পশ্চিমা ধ্রুপদি ও বাংলা গানের সন্ধ্যা

পাশ্চাত্যের ধ্রুপদি সংগীত ও বাংলা গানের মেলবন্ধনে এক চমৎকার সংগীতসন্ধ্যা হয়ে গেল গতকাল বৃহস্পতিবার। ছায়ানট ও জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র যৌথভাবে আয়োজন করেছিল এই অনুষ্ঠান।
জাপানের শিল্পী মিডোরি গোটো ও সহশিল্পীরা পাশ্চাত্য ধ্রুপদি যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সংগীতগুরু প্রয়াত সোহরাব হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্রের পক্ষে কে এম নুরুল আলম। প্রথমেই ছিল ছায়ানটের শিশু বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। তারা ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’ এবং ‘ওদের বাঁধন যতই শক্ত হবে’ গান দুটি গেয়ে শোনায়।
এরপর জাপানি শিল্পীরা পরিবেশন করেন: ‘স্ট্রিং কোয়ারটেট’; কম্পোজার: র্যা ভেল (ফ্রান্স), থ্রি পিসেস্: কম্পোজার: স্ট্র্যাভিনস্কি (রাশিয়া), কম্পোজার: হাইডেন (অস্ট্রিয়া), মেফিস্টো ওয়াল্ট্জ্: কম্পোজার: লিস্জ্ট্ (হাঙ্গেরি)। জাপানি শিল্পীদের মধ্যে বেহালা বাজিয়েছেন মিডোরি গোটো, সামিকা হোন্ডা, ভিয়েলা বাজিয়েছেন উইলিয়াম ফ্রাম্পটন এবং চোলো বাজিয়েছেন হিরো মাটসুও।

শুরু হলো কলিম শরাফী স্মরণে নাট্যোৎসব
‘ভরা থাক স্মৃতি সুধায়’ রবীন্দ্রনাথের এই বাণী সামনে রেখে সংগীতজ্ঞ কলিম শরাফীকে স্মরণে করে সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব শুরু হলো গতকাল বৃহস্পতিবার।
নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের আয়োজনে এই নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন শিল্পী হাশেম খান, নাট্যজন আতাউর রহমান, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
উৎসব উপলক্ষে নাট্যশালার লবিতে আলোকচিত্রী এম এ তাহেরের তোলা কলিম শরাফীর নানা মুহূর্তের ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই কলিম শরাফীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘ভরা থাক স্মৃতি সুধায়’ গানটি গেয়ে শোনান পীযূষ বড়ুয়া। আলোচনার পরও ছিল গান। সংগীত ভবনের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘গানে গানে তব বন্ধন যাক টুটে’ ও ‘আকাশ জুড়ে শুনিনু’।
প্রথম দিনে ছিল নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের নাটক যুগলবন্দী। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন দীপদণ্ড মঞ্চস্থ করবে কলকাতার বহুরূপী নাট্যদল।
অন্যান্য নাটক হলো: কলকাতার বহুরূপী নাট্যদলের ছাঁচ ভাঙ্গা মূর্তি, থিয়েটারের মেরাজ ফকিরের মা, নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের রক্তকরবী ও নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের বিবিসাব। উৎসব শেষ হবে আগামী ২ জানুয়ারি।

কবিতার গানে স্বদেশ
সারগাম ললিতকলা একাডেমি আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তনে পরিবেশন করবে গীতি-আলেখ্য ‘কবিতার গানে স্বদেশ’। বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর গ্রন্থনা, সুরকার ও সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন শাহীন সরদার।
অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে একুশের প্রথম কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে।

সুরের ধারার অনুষ্ঠান
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় সংগীত সংগঠন সুরের ধারা ও জাপানের সংগীত সংগঠন মিউজিক শেয়ারিংয়ের অংশগ্রহণে সংগীতানুষ্ঠান হবে সুরের ধারার ২/৭ লালমাটিয়ার মিলনায়তনে।
অনুষ্ঠানে জাপানের বিখ্যাত যন্ত্রশিল্পী মিডোরি গোটো ও তাঁর দল বেহালা, ভিয়োলা ও চেলো বাজনার মধ্য দিয়ে করবেন পাশ্চাত্যের উচ্চাঙ্গসংগীত। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সুরের ধারার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পরিবেশন করবেন রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনা।

No comments

Powered by Blogger.