রথম পুনর্মিলনী সম্মেলনের দিন এ ঘটনা ঘটল। এতে দেশটির স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা


দিয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আহমাদ বনি জানান, সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল খলিফা হাফতারকে বহনকারী গাড়িবহর লক্ষ্য করে দুজন বন্দুকধারী গুলি ছোড়ে। এটিকে 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' বলে অভিহিত করেন তিনি। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল-আহরার টেলিভিশনকে বনি বলেন, 'সংবাদমাধ্যমগুলো ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করেছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। এর পেছনে রাজনৈতিক বা অপরাধমূলক কোনো প্রেক্ষাপট নেই।' বনি জানান, গাড়িবহর হামলার শিকার হওয়ার পর কেবল সেনা সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়ে।
তবে সেনা কর্মকর্তা সামি কামুকা বলেছেন, জিনতান ব্রিগেডের সদস্যদের সঙ্গে ত্রিপোলির সাবেক বিদ্রোহীদের মধ্যে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, জিনতান ব্রিগেডের বিদ্রোহীরাই এই সংঘাতের পেছনে রয়েছে। গাদ্দাফি-পুত্র সাইফ আল ইসলাম বর্তমানে এই জিনতান ব্রিগেডের হেফাজতে রয়েছেন।
তবে জিনতান ব্রিগেডের সদস্য আবু বকর আল-আহরাশ জানান, বিমানবন্দরের কাছে সেনা সদস্যরা তাদের ইউনিটের ওপর আক্রমণ করে। ত্রিপোলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বর্তমানে জিনতান ব্রিগেডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, 'তারা (সেনাবাহিনীর সদস্যরা) বিমানবিধ্বংসী অস্ত্রভর্তি দুটি পিকআপ ট্রাক বাজেয়াপ্ত করে নেয়। বিমানবন্দরের তল্লাশি চৌকির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও চেষ্টা করে তারা। তাদের হামলায় আমাদের দুজন সদস্য আহত হয়েছে আর দুজনকে তারা আটক করেছে।' তবে সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
গাদ্দাফির সেনাদের ক্ষমা করতে প্রস্তুত লিবিয়া : লিবিয়ার নিহত নেতা গাদ্দাফির সমর্থক সেনাদের ক্ষমা করতে প্রস্তুত দেশটির নতুন শাসক। শনিবার এনটিসির চেয়ারম্যান মুস্তফা আবদেল জলিল এ কথা বলেছেন। রাজধানী ত্রিপোলিতে এনটিসি আয়োজিত প্রথম জাতীয় পুনর্মিলনী সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুস্তফা বলেন, 'লিবিয়ায় আমরা সবাইকে গ্রহণ করব। লিবিয়া সবার জন্য।' তিনি বলেন, 'অত্যাচারী শাসকের সেনাবাহিনী আমাদের শহর ও গ্রামে যা কিছু করুক না কেন, আমাদের যেসব ভাই গাদ্দাফির সেনা হিসেবে বিদ্রোহীদের বিপক্ষে লড়াই করেছিল, তাদের ক্ষমা করতে প্রস্তুত আমরা।' মুস্তফার বক্তব্য সমর্থন করেন লিবিয়ার নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদেল রহিম আল-কিবও। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.