সাপের ঝাঁপি মাথায় বিরোধী নেত্রী চলছেন- ০ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রীর অভিযোগের জবাবে০ জামায়াতে ইসলামী কি ওনার কাছে ফেরেশতা’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীই সাপ নিয়ে খেলছেন। সাপের ঝাঁপি মাথায় নিয়ে চলছেন।
যুদ্ধাপরাধী ও একাত্তরের গণহত্যাকারীদের সঙ্গে নিয়ে আপনি (খালেদা জিয়া) আওয়ামী লীগকে সাপ বলেন! তবে যুদ্ধাপরাধীরা কী? তারা কী উনার কাছে ফেরেশতা? উন্নত কোনো জীব? একাত্তরে যারা গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণ করেছিল- তারা (যুদ্ধাপরাধী) উনার কাছে অত্যন্ত উন্নত জীব! যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় উনি (খালেদা জিয়া) বিজয়ের মাসে মাঠে নেমেছেন, পুড়িয়ে মানুষ মারছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষার চেষ্টা করেও উনি পারেননি, যুদ্ধাপরাধীদেরও রক্ষা করতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, চলবে। বিচার সম্পন্ন হয়ে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে রাজপথে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে না মারার জন্যও প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের কথায় কান পাতুন, জনগণ কী চায় তা জানার চেষ্টা করুন। খামাখা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারবেন না। অযথা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে দেশের জনগণকে আর কষ্ট দেবেন না।
রাজধানীর বিভিন্ন পথসভায় সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যায়িত করে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) কথা শুনে মনে হয় ‘চোরের মায়ের বড় গলা’। ক্ষমতায় থাকতে তিনি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছেন, নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দুর্নীতির কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন, তাঁর গুণধর পুত্রদের দুর্নীতির পাচারকৃত অর্থ বিভিন্ন দেশে ধরা পড়েছে, আমরা তা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তাঁর মুখে দুর্নীতির কথা শোভা পায় না। দুর্নীতি আর মানুষ খুনÑ এই দুই গুণই ছিল তাঁর (খালেদা জিয়া)। তিনি আগামী দিনের যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলের নেতাকর্মীদের সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহ্্রাওয়ার্দী উদ্যানে দীর্ঘ নয় বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, আপনার আওয়ামী লীগের ওপর এত রাগ কেন? বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন না করলে আপনার স্বামী জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হতে পারতেন না। আপনার স্বামীকে আওয়ামী লীগই পদোন্নতি দিয়েছে। স্বাধীনতার পর আমাদের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু বৈঠক করে কার সংসার বাঁচিয়েছিল, পারিবারিক সমস্যা সমাধান করে দিয়েছিল- সেকথা বলে আমি বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আর লজ্জা দিতে চাই না। বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে হিসেবে আমি কাছ থেকে সবকিছু দেখেছি।
খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ’৮১ সালে চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের হত্যার পর স্থানীয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হত্যা মামলা কখনও তামাদি হয়ে যায় না। কিন্তু দুই দুইবার ক্ষমতায় আসার পর উনি (খালেদা জিয়া) কেন তাঁর স্বামীর হত্যার বিচার করলেন না? জাতি তা জানতে চায়। বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকা অবস্থায় গুলিস্তানে প্রকাশ্য জনসভায় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এরশাদ জিয়াউর রহমানের হত্যাকারী। অথচ যাকে তিনি স্বামী হত্যাকারী বললেন, সেই এরশাদের কাছ থেকে খালেদা জিয়া গাড়ি, বাড়ি ও অর্থ নিয়েছেন। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। কিভাবে তিনি স্বামী হত্যাকারীর কাছ থেকে টাকা নেন তা জাতি জানতে চায়।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের যুগে ফিরে যেতে চায় না। হত্যা, খুন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসই ছিল তাঁর নীতি। তাঁর আমলে অত্যাচার-নির্যাতনের কথা দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না বলেই দেশের উন্নয়নে সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছি। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্রতিহিংসার আগুনে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা কিছুই রেহাই পায়নি। একদিনে দেশের পাঁচ শ’ স্থানে বোমা হামলা, জঙ্গীবাদের উত্থান আর ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে মানুষ খুন করার ইতিহাস দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। এখন যখন এসব অপকর্মের বিচার শুরু হয়েছে, তখন দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষমতায় থাকতে উনি (খালেদা জিয়া) কী করেছেন।
ঢাকা মহানগর কাউন্সিলকে ঘিরে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছিল ঐতিহাসিক সোহ্্রাওয়ার্দী উদ্যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় নগরীর ২৪ থানা, ৬১ ওয়ার্ড এবং ১৯ ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা নিজ নিজ পতাকা স্ট্যান্ডে গিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বাংলা সংসদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে শুরু হয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির মডেল জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ায় সম্মেলনে আসার সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে হাততালি ও সেøাগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দিত করেন। এরপর সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। প্রথমেই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, জোট সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্যাতিত ও গ্রেফতারকৃত নেতাদের তালিকা তুলে ধরেন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ ও আবু নাঈমের পরিচালনায় সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সৈয়দ আশরাফুল তাঁর বক্তৃতায় বার বার তাগিদ দেয়ার পরও ঢাকা মহানগরীতে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে না পারা এবং একটি থানা বা ওয়ার্ডে কাউন্সিল করে কমিটি পুনর্গঠন করতে না পারার জন্য বর্তমান কমিটির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে আসার আগেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সম্মেলনের জন্য স্থাপিত বিশাল মঞ্চ প্রাঙ্গণ। একপর্যায়ে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় মানুষের ঢলে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সম্মেলনে রূপ নেয়। নগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পদ প্রত্যাশীদের শত শত বিশাল বিশাল ব্যানার-ফেস্টুনে সম্মেলনস্থলের কোথাও এক ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা ছিল না। দুপুরের পর থেকেই স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে শ্লোগাণে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলা হয়, যা পর্যায়ক্রমে দৃষ্টিকটুর দিকে যেতে চাইলে এবং শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে নগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কোন প্রার্থীর পক্ষে সেøাগান না দেয়ার নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। যদিও পুরো সম্মেলনস্থলে আসা অধিকাংশ নেতাকর্মীই ছিলেন মায়া সমর্থক।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শেষে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর আগে নগর কমিটির সকল কেন্দ্রীয় নেতার সমর্থন নিয়ে ঢাকা মহানগর কমিটি গঠনের সম্পূর্ণ ভার শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করা হয়। উপস্থিতি কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা তাতে সমর্থন জানান। জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় ও মহানগর দুটি কমিটিই ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হবে কী না তা নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। কালই নির্ধারিত হবে ঢাকা মহানগর কমিটির ভাগ্য। দ্বিতীয় অধিবেশনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক সালাউদ্দিন বাদলের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। রথীন্দ্রনাথ রায়, রবি চৌধুরীসহ দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মূলত গত বুধবার ঢাকার ছয়টি পথসভায় খালেদা জিয়ার বিভিন্ন বক্তব্য ও অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যখনই ক্ষমতায় আসেন তখনই দেশের মানুষের ঘুম হারাম হয়ে যায়। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে জোট সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের চিহ্ন আজও স্পষ্ট। তাঁর পুত্র সম্পর্কে খালেদা জিয়ার মন্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছেলে-মেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করেছি।
তিনি বলেন, আমার পুত্র বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছে, মেয়েও খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছে। কিন্তু উনি (খালেদা জিয়া) তাঁর দুই পুত্রকে কী শিক্ষা দিয়েছেন? সরকারী কোষাগার থেকে অর্থ নিয়ে উনি তাঁর ছেলেদের জন্য কী ডিগ্রী এনেছেন? দুর্নীতি করে বিদেশে অর্থ পাচার ও ড্রাগের ওই মাস্টার্স ডিগ্রী পেয়েছে? তাঁর (খালেদা জিয়া) মতো মানুষের মুখে এসব কথা শোভা পায় না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেছিলেন, প্রায় ২১ হাজার যুদ্ধাপরাধী কারাগারে বন্দী ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান মাশার্ল অর্ডিন্যান্স দিয়ে এই বিচার বন্ধ করে দেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেন।
তিনি বলেন, জিয়ার মতো তাঁর স্ত্রী কম যান না। উনি ক্ষমতায় গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে বাড়িতে লাখো শহীদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ভোটারবিহীন নির্বাচনে এমপি বানিয়ে পাশে বসিয়েছেন। এখন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য মাঠে নেমেছেন। আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করছেন। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে, মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে মানুষ খুন করছেন। ক্ষমতায় থাকতে এক ফোঁটা বিদ্যুত উৎপাদন করেননি, সকল টাকা লুটেপুটে খেয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্নীতির কারণেই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে দুর্নীতি নয়, দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এর নেপথ্যে বা পেছনে কে আছে আমরা তা জানি। আমরা দুর্নীতি করতে ক্ষমতায় আসিনি, আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য এসেছি। হলমার্ক বা ডেসটিনির কেলেঙ্কারির ঘটনা আমরাই ধরেছি। বিএনপির আমলেই তো এদের উত্থান হয়েছিল। হাওয়া ভবন থেকেই তো হলমার্কের উত্থান।
সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা এবং সরকারের চার বছরের সাফল্য জনগণের মাঝে তুলে ধরার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি করে বিএনপি-জামায়াত বিপুল পরিমাণ কালো টাকার মালিক হয়েছে। তারা অর্থ, অস্ত্র ও সন্ত্রাসে চ্যাম্পিয়ন। আর আমাদের আছে মনোবল আর দেশের জনগণের প্রতি আস্থা। তাই যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি কাল (শুক্রবার) থেকে ঢাকায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু এবং থানা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেন।

No comments

Powered by Blogger.