টাইমের চোখে ২০১২’র সেরা আবিষ্কার- ঘরের ভিতর মেঘ

আকাশের মেঘমালাকে কি ঘরের ভেতর নামিয়ে আনা সম্ভব? ঠিক তা সম্ভব না হলেও ওলন্দাজ শিল্পী বার্নডন্ট স্মিল্ডে একটি কক্ষের মাঝখানে সাদা রঙের ছোট আকারের নিখুঁত মেঘ তৈরির একটি উপায় উদ্ভাবন করেছেন।
এর জন্য অবশ্য সূক্ষ্ম ও নিখুঁত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও আলো সবই যথাযথ হতে হবে। সবকিছু ঠিকমত তৈরি রাখার পর স্মিল্ডে ফগ মেশিনের সাহায্যে শূন্য মেঘমালা ডেকে নিয়ে আসেন। এই মেঘমালা মাত্র কয়েক মুহূর্ত স্থায়ী হয়। কিন্তু রেখে যায় এক বিচিত্র ও অদ্ভূত রোমাঞ্চকর ছাপ। স্মিল্ডে করিডর কক্ষ, হলওয়ে কমনস্পেস যে কোন জায়গায় এই মেঘমালা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এই মেঘমালা রেনে ম্যাগগ্রাইটের পরাবাস্তববাদ এবং শিল্পের পুরনো দিকপালদের চিরায়ত সৌন্দর্য বোধ জাগ্রত করে এবং আমাদেরকে শিল্প ও প্রকৃতির ক্ষণস্থায়ীত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

নিজে নিজেই বানানো যাবে

মারসিন জাকুবোউস্কি মাত্র ৬ দিনে একটা ট্রাক্টর বানিয়েছেন। তারপর বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন কিভাবে সেটা তৈরি করতে হয়। তিনি এর ডিজাইন বানিয়েছেন। বাজেট তৈরি করেছেন এবং নির্মাণ কৌশলের ভিডিও বানিয়ে বিনামূল্যে অন লাইনে দিয়েছেন। জাকুবোউস্কি মাটি খোঁড়ার যন্ত্র থেকে শুরু করে ওভেন পর্যন্ত আধুনিক জীবনের প্রয়োজনীয় ৫০টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মেশিন চিহ্নিত করেছেন। সেই সঙ্গে প্রতিটি যন্ত্রের ‘কম খরচে নিজে কর’ সংস্করণের নমুনা বের করার জন্য কাজ করছেন। যাতে করে সেটা অনুসরণ করে যে কেউ যে কোন জায়গায় হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারে। তাঁর ভাষায় বলতে গেলে আমরা যদি চাষাবাদ, নির্মাণ ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্তরায়গুলো কমিয়ে আনতে পারি, তাহলে মানুষের বিপুল সম্ভাবনাময় ক্ষমতার উন্মেষ ঘটবে।
মেয়েদের জন্য বর্ম

সামরিক বাহিনীর নারী সদস্যদের বর্ম যোগাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে আমেরিকান আর্মি। দেখা গেছে, মেয়েদের শরীরের গড়ন পুরুষদের মতো নয়। কাজেই পুরুষ সদস্যদের জন্য তৈরি বর্ম তাদের গায়ে চড়বে না। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে যেসব বর্ম চালু আছে সেগুলো ওদের জন্য যেমনি ঢিলেঢালা তেমনি লম্বাও। এতে শরীরের কিছু কিছু জায়গা অরক্ষিত থেকে যায় সেখানে শত্রুর বুলেট ও বোমার টুকরো বিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা কিছু মেয়ের জন্য অনেক বেশি। দেখা গেছে পুরুষদের জন্য বানানো এক্সট্রা স্মল বর্মও সেনাবাহিনীর ৮৫ শতাংশ নারী সৈনিকের জন্য বড় হয়ে যায়। এসব দিক চিন্তা করে মার্কিন সামরিক বাহিনী নারী সৈনিকের জন্য উদ্ভাবিত নতুন বর্ম পরীক্ষা করে দেখছে। আফগানিস্তানে এই বর্মের প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহার হবে।

হাতের ভঙ্গিতেই চলবে স্ক্রু ড্রাইভার

কখনও কখনও স্ক্রু লাগানোর কাজটি বড়ই ঝামেলা-ঝক্কির ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ইলেকট্রিক স্ক্রু ড্রাইভার এ সমস্যার অনেকখানি সমাধান নিয়ে এসেছে বটে, তবে পুরোপুরি নয়। ব্ল্যাক এ্যান্ড ডেকার কোম্পানি ম্যাক্স গাইরো নামে এক নতুন স্ক্রু ডাইভার বাজারে এনেছে যেটি কব্জি ঘোরানোর ভঙ্গি অনুযায়ী চলবে। বিশ্বে এ ধরনের স্ক্রু ড্রাইভার এই প্রথম বলে দাবি করা হয়েছে। তার বিহীন এই ড্রাইভার ব্যাটারিতে চলে। স্ক্রু ড্রাইভারটি ধরে কব্জিটা মাত্র এক ইঞ্চির চারভাগের একভাগ ডানদিকে কাত করলেই সেটি ডানদিকেই অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরতে থাকবে যতক্ষণ স্ক্রুটি টাইট না হয়। আবার কব্জিটি ঈষৎ বামদিকে অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে কাত করলেই সেটা সেদিকেই ঘুরতে থাকবে এবং স্ক্রুটা তখন খুলে আসবে। এটা সম্ভব হয়েছে যন্ত্রটির ভিতরকার গাইরোস্কোপের কারণে। গাইরোস্কোপ আসলে একটা সেন্সরÑযা কব্জির নড়াচড়ার ভঙ্গি টের পেয়ে যায়। একটি মাইক্রো প্রসেসরের সাহায্যে সেই গতি ও ভঙ্গি পরিমাপ করে ড্রিলের গতি ও ভঙ্গিতে সেই পরিবর্তন আনা হয়।

হাল্কা কাজের রোবট ব্যাক্সটার

শিল্প কারখানায় প্রচলিত রোবটগুলো এত বিশালকায় যে ভয় লাগার কথা। কিন্তু ব্যাক্সটার এক নতুন জাতের রোবট। বিখ্যাত রোবট বিজ্ঞানী রডনি ব্রুকসের সর্বশেষ পরিকল্পনার ফসল। হাল্কা ধরনের যেসব কাজ বার বার করতে হয় তেমন কাজের জন্যই ব্যাক্সটার তৈরি করা হয়েছেÑযেমন প্যাকিং ও সটিং। ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান যাদের পক্ষে রোবট শ্রমিক রাখা সম্ভব নয়, তাদের জন্যই রয়েছে ব্যাক্সটার। এটি দামেও সস্তা এবং ব্যবহারবান্ধবও বটে।
নাসার স্পেস স্যুট

আজকের দিনের মহাকাশ অভিযানে বিশেষ করে মানবজাতি যখন মহাকাশের গভীরে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আগের দিনের স্পেসস্যুট আর চলবে না। এজন্যই উদ্ভাবন করা হয়েছে নতুন ধরনের নভোচারীর পোশাক জেড-১। এই পোশাকে যে কোন জায়গায় যাওয়া যাবে। এতে আরও বেশি নমনীয় ধরনের জয়েন্ট আছে। মহাকাশে দীর্ঘদিন অবস্থানকালে তেজস্ক্রিয় বিকীরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া পিঠের দিকে একটা হাফডোরের মতো আছে যার ফলে স্পেস স্যুটটি কোন নভোযান বা রোভারের দরজায় ভিড়লে নভোচারী হাফডোরে দিয়ে হামাগুঁড়ি মেরে ওটার ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে বাইরের ধূলিকণাও ভিতরে যেতে পারবে না আবার ভিতরের বাতাসও বেরিয়ে আসতে পারবে না।

ঘরে বসেই এইচআইভি নির্ণয়

আপনার শরীরে ‘এইচআইভি’ ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা আপনি ঘরে বসে নিজে নিজেই নির্ণয় করতে পারবেন। এ কাজে আপনাকে সাহায্যের জন্য বেরিয়েছে ওরাকুইক নামে ছোট এক ধরনের যন্ত্র। মুখের লালা নিয়ে এই যন্ত্রের পরীক্ষায় ২০ মিনিটের মধ্যে জানা যাবে শরীরে এইচআইভি আছে কিনা। এটা নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার এবং ফল জানার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকার দরকার হবে না। পরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়লে তা মোকাবেলার উপায় এবং ২৪ ঘণ্টা হেলপলাইনের ব্যবস্থা আছে।

কিউরিওসিটি রোভার

নাসার তরফ থেকে মঙ্গল অভিযান আগেও হয়েছে। এমনকি লাল গ্রহের মাটিতে গ্রহযান অবতরণও করেছে। কিন্তু গত আগস্টের মতো অভিযান আগে আর কখনও হয়নি। ঐ অভিযানে গেল জ্বালামুখে নামানো হয়েছে কিউরিওসিটি। এক টন ওজনের স্পোর্টস কার সাইজের একটা রোভারযান যার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ওজনই ১০ গুণ বেশি। রোভারটি মঙ্গলের বুকে যেভাবে নামানো হয়েছে তার কারণেই যন্ত্রপাতিগুলো যথেষ্ট ঠা-া থেকেছে। মঙ্গলের আকাশে একটি ক্যাপসুল ঘুরপাক খেয়েছে। সেখান থেকে কেবল দিয়ে রোভারকে মাটিতে নামানো হয়েছে ব্যালে নৃত্যের ভঙ্গিতে। রোভারটি মঙ্গলের বুকে দু’বছর ধরে বিভিন্ন অনুসন্ধান কাজ চালাবে।

কথা বলার দস্তানা

মূক ও বধিরদের যারা সাঙ্কেতিক ভাষা বোঝে না বা ব্যবহার করতে পারে না, অন্যদের সঙ্গে তাদের ভাবের আদান-প্রদান বা যোগাযোগের জন্য উদ্ভাবিত হয়েছে বিশেষ ধরনের গ্লাভ বা দস্তানা। ইউক্রেনের চার ছাত্রের উদ্ভাবিত এই দস্তানায় এমন সেন্সর লাগানো আছে যে, তা দিয়ে সাঙ্কেতিক ভাষা চিনতে পারা এবং সেটাকে স্মার্ট ফোনে বক্তব্যের আকারে রূপায়িত করা যায়। স্মার্ট ফোন এরপর সেই বক্তব্য বিষয়কে কথায় রূপান্তরিত করে।

সনি ডিজিটাল ক্যামেরা

ডিজিটাল ক্যামেরা প্রতিবছরই আকারে আগের তুলনায় ছোট হচ্ছে এবং ততই বাড়ছে এর কর্মক্ষমতা। তবে সনি আরএক্স ১০০ আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে চলতি বছরে এক্ষেত্রে এক বিশাল অগ্রগতি ঘটে গেছে। এই ক্যামেরা পয়েন্ট এ্যান্ড শূট এবং প্রো-কোয়ালিটি ডিজিটাল এসএআরের মধ্যকার শূন্যতা পূরণ করে দিয়েছে। সনির নিখুঁত উদ্ভাবনী ডিজাইন এবং ১ ইঞ্চি সেন্সরের বদৌলতে এই ক্যামেরার সাহায্যে নিখুঁত ঝকঝকে ছবি তোলা যায় যদিও এটা গড়পড়তা ডিজিটাল এসএলআরের তুলনায় ২০ শতাংশ ছোট। পকেটে এই ক্যামেরা বয়ে বেড়াতে কোন সমস্যা নেই।

টায়ার আপনা থেকেই ফুলে যাবে

গুডইয়ার কোম্পানির নতুন উদ্ভাবিত টায়ার এ বছরের ৫০টি সেরা আবিষ্কারের একটি। টায়ারের বিশেষত্ব হলো, বাতাস ধরে রাখার প্রযুক্তিটাই এমন যে, তাতে অভ্যন্তরীণ বায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রটি বায়ুচাপ কমে গেলেই তা টের পেয়ে যায়। বায়চাপ নির্দিষ্ট প্যারামিটারের নিচে নেমে এলেই রেগুলেটরের মুখ খুলে গিয়ে পাম্পিং টিউবে বাতাস প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়। চাকা ঘুরতে থাকায় টিউবের চেপ্টা হয়ে আসা অংশটি একটি ইনলেট ভাল্ব টিউবের বাতাস চাপ দিয়ে টায়ারে ঢুকিয়ে দেয়। বায়ুর চাপ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছলে রেগুলেটর আপনা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। সবকিছুই ঘটে যায় ড্রাইভারের অজ্ঞাতসারে। সে টেরও পায় না কোথায় কিছু হয়েছে কিনা।

বাউন্স ইমেজিং

কোন ভবনে আগুন লেগেছে কিংবা জিম্মি করে রাখা হয়েছে মানুষজনকে। ওখানে অভিযান চালানোর আগে চার পাশের পরিবেশটি জানা দরকার পুলিশ, সৈন্য বা দমকল বাহিনীর। জানবার উপায়টা কি? এমআইটির এক ছাত্র ও একজন আর্মি রেঞ্জার এমন এক ব্যবস্থা উদ্ভাবন করছেন যে প্রযুক্তি শুধুমাত্র মার্কিন কমান্ডো বাহিনী এলিটশিপের আছে। এক্ষেত্রে বেলবল সাইজের একটি জিনিস ঐ এলাকায় ছুড়ে দেয়া হয়। এর ভিতরে থাকে ছয়টি ক্যামেরা ও বেশ কয়েকটি সেন্সর। ক্যামেরা ছবি তোলে আর সেন্সরগুলো নির্ণয় করে বায়ুর অবস্থা, তাপমাত্রা, বিকীরণ ও অন্যান্য সমস্যা। তারপর সেই ছবি ও অন্যান্য তথ্য বিনা তারে ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

গুগল চশমা

টাইমের চোখে ২০১২ সালের সেরা ৫০টি আবিষ্কারের একটি হচ্ছে গুগল গ্লাস। এ আর কিছুই নয়, একটা চশমার ফ্রেমের ভিতরে তৈরি করা একটা কম্পিউটার। এটি বর্ধিত বাস্তবতাকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশে পরিণত করবে। এতে রয়েছে আধ ইঞ্চির ডিসপ্লে। উপরে ও ডানদিকে তাকালে এটি ফোকাসে আসবে। তখন ছবি নেয়া ও আদানপ্রদান করা, ভিডিও চ্যাট করা, এপয়েন্টমেন্ট যাচাই করা, ম্যাপ দেখা ও ওয়েবে প্রবেশ করা সম্ভব হবে। তবে গুগল গ্লাস ক্রেতাদের হাতে পৌঁছতে ২০১৪ সাল লেগে যাবে।


সুইচব্লেড ড্রোন

লম্বায় ২ ফুট, ওজন ৬ পাউন্ড। সুইসব্লেড ড্রোন ব্যাক প্যাকে করে রণাঙ্গনে বয়ে নেয়া যায়। এটা একটি প্রাণঘাতী ও বিধ্বংসী অস্ত্র। এই ড্রোন ব্যবহারকারী ব্যক্তি ভিডিওকে কাজে লাগিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানে। এর সঙ্গে যুক্ত বোমাটি অভিঘাতের কারণে বিস্ফোরিত হয়। বস্তুত এই ড্রোনের বদৌলতে রণাঙ্গনের যোদ্ধারা নিজেরাই নিজেদের বিমান সমর্থনের ব্যবস্থা করে থাকে।

ভাসমান মৎস্য খামার

আমাদের মাছের চাহিদার শেষ নেই। কিন্তু মৎস্য সম্পদ অফুরন্ত নয় বলে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়। হাওয়াইয়ের একটি মৎস্য আহরণ কোম্পানি কামপুচি ফার্ম এই জাতের মাছ চাষের এক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেÑযা পরিবেশের ওপর বিন্দুমাত্র বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। এই পদ্ধতিতে একশ’ ফুট তামার-এ্যালয়ের জালি খাঁচায় মাছের পোনা ছেড়ে সেগুলো গভীর সাগরে ভেসে চলতে দেয়া হয়। খাঁচাগুলোর সন্ধান বের করতে জিপিএস এর সাহায্য নেয়ারও ব্যবস্থা আছে। কোম্পানি আশা করে যে, এইভাবে হাজার হাজার টন কামপুচি মাছ চাষ করা সম্ভব। ২০১১ সালে কোম্পানিটি হাওয়াইয়ের ৩ থেকে ৭৫ মাইল দূরে ২০ ফুটের খাঁচাগুলো পরীক্ষা করে দেখতে পায় যে, সমুদ্রে ছাড়ার ছয় মাস পর ওগুলো থেকে ১০ হাজার পাউন্ড কামপুচি মাছ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মাছগুলো বেড়েছে প্রত্যাশার তুলনায় দ্বিগুণ হারে।

এলিমেন্ট ১১৩

৯ বছর সাধনার পর জাপানের বিজ্ঞানীরা এলিমেন্ট ১১৩ নামে একটি নতুন মৌলিক পদার্থ খুঁজে পেয়েছেন। সেটা অবশ্য প্রকৃতিতে নয়, ল্যাবরেটরিতে। কারণ প্রকৃতিতে এই মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় না। এটা অবশ্যরূপেই একটি কৃত্রিম মৌলিক পদার্থ। বিগত বেশ কয়েক বছরে ভারি থেকে আরও ভারি কৃত্রিম মৌলিক পদার্থ সৃষ্টি করা হয়েছে। সবচেয়ে বড়টি হলো এলিমেন্ট ১১৮। সাময়িকভাবে এর নাম দেয়া হয়েছে আনআনোকটিয়াম। কিন্তু এলিমেন্ট ১১৩ কিছুতেই সৃষ্টি করা যাচ্ছিল না। কারণ যে তিনটি এটম দিয়ে এটি গঠিত তার মধ্যে একটি এটমকে কিছুতেই তৈরি করা যাচ্ছিল না। নয় বছর ধরে সেটি ধরা দেই দেই করেও দিচ্ছিল না। অবশেষে জাপানের কোসুকে মোরিতার নেতৃত্বে একটি বিজ্ঞানীদল সেই তৃতীয় এটমটিকে তৈরি করতে পারায় কৃত্রিম মৌলিক পদার্থ ১১৩ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়। ১১৩ মৌলিক পদার্থটি অতিমাত্রায় অস্থিতিশীল। সৃষ্টি হওয়ার অল্প পরেই তা ক্ষয় হয়ে যায়। এর নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্র বিশাল এবং তাতে ১১৩টি প্রোটোন ও ১৬৫টি নিউট্রন আছে। এলিমেন্ট ১১৩-এর নাম এখনও দেয়া হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.