অধিনায়ক মুশফিক এক কমপ্লিট প্যাকেজ

বিশ্বকাপে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল তাদের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একটু বেশি সমীহ না করলে চলবে কী করে! ড্যারেন সামির সেই দলের বিপক্ষে এবার বাংলাদেশ খেলছে নতুন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে। শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। অধিনায়কের ব্যাটিংয়েই টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে নাটকীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে কেমন করেছেন মুশফিক? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সিরিজটা দেশের ক্রিকেটের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এসব প্রশ্ন নিয়েই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানের মুখোমুখি হয়েছিল কালের কণ্ঠ স্পোর্টস


কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : নতুন অধিনায়কের অধীনে নতুন পথচলা শুরু করল বাংলাদেশ। কেমন মনে হলো তাদের?
রকিবুল হাসান : নতুন শুরুটা এর চেয়ে আর ভালো কী হতে পারত! টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি আমরা যেভাবে জিতলাম, তাতে সত্যিই দল আবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। ওয়ানডে সিরিজে চনমনে এক বাংলাদেশকে দেখার প্রত্যাশাই করছি আমি।
প্রশ্ন : মুশফিকুর রহিমকে অধিনায়কত্বের অভিষেকে কেমন মনে হলো?
রকিবুল : আমি কোনোরকম দ্বিধা ছাড়াই বলব, একজন অসাধারণ অধিনায়ক মুশফিক। ওর ব্যাটিং এবং ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক নিয়ে কখনোই কোনো প্রশ্ন ছিল না। কয়েক দিন আগেও জিম্বাবুয়েতে কী দুর্দান্ত সেঞ্চুরিই না করল! অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচে ওর যে ব্যাপারটা আমার নজর কেড়েছে, সেটি হলো বোলার পরিবর্তন। মাত্র ২০ ওভারেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছে মুশফিক। পেস-স্পিন মিশিয়ে, এর-ওর হাতে বল তুলে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের থিতু হওয়ার সুযোগই দেয়নি ও। সফল এক অধিনায়ক হওয়ার প্রতিশ্রুতি আমি দেখতে পেয়েছি সেখানেই। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে মুশফিক এক কমপ্লিট প্যাকেজ।
প্রশ্ন : এবার তো শুরু হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
রকিবুল : একটা ভবিষ্যদ্বাণী করি। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতবে। সঙ্গে এ-ও বলছি, জয় খুব সহজে আসবে না। টোয়েন্টি-টোয়েন্টি জিতেছি, ভালো কথা, তবে বাংলাদেশের আসল লড়াই শুরু হবে এখান থেকে। এখানে টোয়েন্টি-টোয়েন্টির ঝংকার যেমন থাকবে, আবার লংগার ভার্সনের ধৈর্য নিয়ে পার্টনারশিপও গড়তে হবে। আমি আশা করব, ব্যাটসম্যানরা যেন বোলারদের সেই সমর্থনটা দেয়।
প্রশ্ন : অর্থাৎ ব্যাটসম্যানদের নিয়েই আপনার শঙ্কা?
রকিবুল : ঠিক তাই। আমাদের উইকেট-কন্ডিশনে বোলারদের ওপর আমার আস্থা আছে শতভাগ। এখানে ২২০-২৩০ রান করলেই বোলাররা আমাদের জেতানোর সামর্থ্য রাখে। শঙ্কাটা হলো, ব্যাটসম্যানরা সেই রান বোর্ডে তুলতে পারবে কি না। অনেক দিন ধরেই ব্যাটিংটা আমাদের সমস্যা। টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতেও তা দেখা গেছে। আশা করি, ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজে এর পুনরাবৃত্তি হবে না।
প্রশ্ন : ওয়েস্ট ইন্ডিজের কারো প্রতি কি আলাদাভাবে নজর রাখা প্রয়োজন?
রকিবুল : ওদের দলে এখন পোলার্ড ঢুকে যাবে। ও একটা 'দানব'। কেমার রোচ, দেবেন্দ্র বিশুরাও নিশ্চয়ই খেলবে। তবে আমি ওদের দলের সবচেয়ে ভয়ংকর হিসেবে উল্লেখ করব মারলন স্যামুয়েলসের নাম। অনেক উঁচুমানের ব্যাটসম্যান ও। ওকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে না পারলে আমাদের ভুগতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.