শেখ রাসেল ২:১ ব্রাদার্স byশেখ রাসেলের ত্রাতা সনি

লাডি বাবালোলাকে দেখে মায়াই লাগল। চোখমুখ অন্ধকার। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা ব্রাদার্সের নাইজেরিয়ান কোচ যেন পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী মানুষ।
যেন এইমাত্র কোনো নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনেছেন!
ব্রাদার্স তো এক অর্থে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে। টানা পঞ্চম হার। বাংলাদেশ লিগে এখনো পয়েন্টের খাতায় শূন্য। এর আগে টানা পাঁচ ম্যাচ কখনো হারেনি ব্রাদার্স। কাল শেখ রাসেলের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও যথারীতি হার। অতিরিক্ত সময়ে হাইতির ফরোয়ার্ড সনি নর্দের গোলে পিছিয়ে পড়া শেখ রাসেল ২-১ ব্যবধানে পকেটে পুরল ম্যাচটা। এই জয় লিগ টেবিলে শেখ রাসেলকে তুলে আনল সবার ওপরে। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২।
অথচ কী দুর্দান্তই না খেলল ব্রাদার্স। সেই পুরোনো ব্রাদার্সকে এদিন মনে করিয়ে দিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গতিময় ম্যাচটি। ব্রাদার্স সারাক্ষণই সর্বাত্মক আক্রমণে ঝাঁপিয়েছে। কিন্তু জয়ের জন্য মরিয়া গোপীবাগের দলটি হারল মূলত রক্ষণদুর্বলতায়। অবশ্য সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তাদের আক্রমণভাগও।
শুরুতে কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করায় শেখ রাসেল এদিন গোলের জন্য তাড়াহুড়ো করছিল। দলটি মূলত নিচে থেকে ছোট ছোট পাসে খেলা তৈরি করে। কিন্তু গোল না পাওয়ার হতাশা থেকে লম্বা বলে খেলছিল বেশি। ফলে একটু ছন্দপতন হয়েছে রাসেলের খেলায়। তবু শেখ রাসেল শেষ পর্যন্ত জিতল আত্মবিশাসের জোরে।
ম্যাচের তিন গোলদাতাই বিদেশি। ৩৪ মিনিটে এন্ডারসনের ক্রসে কিংসলের হেডে ব্রাদার্স এগিয়ে যায়। ওই সময় সামনে দুজন ডিফেন্ডার থাকলেও রাসেল গোলরক্ষক বিপ্লব বেরিয়ে আসেন। তারই খেসারত ওই গোল (আগের চার ম্যাচে ব্রাদার্সের একমাত্র গোলটিও কিংসলের। পাঁচ ম্যাচে ব্রাদার্সের গোল মাত্র দুটি। হজম করেছে ১১ গোল)।
কিন্তু এগিয়ে যাওয়া গোলটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ব্রাদার্স। ৪১ মিনিটে রাসেলের জাহিদ, সনি ওয়ান-টু করে বলটা বের করে নেন। জাহিদের বাড়ানো বল মরোক্কান তারিক মারজুকের বুদ্ধিদীপ্ত শটে ১-১। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ব্রাদার্সকে স্তব্ধ করে দেয় সনির গোল। অ্যাটাকিং থার্ডে মিঠুন থ্রু বাড়ান সনিকে, সেই বল ধরে সনির কোনাকুনি প্লেসিং।
দৃশ্যটা শেল হয়ে বিঁধেছে ব্রাদার্স কোচের বুকে। ম্যাচের পর বাবালোলা তবু আশায় বুক বাঁধতে চাইলেন, ‘আমি হতাশ। দলের টানা হারের দায় আমারই। তার পরও এখনো মনে করি ফিরে আসা সম্ভব।’

No comments

Powered by Blogger.