সন্ত্রাস-রোগ সারাতে রোগের পেছনের কারণও জানতে হবে by বদিউল আলম মজুমদার

গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। আরও নির্দেশ দিয়েছেন উত্ত্যক্ত করাসহ নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দমন করার জন্য। এতে ব্যর্থ হলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও তিনি ঘোষণা দেন (দৈনিক ইত্তেফাক, ৩০ এপ্রিল, ২০১০)।


স্বরাষ্ট্র সচিবকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের একটি চিঠিতে স্বীকার করা হয় যে সাম্প্র্রতিক সময়ে সারা দেশে টেন্ডারবাজি, টেন্ডার ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। গণমাধ্যমসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষই এসব অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা ও বেআইনি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এসব কর্মকাণ্ডে অনেক রাজনৈতিক দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও জড়িত। এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির কারণে সরকার বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হচ্ছে। কিন্তু অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আইন প্রয়োগের হেরফের গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এমন কঠোর ভাষায় না হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অতীতেও নিজ দল এবং দলের অঙ্গ/সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এ ধরনের গর্হিত কর্মের বিরুদ্ধে সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো কঠোর পদক্ষেপের কথা ক্রমাগতভাবে বলেই যাচ্ছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি, এগুলো বন্ধ হয়নি। বরং এগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্যায় সুযোগ-সুবিধার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, এমনকি খুনাখুনি। দুর্ভাগ্যবশত এবারও যেন এসব অপকর্মের হোতারা প্রধানমন্ত্রীর সাবধান বাণীর প্রতি কর্ণপাত করছে না। যার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতা গত কয়েক দিন থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের বর্জন করছেন বলে শোনা যায়। তবে অতীতের পদক্ষেপের মতো এসব কৌশলও কাজ করবে কি না তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। দুর্বৃত্তদের জেল-হাজতে পাঠালে কিংবা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটলেও তা সাময়িক হবে বলেই অনেকের আশঙ্কা।
জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরও তা না সারলে, জ্বরের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে হয়। তেমনিভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অতীতের কঠোর হুঁশিয়ারি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ নামধারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও কেন তা কাজ করেনি, বিষয়টি নিয়ে আজ গভীর ও নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা আবশ্যক। রোগের কারণ অনুসন্ধান করে চিকিৎসা করতে না পারলে রোগ হয়তো আরও প্রকট ও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, যা আমাদের চরম সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।
আমাদের ধারণা, যেসব অপকর্মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে সেগুলো মূল রোগের উপসর্গমাত্র। মূল রোগ হলো দলবাজি ও ফায়দাবাজি, যা গত কয়েক দশকে আমাদের সমাজে ক্রমবর্ধমান হারে বিস্তৃতি লাভ করেছে। বস্তুত দলবাজি ও ফায়দাবাজি, যা পরস্পরের সহোদরসমতূল্য, মনে হয় যেন আমাদের একের পর এক সরকারের ক্ষমতায় যাওয়ার মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। বলা বাহুল্য, ক্ষমতায় গিয়ে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই নিজেরা বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক সুযোগ নেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের অবৈধ সুবিধা প্রদান করেন। বস্তুত নীতি-আদর্শের পরিবর্তে এমন হালুয়া-রুটির আকর্ষণই আজ যেন বড় রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ফায়দা সাধারণত দুভাবে দেওয়া হয়। ফায়দা প্রদানের প্রথম পদ্ধতি হলো কতগুলো অন্যায় সুযোগ প্রদান। ঠিকাদারি, টেন্ডার, লাইসেন্সসহ দলীয় ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক সুযোগ প্রদান; চাকরি, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে তাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন, আবাসিক এলাকায় প্লট বরাদ্দ; এমনকি অতি দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বরাদ্দ করা সামগ্রীর ভাগ প্রদান ইত্যাদি যার অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত তদবিরের মাধ্যমেই এগুলো কার্যকর করা হয়। উল্লেখ্য, এগুলোও দুর্নীতি, কারণ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও প্রদান করার নামই দুর্নীতি।
ফায়দা প্রদানের দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় অপরাধী কর্মকাণ্ডে লিপ্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা। বহুদিন থেকেই দলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন দল ও দলের অঙ্গ/সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে। বস্তুত, তাদের যেন সাত খুন মাফ! কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচিত প্রতিনিধি ও দলের নেতা-নেত্রীদের হস্তক্ষেপের কারণে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপারগ—প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের ‘খুঁজে পায় না’। আর কেউ সাহস করে ব্যবস্থা নিলে নিজেরাই অনেক ক্ষেত্রে ‘ভিকটিম’-এ পরিণত হন। হয় তাঁরা নিজেরা বদলি হন, না হয় সরকারের প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকের সিল তাঁদের ওপর এঁটে দেওয়া হয়, যার মাশুল তাঁদের পুরো কর্মজীবন ধরে দিতে হয়। এ ছাড়া দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও দলীয় বিবেচনায় অনেক সময় মামলা প্রত্যাহার করা অথবা মামলা দুর্বল করে দেওয়া হয়। অনেক সময় বিচারকের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত চাপও সৃষ্টি করা হয়। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতাকেও ফায়দা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব অন্যায় সুবিধার জন্য অনেক সময় নিজেদের মধ্যে লেনদেনও হয়।
মধু ছিটালে যেমন পিঁপড়া আসে, তেমনিভাবে ফায়দার লোভে ক্ষমতাসীন দলে এবং দলের অঙ্গ/সহযোগী সংগঠনগুলোতে সুযোগ-সন্ধানীদের ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের ভিড় জমে ওঠে। এর ফলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারি ইত্যাদির ব্যাপক বিস্তার ঘটে। এবারও তাই ঘটছে। অতীতের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জড়িত সুবিধাবাদীদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলে এবং দলের অঙ্গ/সহযোগী সংগঠনে যোগ দিয়েছে। মাননীয় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ঠিকই বলেছেন, অন্য দলের সন্ত্রাসীরাও এখন ছাত্রলীগে। আর তা ঘটেছে ফায়দার লোভে এবং তদবিরের জোরে আইনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারার আকর্ষণে।
উল্লেখ্য, এ ধরনের ফায়দাবাজিই দলবাজির উৎস। ফায়দার কারণেই আমাদের সমাজে আজ ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সবাই বিভক্ত। এমনকি সরকারি কর্মকর্তারাও নগ্ন দলবাজিতে লিপ্ত। আর দলবাজ পেশাজীবী ও কর্মকর্তারাই ফায়দা বিতরণের মাধ্যমে সমাজের সকল ক্ষেত্র তথা জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। বলা বাহুল্য, বিভক্ত জাতি নিজেরাই নিজেদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তারা সামনের দিকে বেশি দূর এগোতে পারে না।
দল এবং দলের অঙ্গ/সহযোগী সংগঠনের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান মারামারির কারণও ফায়দাবজি। জাতীয় সম্পদ সীমিত, তাই ফায়দা হিসেবে বিতরণ করার মতো সম্পদও সীমিত। আর এ সীমিত ফায়দা নিয়েই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার ফলেই মারামারি। দলের নেতৃত্বে কোন্দলও বহুলাংশে এ হালুয়া-রুটির ভাগ নিয়েই। আর নেতৃত্বের কোন্দল প্রতিপক্ষকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে মারামারি, হানাহানি জিইয়ে রাখে।
ফায়দাবাজির বিস্তারের কারণে শুধু প্রতিবাদী ব্যক্তি ও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই নয়, সাধারণ নাগরিকেরাও তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ, এ ব্যবস্থায় সকল সরকারি সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা থাকে বিজয়ীদের করায়ত্ত। আর এগুলো বিতরণ করা হয় মূলত দল ও দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের স্বার্থে। ফলে ক্ষুণ্ন্ন হয় নাগরিকের সমতা ও সমসুযোগের মতো মৌলিক অধিকার, যা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভের অন্তর্ভুক্ত। বলা বাহুল্য, ফায়দাতন্ত্র সামন্তবাদী পেট্রন-ক্লায়েন্ট প্রথারই উত্তরাধিকার, যা গণতান্ত্রিক চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটি সুস্পষ্ট যে ক্ষমতাসীন দল ও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সৃষ্ট বর্তমান অরাজক পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে দলতন্ত্র ও ফায়দাতন্ত্র। তাই একমাত্র কিছু দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই এ সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। বরং এর মাধ্যমে রোগের উপসর্গই চিকিৎসা করা হবে বলে অনেকের ধারণা, যদিও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরি। রোগের পরিপূর্ণ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিলুপ্তি, যা বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশনে পাস করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধিত) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী দলগুলো করতে বাধ্য। কারণ, এ আইনের ৯০বি(১)(খ)(iii) ধারার বিধান মতে নিবন্ধিত দলের কোনো অঙ্গ/সহযোগী সংগঠন থাকতে পারে না। আর এসব সংগঠন বিলুপ্ত করলে তাদের নেতা-কর্মীরা দলকে ছাতা হিসেবে ব্যবহার করে অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে পারবেন না। উল্লেখ্য, দলতন্ত্র বা ফায়দাতন্ত্রের মাধ্যমে সম্পদের অপচয় ও যথার্থ ব্যবহার বিঘ্নিত হয় এবং সাধারণত অযোগ্য ও অনেক ক্ষেত্রে বিতর্কিত ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন, যার মাশুল জাতিকে গুনতে হয়।
তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য অঙ্গ/সহযোগী সংগঠন বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে দলবাজি ও ফায়দাবাজির অবসান ঘটাতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে যোগ্যতা-অযোগ্যতার তোয়াক্কা না করে এবং ন্যায়নীতি বিসর্জন দিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের কাজ ও অবৈধ সুযোগ দেওয়ার প্রবণতা। করতে হবে তদবিরের এবং দলীয় বিবেচনায় কাউকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার সংস্কৃতির অবসান। দল ও স্বজনপ্রীতির এ সংস্কৃতির পরিবর্তন না ঘটলে বিলুপ্ত অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মূল দলে যোগ দিয়ে একই কাণ্ড ঘটাবেন। কারণ দলের প্রটেকশনে যতদিন স্বার্থ সিদ্ধির সুযোগ থাকবে, ততদিন তাদেরকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা যাবে না। একই সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ‘ডিও লেটার’ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করার অনানুষ্ঠানিক ক্ষমতাও খর্ব করতে হবে। অন্যথায় নিজেরা ভিকটিম হওয়ার ভয়ে কোনো কর্মকর্তা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উৎসাহী হবেন না। এর জন্য অবশ্য প্রয়োজন হবে মাননীয় সাংসদদের স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে বিযুক্ত করে সংসদীয় দায়িত্বে নিবিষ্ট রাখা।
আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে এককালের গৌরবোজ্জ্বল ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণ আমরা অনুধাবন করতে পারি। কিন্তু সংসদে পাস করা আইন বাস্তবায়ন করা তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ ছাড়া বর্তমানের তথাকথিত ছাত্র নেতা-নেত্রীদের দ্বারা রাজনৈতিক দল ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করার এবং লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে অতীতের নির্বাচিত সংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতির কোনো মিল নেই। আর লেজুড় সংগঠন বিলুপ্ত হলেই সুস্থ ক্যাম্পাস-রাজনীতির বিকাশ ঘটবে, যা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে কাজ করবে। তাই আমরা আশা করি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাগস্ত হবেন না।
ড. বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক।

No comments

Powered by Blogger.