পড়াশোনার অবসরে নানা আয়োজন by ইমদাদ হক

দস্যরা সব কাজই করে থাকে আনন্দ ও মজার সঙ্গে। উপভোগ করে সব বিষয়। পারস্পারিক আন্তরিকতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয় এর কার্যক্রম। কখনও রাগ, অভিমানও চলে। তবে তা ক্ষণিকের জন্যই। ক্লাবের অন্যতম আয়োজন কালচারাল ট্রিপ। প্রতি সেমিস্টারেই একটি করে আয়োজন করা হয় এই ট্রিপের উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আধুনিক হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। উন্নত হচ্ছে লেখাপড়ার মান।


তবে প্রতিযোগিতার বিশ্বে হার না মানার জন্য দরকার বহুমুখী জ্ঞানের ধারা। সুস্থ শরীরের সঙ্গে সুস্থ মন উদ্যোমী করে তোলে। এ কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও প্রয়োজন। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের সব ধারার সঙ্গে সমন্বয় সাধনের প্রত্যয়ে গঠিত হয়েছে পারফরমিং আর্টস ক্লাব। একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে নিয়মিত সাংস্কৃতিক আয়োজন এখন ক্লাবের সদস্যদের অন্যতম নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুস্থধারার সংস্কৃতির প্রবর্তনের লক্ষ্যেই ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কথা হচ্ছিল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ঊর্মির সঙ্গে।
২০০৭-এর স্প্রিং সেমিস্টারে পড়াকালীন ক্লাবের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন এর সদস্যরা। ক্লাবের কার্যক্রম শুরু সম্পর্কে বলেন সাধারণ সম্পাদক সুন্নী। শুরুতে উদ্যোগী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা মাত্র ৫ জন থাকলেও বর্তমানে তা চার অঙ্কের সংখ্যা পার হয়ে গেছে। ইভেন্ট আয়োজনে এগিয়ে আসে সব শিক্ষার্থীই। তবে একজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ সদস্যের কার্যকরী পরিষদ নিয়ে পরিচালিত হয় ক্লাবটির নানা আয়োজন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গান, নাচ, কবিতা, ফ্যাশন, বিতর্ক, অভিনয়, জাদুসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কাজ। এতে সুস্থ ঢঙের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় করা হয়েছে বাংলাদেশি ও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির নান্দনিক সমন্বয়।
সদস্যরা সব কাজই করে থাকে আনন্দ ও মজার সঙ্গে। উপভোগ করে সব বিষয়। পারস্পারিক আন্তরিকতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয় এর কার্যক্রম। কখনও রাগ, অভিমানও চলে। তবে তা ক্ষণিকের জন্যই। ক্লাবের অন্যতম আয়োজন কালচারাল ট্রিপ। প্রতি সেমিস্টারেই আয়োজন করা হয় একটি করে কালচারাল ট্রিপ। এতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সঙ্গে নতুন স্থান পরিদর্শন, ভিন্ন অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পান ক্লাবের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। উপভোগটা বেশি করা হয় যখন ঢাকার বাইরে ট্র্রিপটি হয়ে থাকে। সদস্যরা মুখিয়ে থাকেন ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের জন্য। জানালেন সংগঠনটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শিবলী।
প্রতি সেমিস্টারেই করা হয় সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন। পহেলা বৈশাখ, ফাউন্ডেশন ডে, ক্লাব নবীনবরণ, রোডশো, পহেলা ফাল্গুন, ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন, বন্ধুদের জন্মদিন পালন, বর্ষবরণ, কৃতী সম্মাননা, গুণীজন সংবর্ধনাসহ বৈচিত্র্যময় আয়োজনে ব্যস্ত সময় কাটে সংস্কৃতিপ্রেমী শিক্ষার্থীদের। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবের সঙ্গে যৌথভাবে করা হয় বিষয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক আয়োজন। সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতা ও দৃঢ় ইচ্ছে কর্মসূিচ বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করে। রয়েছে বাস্তবায়নে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তপক্ষের সহযোগিতা। মাঝে মাঝে সদস্যদের নিজের পকেট থেকেই গুণতে হয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যয়ের টাকা। তবে এতে কষ্টের চেয়ে আনন্দই বেশি। সারা বছরের কার্যক্রম নিয়ে বের করা হয় স্যুভেনির। তবে এটিকে নিয়মিত করার ইচ্ছে আছে। পরিকল্পনা করা হচ্ছে বার্ষিকভাবে একটি গানের প্রতিযোগিতার আয়োজনের। ক্লাবের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও। তাই তো সংগঠনকে সহযোগিতা করতে দ্বিধা হয় না। হাসতে হাসতে বললেন এর উপদেষ্টা মামুন।সদস্যদের উৎসাহিত করার জন্য রয়েছে সম্মাননা প্রদানেরও। পারফরমিং আর্টস ক্লাব থেকে প্রতি সেমিস্টারে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে কার্যকারী সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া সবচেয়ে ভালো পারফরমেন্সের জন্য একজন সদস্যকে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। আয়োজন করা হয় বিদায়ী সংবর্ধনারও। ক্লাবের উপদেষ্টা সাকিফ আহমেদ ও টুম্পা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীলতারই বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

No comments

Powered by Blogger.