সাংবাদিক ওবায়েদ উল হকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ উল হকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ৫০ বছরেরও বেশি সময় তিনি সাংবাদিকতা পেশায় সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তিনি ফেনী জেলায় ১৯১১ সালের ৩১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এবং ৯৬ বছর বয়সে ২০০৭ সালের ১৩ অক্টোবর মারা যান।
তিনি ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন ও মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন কোর্স সম্পন্ন করেন।


১৯৪৪ সালের প্রথমাধর্ে্ব বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করেন। ওই বছরের শেষাধর্ে্ব কলকাতায় বঙ্গীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সদস্য পদ লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তেতালি্লশের দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে নির্মাণ করেন 'দুঃখে যাদের জীবন গড়া' শীর্ষক চলচ্চিত্র। এরপর দুই দিগন্ত, অন্তরঙ্গ নামে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। ষাটের দশকে ওবায়েদ উল হক এক রচনায় মরহুম ফজলুল হকের পরিচালনায় আজান নামে আরো একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ত্যাগের পর কলকাতা থেকে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন। ১৯৫১ সালে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারের সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। ১৯৭২ সালের শুরু থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ওবায়েদ উল হক বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট গঠন কমিটির আহ্বায়ক এবং এই ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশ সংবাদপত্র সম্পাদক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দৈনিক বাংলা ও বাংলাদেশ টাইমস ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটির চেয়ারম্যান, নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তিনি তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা, ইউনিসেফ স্বর্ণপদকসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। তাঁর লেখা ছয়টি নাটক, তিনটি উপন্যাস, চারটি কাব্যগ্রন্থ ও বেশ কয়েকটি টিভি নাটক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

No comments

Powered by Blogger.