ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিমাশেঙ্কোর সাত বছর কারাদণ্ড

ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া তিমাশেঙ্কোকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস আমদানি চুক্তি করার দায়ে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে এই সাজা দেওয়া হয়।
তিমাশেঙ্কো আদালতের এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ইউক্রেনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ‘মৃত্যুর আগ পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আদালত সাত বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি তিমাশেঙ্কোকে ২০০৯ সালে করা ওই চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের ক্ষতি ১৯ কোটি মার্কিন ডলার ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক রোডিওন কারিয়িয়েভ বলেন, রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি করতে ১০ বছরের যে চুক্তি করা হয়েছে, তাতে ইউক্রেনের বড় ধরনের লোকসান হয়। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি করতে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিমাশেঙ্কো সচেতনভাবে অভিনয় করেছেন এবং এমন কিছু কাজ করেছেন, যা অপরাধের পর্যায়ে পৌঁছায়।’ বিচারক বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ওই চুক্তি হওয়ার ফলে ইউক্রেনের ১৯ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান হয়। আদালত এই অপরাধের প্রমাণ পেয়ে ইউলিয়া তিমাশেঙ্কোকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিচ্ছেন।
গত আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন তিমাশেঙ্কো। মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালতে তাঁর স্বামী ওলেকজান্ডার ও মেয়ে ইয়েভজেনিয়া উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিমাশেঙ্কো। তিনি বলেন, ২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের সঙ্গে তিনি কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন। এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাঁকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটা সাজানো মামলা এবং রায়ও আগে থেকেই ঠিক করে রাখা।
তিমাশেঙ্কো বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনো কিছুই সত্য নয়। আমি নিশ্চিত, এ সবকিছুই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে। তবে ইউক্রেনের আদালতে এটা সম্ভব নয়।’
এ সময় তিমাশেঙ্কোর সমর্থকেরা ও বিরোধীরা আদালতের বাইরে অবস্থান নেয়। সমর্থকেরা তাঁর সমর্থনে নানা স্লোগান দিতে থাকলে বিরোধীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

No comments

Powered by Blogger.