ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্কয়ারে বিক্ষোভ : জেল-জুলুমের পথ বেছে নিয়েছে আ’লীগ সরকার

ত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট স্কয়ারে সেভ বাংলাদেশ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের মোকাবেলার জন্য আ’লীগ সরকার বেছে নিয়েছে জেল, জুলুম আর অত্যাচারের পথ। একটি গণতান্ত্রিক দেশের সরকারের আচরণ কখনও নিবর্তনমূলক হতে পারে না। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার প্রমাণ করেছে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত হলেও ফ্যাসিবাদকে তারা ক্ষমতা পরিচালনার মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেছে।


সেইভ বাংলাদেশের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার আবুবকর মোল্লা, বাংলাদেশ সেন্টার ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান মুহিদুর রহমান, বাংলাদেশ ক্রাইসিস গ্রুপের সদস্যসচিব, আব্দুল্লাহ ফালিক, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ মালেক, খেলাফত মজলিশ যুক্তরাজ্য শাখার আমির অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের সালেহ, জমিয়তুল ওলামা ইউরোপের সভাপতি মুফতি শাহ সদরুদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোট যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ও জমিয়তে ওলামা ইউরোপের সেক্রেটারি মাওলানা শোয়েব আহমদ, মাওলানা হাসান মঈন উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন, আবুল হাসনাত চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ফ্রি মাওলানা সাঈদী ফেডারেশনের আহ্বায়ক আখতার হোসাইন কাওসার, বদরে আলম দিদার, সানাউল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, আহসান আহমেদ চৌধুরী ফুয়াদ, আবুল কালাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সিস্টার ইমরানা হাসিন, ড. আব্দুল হান্নান, মাওলানা মুকাররম হাসানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর গত ১১ অক্টোবর ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনের দিন। সমাবেশ চলাকালীন পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছিল। লর্ড সভার সদস্য লর্ড নাজির আহমদ সমাবেশস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় পার্লামেন্টের এমপিরা বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন ব্রিটেনে বসবাসকারী বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশীর বিক্ষোভে উপস্থিতি দেখে বিস্মিত ও চমত্কৃত হন এবং সমাবেশ সম্পর্কে খোঁজখবরও নেন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্নম্ন এলাকা থেকে সহস্রাধিক মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। পরে সমাবেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিংস্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণবিরোধী এই সরকার এখন প্রজাতন্ত্রের পুলিশবাহিনীকেও ব্যবহার করছে দলীয় কর্মী হিসেবে। রাজনৈতিক বিরোধিতাকে নির্মূল করার জন্য সরকার সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ জামায়াতের মিছিলে হামলা চালায়। তারা সরকারের উদ্দেশে বলেন, যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হয় তাহলে আন্তর্জাতিক মানে বিচার করুন। যেখানে দেশি-বিদেশি আইনজীবীরা যাতে অংশ নিতে পারেন। অন্যথায় আটক সব নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। জুলুম আর নির্যাতন করে কেউ কখনও ক্ষমতায় থাকতে পারে না বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

No comments

Powered by Blogger.