ভিয়েতনামের প্রতি চীন : সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিরসনের আহ্বান

যৌথভাবে দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ মীমাংসার জন্য ভিয়েতনামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে তার দেশের যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে তা নিরসনের জন্য বেইজিং যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি আরও বলেছেন, পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগে দু’দেশের উচিত সংলাপের মাধ্যমে মতবিরোধ দূর করা। বেইজিং সফররত ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ফু থ্রংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে হু জিনতাও এসব কথা বলেছেন। থ্রং মঙ্গলবার পাঁচদিনের সফরে চীন গেছেন।


গত জানুয়ারি মাসে থ্রং ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি চীন সফর করছেন। ভিয়েতনাম ও চীন দু’দেশেই কমিউনিস্ট শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং দেশ দু’টির মধ্যে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেয়ে পার্টি পর্যায়ে যোগাযোগ বেশি হয়।
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স মন্তব্য করেছে, চীনের সঙ্গে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের যখন কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তখন এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। একটি জলবিদ্যুত প্রকল্প বাতিল করা নিয়ে মিয়ানমারের প্রতি নাখোশ হয়েছে চীন। আর দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে বেইজিংয়ের টানাপড়েন চলছে। এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে ভারত চলতি সপ্তাহে একটি ত্রিপক্ষীয় সম্মেলনের আয়োজন করছে। এতে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মিয়ানমার ও ভিয়েতনামকে।
রয়টার্সের ভাষ্য, ভারত মিয়ানমারের বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুতের ওপর ভাগ বসাতে চায়। আর ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে দক্ষিণ চীন সাগরের জ্বালানির সুবিধা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ভারত আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনকে কোনঠাসা করতে চায়। তবে, চীনের একবারে কাছের প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারের সঙ্গে ভারত কতটা সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর মোকাবেলায় মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে চীনের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে এসেছে। এছাড়া, জলবিদ্যুত্ প্রকল্প বাতিল করা নিয়ে যে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে তা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে মীমাংসা করতে রাজি হয়েছে দু’দেশ।

No comments

Powered by Blogger.