শিরশ্ছেদের প্রতিবাদে সৌদি দূতাবাসের কাছে মানববন্ধন

সৌদি আরবে আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার ঢাকার গুলশানে সৌদি দূতাবাসের কাছে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 'ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী-জনতা' নামের একটি সংগঠন এ কর্মসূচি পালন করে। বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ এ কর্মসূচিতে ছিলেন। মানববন্ধনকারীরা তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে সৌদি দূতাবাসের কাছে যেতে চাইলে পুলিশি আপত্তির কারণে গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরেই তাঁরা কর্মসূচি শেষ করেন। পথচারীদের অনেকেই এ সময় মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে।


ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী-জনতা গতকাল সকাল ১১টায় সৌদি দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। সংগঠনের কর্মীরা দূতাবাসের কাছে গুলশান ২ নম্বরের গোলচত্বরে সমবেত হন। সেখান থেকে দূতাবাসের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে যাওয়ার কথা সংগঠনটির কর্মীরা জানালেও পুলিশ তাতে আপত্তি জানায়। তখন তাঁরা সেখানেই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
গুলশান থানার ইন্সপেক্টর আমজাদ হোসেন লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদকে বলেন, 'আপনি সম্মানিত ব্যক্তি। দূতাবাস কূটনৈতিক এলাকায়। সেখানে কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। যদি স্মারকলিপি দিতে চান, তাহলে দু-তিনজন আমাদের গাড়িতে করে দূতাবাসে গিয়ে তা দিয়ে আসতে পারেন।'
জবাবে আবুল মকসুদ বলেন, 'আমি আইন মানা লোক। আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সৌদি দূতাবাসকে স্মারকলিপি দেব। আমাদের আন্দোলন এতে থেমে থাকবে না। আগামীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আমরা এ ধরনের কর্মসূচি পালন করব।'
গুলশান ২ নম্বরের গোলচত্বরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কালো ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সৈয়দ আবুল মকসুদ, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, সাংবাদিক সুপ্রীতি ধর, মানবাধিকারকর্মী তানবীর সিদ্দিকী প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন ছাত্র ও পেশাজীবীরা। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল 'সৌদি আরবে শিরশ্ছেদ হওয়া আমাদের আট হতভাগ্য সন্তানের জন্য আসুন, আমরা ১৬ কোটি মানুষ এক ফোঁটা করে চোখের পানি ফেলি।' আবুল মকসুদের গলায় ঝোলানো প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল 'বর্বর শিরশ্ছেদ প্রথার বিলুপ্তি চাই'।
সুশীল সমাজের সংগঠনের শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি ওই সময় গুলশান-২ এলাকা দিয়ে চলাচলকারীদের দৃষ্টি কাড়ে। পথচারীদের অনেকেই এ সময় মানববন্ধনের সামনে দাঁড়িয়ে যায়।

No comments

Powered by Blogger.